alt

জাতীয়

ছাত্র-জনতার স্বপ্নের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে

নারায়ণগঞ্জে ত্বকীহত্যার সাড়ে ১১বছর উপলক্ষ্যে আলোক প্রজ্বালন

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ : রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ : তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার সাড়ে ১১ বছর উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্বালন। ছবি : প্রণব রায়

সন্ত্রাস নিমূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেছেন, ‘আমরা স্বাধীনতার ৪৩ বছর পার করে উপলব্ধি হয়েছে ৩ থেকে ৪ বছর ছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে দুর্বৃত্ত সরকার। একাত্তরে চেয়েছিলাম, এদেশ সকলের দেশ হয়ে উঠবে। জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে সকলের দেশ হবে। এত বছরেও দেশটি সেভাবে হয়ে উঠেনি।’

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার সাড়ে ১১ বছর উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী ব্যবস্থার পরিবর্তনের কথা বলছি। এর মানে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। স্বাধীনতার পর প্রথম নির্বাচনও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। অন্তত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয়েছে সেগুলোতে মানুষ নির্দ্বিধায় ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া আর কখনো পায়নি।’

রাব্বি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আশার সঞ্চার হয়েছিল, এখন আমরা দেশটাকে নিজেদের মত করে পাবো। এ দেশ আমাদের হবে কিন্তু নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। বারবার চেয়েছি হয়নি। জনগণের ভোটে, বিনা ভোটে যারাই ক্ষমতায় গেছে তারাই জনগণের বিপক্ষে কাজ করেছে।

‘অন্তর্বতীকালীন সরকারের একমাস। একমাসে সব হয়ে যাবে এটা আমরা বিশ্বাস করি না। তবে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দখল দেখছি আমরা, এর বিরুদ্ধে সরকারের শক্ত অবস্থান আশা করি। শেখ হাসিনার ১৬ বছরে পুলিশ বাহিনী কলুষিত হয়েছে। জনগণের বিরুদ্ধে একটি নিকৃষ্ট বাহিনী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। পুলিশ সদস্য আমাদেরই স্বজন। আমাদেরই ভাই, বন্ধু। দেশ গড়তে এদের লাগবে’, যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এদেশে রয়েছে। ইসলামের মধ্যেও বিভিন্ন মতে বিশ্বাসী মানুষ রয়েছে। প্রত্যেককে স্ব স্ব বিশ্বাস, ধর্ম নিয়ে থাকতে দিতে হবে। এটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। এক মত অন্যমতের টুঁটি চেপে ধরবে, কখনোই এই আকাঙ্খা করি না। সকল মতকে ধারণ করে একসাথে একই স্রোতে অগ্রসর করা একাত্তর এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিট ছিল। আমরা বৈচিত্র্য নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা সবই করবো।’

রফিউর রাব্বি বলেন, ‘সরকারের পরবর্তনের মধ্য দিয়েই সংগ্রাম শেষ হয়ে যায় না। বিপ্লবের পর সংস্কৃতির যে বিপ্লব, সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে যেটা কখনো হয়নি। সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ যদি ঘটানো না যায়, মানুষের চিন্তার প্রতিফলন যদি সংস্কৃতির মাধ্যমে যদি জাগিয়ে তোলা না যায়, আমরা এদেশকে কোনোভাবে আমাদের মতো করে তুলতে পারবো না। দুর্বৃত্তের রয়ে যাবে।’

এই সময় তিনি সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এই সময় আরও বক্তব্য রাখেন খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ, সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দিপু, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল প্রমুখ।

ছবি

‘মব করে রায়’: সারজিস আলমকে আইনি নোটিস

ছবি

রাতে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুহাম্মদ ইউনূস

আজ শনিবার খোলা সরকারি অফিস

পল্লবীতে চালককে হত্যা করে অটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৫ জন গ্রেপ্তার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষক ও ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার

ছবি

প্রত্যেক ঋতুতেই উৎসব মনিপুরীদের

ঈদযাত্রায় বাড়তি চাপ, অতিরিক্ত ফ্লাইট চালাবে বিমান

গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী ও প্রসিকিউটর

ছবি

প্রথমবারের মতো কাতারে বাংলাদেশি আমের মেলা

ছবি

পীরগাছায় ৫০০ হেক্টর জমির কৃষি ফসল পানিতে

ছবি

শখের গাছে থোকায় থোকায় লাল, মিষ্টি আঙুর

ইইউর পণ্যে ৫০%, অ্যাপল আইফোনে ২৫% শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন: পোস্ট দিয়ে সরিয়ে নিলেন তৈয়্যব

ছবি

রাজধানীসহ ৫ স্থানে দুর্ঘটনায় নিহত ৭

শুধু নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব নিইনি, সংস্কার-বিচারও দায়িত্ব:উপদেষ্টা রিজওয়ানা

চার দফা দাবিতে অটল এনবিআর ঐক্য পরিষদ

গুজবে বিভ্রান্ত না হতে সেনাবাহিনীর আহ্বান

বেচা-বিক্রি ‘একদমই কম’ নিত্যপণ্যের বাজারে

ছবি

‘হতাশ-ক্ষুব্ধ’ প্রধান উপদেষ্টা, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

ছবি

রাজনৈতিক সংকটে ইউনূসের পদত্যাগ বিবেচনায়: নাহিদের সঙ্গে বৈঠকে ইঙ্গিত

ছবি

কোন কোন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি

সংস্কার ও বিচার কার্যক্রমে অন্তর্বর্তী সরকার বাধার মুখে পড়েছে: রিজওয়ানা হাসান

ছবি

সরকারি দিনমজুরের মজুরি বাড়ল, ঢাকায় দৈনিক ৮০০ টাকা

ছবি

চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়েই কাজ করছি: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি ‘স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টা’, গুজবে বিভ্রান্ত না হতে সেনাবাহিনীর আহ্বান

ঈদুল আজহা : ট্রেনের ২ জুনের টিকেট বিক্রি আজ

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’: নাহিদ ইসলাম

ছবি

কলকাতা মিশনে কোরবানি নিয়ে বিতর্ক, কুটনীতিক শাবাবকে দেশে ফেরার নির্দেশ

ছবি

আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দমনে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের

ছবি

আশ্রয়প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ, অপপ্রচারে সতর্ক থাকার আহ্বান সেনাবাহিনীর

ছবি

জসীম উদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত রুহুল আলম, কার্যকর শুক্রবার থেকে

‘মব’ সামলে পুরস্কৃত ধানমন্ডির ওসি

সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের প্রস্তাব অনুমোদন

হলফনামায় ‘তথ্য গোপন’ : হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসিকে দুদকের চিঠি

সাবেক এনএসআই ডিজির সম্পদ ‘স্থানান্তরচেষ্টা’, এনবিআর সদস্যসহ দুইজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

রাজবাড়ীর ‘রাজা’র দাম ৮ লাখ টাকা, ওজন ২০ মণ

tab

জাতীয়

ছাত্র-জনতার স্বপ্নের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে

নারায়ণগঞ্জে ত্বকীহত্যার সাড়ে ১১বছর উপলক্ষ্যে আলোক প্রজ্বালন

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ : তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার সাড়ে ১১ বছর উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্বালন। ছবি : প্রণব রায়

রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সন্ত্রাস নিমূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেছেন, ‘আমরা স্বাধীনতার ৪৩ বছর পার করে উপলব্ধি হয়েছে ৩ থেকে ৪ বছর ছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে দুর্বৃত্ত সরকার। একাত্তরে চেয়েছিলাম, এদেশ সকলের দেশ হয়ে উঠবে। জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে সকলের দেশ হবে। এত বছরেও দেশটি সেভাবে হয়ে উঠেনি।’

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার সাড়ে ১১ বছর উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী ব্যবস্থার পরিবর্তনের কথা বলছি। এর মানে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। স্বাধীনতার পর প্রথম নির্বাচনও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। অন্তত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয়েছে সেগুলোতে মানুষ নির্দ্বিধায় ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া আর কখনো পায়নি।’

রাব্বি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আশার সঞ্চার হয়েছিল, এখন আমরা দেশটাকে নিজেদের মত করে পাবো। এ দেশ আমাদের হবে কিন্তু নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। বারবার চেয়েছি হয়নি। জনগণের ভোটে, বিনা ভোটে যারাই ক্ষমতায় গেছে তারাই জনগণের বিপক্ষে কাজ করেছে।

‘অন্তর্বতীকালীন সরকারের একমাস। একমাসে সব হয়ে যাবে এটা আমরা বিশ্বাস করি না। তবে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দখল দেখছি আমরা, এর বিরুদ্ধে সরকারের শক্ত অবস্থান আশা করি। শেখ হাসিনার ১৬ বছরে পুলিশ বাহিনী কলুষিত হয়েছে। জনগণের বিরুদ্ধে একটি নিকৃষ্ট বাহিনী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। পুলিশ সদস্য আমাদেরই স্বজন। আমাদেরই ভাই, বন্ধু। দেশ গড়তে এদের লাগবে’, যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এদেশে রয়েছে। ইসলামের মধ্যেও বিভিন্ন মতে বিশ্বাসী মানুষ রয়েছে। প্রত্যেককে স্ব স্ব বিশ্বাস, ধর্ম নিয়ে থাকতে দিতে হবে। এটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। এক মত অন্যমতের টুঁটি চেপে ধরবে, কখনোই এই আকাঙ্খা করি না। সকল মতকে ধারণ করে একসাথে একই স্রোতে অগ্রসর করা একাত্তর এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিট ছিল। আমরা বৈচিত্র্য নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা সবই করবো।’

রফিউর রাব্বি বলেন, ‘সরকারের পরবর্তনের মধ্য দিয়েই সংগ্রাম শেষ হয়ে যায় না। বিপ্লবের পর সংস্কৃতির যে বিপ্লব, সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে যেটা কখনো হয়নি। সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ যদি ঘটানো না যায়, মানুষের চিন্তার প্রতিফলন যদি সংস্কৃতির মাধ্যমে যদি জাগিয়ে তোলা না যায়, আমরা এদেশকে কোনোভাবে আমাদের মতো করে তুলতে পারবো না। দুর্বৃত্তের রয়ে যাবে।’

এই সময় তিনি সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এই সময় আরও বক্তব্য রাখেন খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ, সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দিপু, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল প্রমুখ।

back to top