দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৫৪ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬,৫৫৫ জনে এবং মৃতের সংখ্যা ১৩৮ জনে পৌঁছেছে।
গত ২৪ ঘণ্টার পরিস্থিতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রিপোর্টে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের মধ্যে ঢাকার বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০০ জন, ময়মনসিংহে ৩৫ জন, চট্টগ্রামে ৯৮ জন, খুলনায় ৬৪ জন, রাজশাহীতে ২৭ জন, রংপুরে ১০ জন এবং বরিশালে ৫৫ জন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সিলেট বিভাগে এই সময়ে কোনো নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়নি।
বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ২৯১৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুইজনেরই মৃত্যু ঘটেছে ঢাকা বিভাগে।
সেপ্টেম্বরের ভয়াবহতা
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ মাসে এখন পর্যন্ত ১৩,৭১৪ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে, যা বছরের অন্য যেকোনো মাসের তুলনায় অনেক বেশি।
পূর্ববর্তী মাসের পরিস্থিতি
জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। জানুয়ারিতে ১,০৫৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন আক্রান্ত হন এবং মারা যান ৩ জন। মার্চে ৩১১ জনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু ঘটে। এপ্রিল মাসে ৫০৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয় এবং মৃত্যু হয় ২ জনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী ভর্তি হন, মারা যান ১২ জন। জুনে ৭৯৮ জনের মধ্যে ৮ জন মারা যান। জুলাইয়ে ২৬৬৯ জন ভর্তি হন এবং ১২ জনের মৃত্যু হয়। আগস্ট মাসে সর্বাধিক ৬৫২১ জন রোগী ভর্তি হয় এবং মৃত্যু হয় ২৭ জনের।
ডেঙ্গুর ইতিহাসে ২০২৩ সাল ভয়াবহতম
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুর তথ্য সংগ্রহের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই বছরে ৩,২১,১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সর্বাধিক ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
ডেঙ্গুর এমন ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রোগের বিস্তার রোধে জনগণকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৫৪ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬,৫৫৫ জনে এবং মৃতের সংখ্যা ১৩৮ জনে পৌঁছেছে।
গত ২৪ ঘণ্টার পরিস্থিতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রিপোর্টে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের মধ্যে ঢাকার বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০০ জন, ময়মনসিংহে ৩৫ জন, চট্টগ্রামে ৯৮ জন, খুলনায় ৬৪ জন, রাজশাহীতে ২৭ জন, রংপুরে ১০ জন এবং বরিশালে ৫৫ জন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সিলেট বিভাগে এই সময়ে কোনো নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়নি।
বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ২৯১৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুইজনেরই মৃত্যু ঘটেছে ঢাকা বিভাগে।
সেপ্টেম্বরের ভয়াবহতা
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ মাসে এখন পর্যন্ত ১৩,৭১৪ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে, যা বছরের অন্য যেকোনো মাসের তুলনায় অনেক বেশি।
পূর্ববর্তী মাসের পরিস্থিতি
জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। জানুয়ারিতে ১,০৫৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন আক্রান্ত হন এবং মারা যান ৩ জন। মার্চে ৩১১ জনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু ঘটে। এপ্রিল মাসে ৫০৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয় এবং মৃত্যু হয় ২ জনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী ভর্তি হন, মারা যান ১২ জন। জুনে ৭৯৮ জনের মধ্যে ৮ জন মারা যান। জুলাইয়ে ২৬৬৯ জন ভর্তি হন এবং ১২ জনের মৃত্যু হয়। আগস্ট মাসে সর্বাধিক ৬৫২১ জন রোগী ভর্তি হয় এবং মৃত্যু হয় ২৭ জনের।
ডেঙ্গুর ইতিহাসে ২০২৩ সাল ভয়াবহতম
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুর তথ্য সংগ্রহের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই বছরে ৩,২১,১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সর্বাধিক ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
ডেঙ্গুর এমন ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রোগের বিস্তার রোধে জনগণকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।