তরুণদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এই স্বপ্ন পূরণে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "তরুণদের আত্মত্যাগ আমাদের সামনে বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমরা এই সুযোগ হারাতে চাই না। বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল সংস্কারের মাধ্যমে তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এটি বাস্তবায়নে আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন।"
১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যার মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো স্মরণ করে বলেন, "যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, আমরা তাদের হতাশ করতে চাই না। গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ।" তিনি জানান, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচনি ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "যুব সমাজের সামনে কোনো স্বপ্ন ছিল না। স্বৈরাচার তাদের স্বপ্ন ও ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাই তারা স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে বুলেটের সামনে দাঁড়াতে পিছপা হয়নি।"
তিনি বিদেশি বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলেন, "বাংলাদেশের তরুণরা যে সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের মুগ্ধ করেছে। গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে আমরা আপনাদের পাশে চাই।"
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও অংশ নেন। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভাষণ দেবেন।
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
তরুণদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এই স্বপ্ন পূরণে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "তরুণদের আত্মত্যাগ আমাদের সামনে বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমরা এই সুযোগ হারাতে চাই না। বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল সংস্কারের মাধ্যমে তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এটি বাস্তবায়নে আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন।"
১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যার মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো স্মরণ করে বলেন, "যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, আমরা তাদের হতাশ করতে চাই না। গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ।" তিনি জানান, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচনি ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "যুব সমাজের সামনে কোনো স্বপ্ন ছিল না। স্বৈরাচার তাদের স্বপ্ন ও ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাই তারা স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে বুলেটের সামনে দাঁড়াতে পিছপা হয়নি।"
তিনি বিদেশি বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলেন, "বাংলাদেশের তরুণরা যে সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের মুগ্ধ করেছে। গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে আমরা আপনাদের পাশে চাই।"
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও অংশ নেন। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভাষণ দেবেন।