প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে মানবাধিকার এবং বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। স্থানীয় সময় বুধবার একটি হোটেলে শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা হয়। মানবাধিকার কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার শাসনামলে ঘটে যাওয়া প্রায় ৩ হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানান। এছাড়া, তাঁরা নিরাপত্তা খাতের সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের ভাগ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি তুলে ধরেন।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি কেরি কেনেডি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ডসহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ক্যালামার্ড বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ‘একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়া যে, এটি একটি নতুন বাংলাদেশ।’
অধ্যাপক ইউনূস বৈঠকে পূর্ববর্তী শাসনামলে নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন করার বিষয়টি তুলে ধরে তাঁর সরকারের অধীনে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকার পুলিশ সংস্কারসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে একাধিক কমিশন গঠন করেছে।
এছাড়া, তাঁর সরকার যে কোনো সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের সরকার কোনো সমালোচনায় বিচলিত নয়। বরং আমরা সমালোচনাকে স্বাগত জানাই এবং কারো মতপ্রকাশের অধিকার কণ্ঠরোধ করা হবে না।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার এবং হংকং-ভিত্তিক মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে মানবাধিকার এবং বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। স্থানীয় সময় বুধবার একটি হোটেলে শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা হয়। মানবাধিকার কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার শাসনামলে ঘটে যাওয়া প্রায় ৩ হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানান। এছাড়া, তাঁরা নিরাপত্তা খাতের সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের ভাগ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি তুলে ধরেন।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি কেরি কেনেডি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ডসহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ক্যালামার্ড বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ‘একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়া যে, এটি একটি নতুন বাংলাদেশ।’
অধ্যাপক ইউনূস বৈঠকে পূর্ববর্তী শাসনামলে নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন করার বিষয়টি তুলে ধরে তাঁর সরকারের অধীনে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকার পুলিশ সংস্কারসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে একাধিক কমিশন গঠন করেছে।
এছাড়া, তাঁর সরকার যে কোনো সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের সরকার কোনো সমালোচনায় বিচলিত নয়। বরং আমরা সমালোচনাকে স্বাগত জানাই এবং কারো মতপ্রকাশের অধিকার কণ্ঠরোধ করা হবে না।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার এবং হংকং-ভিত্তিক মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান।