রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একমত হলেই জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে যে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে, তাদের সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।
২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক টাইমস আয়োজিত ‘ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড সামিট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এটি নিউইয়র্ক টাইমস স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড সামিটে জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনৈতিক ও নীতিগত চ্যালেঞ্জসমূহ খোলামেলা আলোচনা হয়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূস, জলবায়ু পরিবর্তনের কিছু বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন একটি দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একমত হলেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের সময় ঠিক করার ক্ষেত্রে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্ন করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভারতে আশ্রয় নেয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাধ করে থাকলে তাকে প্রত্যর্পণ করা উচিত।
মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয়, ‘হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করা উচিত কিনা?’ এর জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন উচিত হবে না? তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা উচিত।’
নির্বাচনে লড়বেন না ইউনূস
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেয়া মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো পরিকল্পনা করছেন কিনা।
জবাবে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে যে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব? না।’
আপনারা কারণ, আমরা ফলাফল
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ধনী দেশগুলোর করা জলবায়ু ক্ষতির বোঝা বহন করা উচিত নয় তিনি বলেন, ‘আপনারা (উন্নত দেশ) আমাদের ওপর যেসব ধ্বংসের ভার চাপিয়েছেন, তার ভার কেন আমরা (উন্নয়নশীল দেশ) বহন করব?’
এ বিষয়ে ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আপনারা কারণ, আমরা ফলাফল।’
কম বর্জ্য উৎপাদন ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমানোর দায়িত্ব ধনী দেশগুলোরই বহন করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার কারো কণ্ঠরোধ করবে না
বুধবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, দেশে মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার তার কর্মকা-ের যেকোনো সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই সরকার কোনো সমালোচনায় বিচলিত নয়। আসলে আমরা সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সরকার দেশে কারো কণ্ঠরোধ করবে না। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের জন্য তার সরকার পুলিশ সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনসহ বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে।’
বৈঠকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত ‘নৃশংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও জবাবদিহিতা’ নিয়ে আলোচনা হয়। দেড় দশকে ‘প্রায় ৩ হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের’ অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন মানবাধিকার কর্মকর্তারা। নিরাপত্তা খাতের সংস্কারের পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকারের সভাপতি কেরি কেনেডি ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
এ সময় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ডও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়া যে, এটি এক নতুন বাংলাদেশ।’
তরুণদের স্বপ্নের দেশ গড়তে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপ্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে সরকারের তরফে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তরুণদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে ‘বিদেশি বন্ধুদের’ সহযোগিতাও প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো নিয়ে লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে বিদেশি বন্ধুদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তরুণদের আত্মত্যাগ আমাদের সামনে বড় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আমরা এই সুযোগ হারাতে চাই না। বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এটি বাস্তবায়নে আপনাদের সবার সমর্থন প্রয়োজন।’
শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, আমরা তাদের হতাশ করতে চাই না। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘যুব সমাজের সামনে কোনো স্বপ্ন ছিল না। স্বৈরাচার তাদের স্বপ্ন ও ভব্যিষতকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাই তারা স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে বুলেটের সামনে দাঁড়াতে পিছপা হয়নি। তরুণদের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষার বাংলাদেশ গড়তে আমরা আপনাদের (বিদেশি বন্ধুদের) পাশে চাই।’
শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের নেতা হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একমত হলেই জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে যে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে, তাদের সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।
২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক টাইমস আয়োজিত ‘ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড সামিট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এটি নিউইয়র্ক টাইমস স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড সামিটে জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনৈতিক ও নীতিগত চ্যালেঞ্জসমূহ খোলামেলা আলোচনা হয়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূস, জলবায়ু পরিবর্তনের কিছু বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন একটি দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একমত হলেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের সময় ঠিক করার ক্ষেত্রে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্ন করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভারতে আশ্রয় নেয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাধ করে থাকলে তাকে প্রত্যর্পণ করা উচিত।
মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয়, ‘হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করা উচিত কিনা?’ এর জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন উচিত হবে না? তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা উচিত।’
নির্বাচনে লড়বেন না ইউনূস
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেয়া মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো পরিকল্পনা করছেন কিনা।
জবাবে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে যে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব? না।’
আপনারা কারণ, আমরা ফলাফল
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ধনী দেশগুলোর করা জলবায়ু ক্ষতির বোঝা বহন করা উচিত নয় তিনি বলেন, ‘আপনারা (উন্নত দেশ) আমাদের ওপর যেসব ধ্বংসের ভার চাপিয়েছেন, তার ভার কেন আমরা (উন্নয়নশীল দেশ) বহন করব?’
এ বিষয়ে ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আপনারা কারণ, আমরা ফলাফল।’
কম বর্জ্য উৎপাদন ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমানোর দায়িত্ব ধনী দেশগুলোরই বহন করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার কারো কণ্ঠরোধ করবে না
বুধবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, দেশে মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার তার কর্মকা-ের যেকোনো সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই সরকার কোনো সমালোচনায় বিচলিত নয়। আসলে আমরা সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সরকার দেশে কারো কণ্ঠরোধ করবে না। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের জন্য তার সরকার পুলিশ সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনসহ বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে।’
বৈঠকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত ‘নৃশংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও জবাবদিহিতা’ নিয়ে আলোচনা হয়। দেড় দশকে ‘প্রায় ৩ হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের’ অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন মানবাধিকার কর্মকর্তারা। নিরাপত্তা খাতের সংস্কারের পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকারের সভাপতি কেরি কেনেডি ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
এ সময় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ডও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়া যে, এটি এক নতুন বাংলাদেশ।’
তরুণদের স্বপ্নের দেশ গড়তে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপ্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে সরকারের তরফে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তরুণদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে ‘বিদেশি বন্ধুদের’ সহযোগিতাও প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো নিয়ে লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে বিদেশি বন্ধুদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তরুণদের আত্মত্যাগ আমাদের সামনে বড় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আমরা এই সুযোগ হারাতে চাই না। বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এটি বাস্তবায়নে আপনাদের সবার সমর্থন প্রয়োজন।’
শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, আমরা তাদের হতাশ করতে চাই না। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘যুব সমাজের সামনে কোনো স্বপ্ন ছিল না। স্বৈরাচার তাদের স্বপ্ন ও ভব্যিষতকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাই তারা স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে বুলেটের সামনে দাঁড়াতে পিছপা হয়নি। তরুণদের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষার বাংলাদেশ গড়তে আমরা আপনাদের (বিদেশি বন্ধুদের) পাশে চাই।’
শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের নেতা হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।