গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে সড়ক, রেল ও নৌ পথে ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় ৫৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন।
আজ শনিবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবরে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ হন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় ৫৭৫ জন নিহত এবং ৮৭৫ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ জন চালক, ১৩৭ জন পথচারী, ৫১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ জন শিক্ষার্থী, ১৮ জন শিক্ষক, ৭৬ জন নারী, ৬২ জন শিশু, ৫ জন চিকিৎসক, সাংবাদিক ৯ জন এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক এবং ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
সংস্থার মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেছেন, সরকার বদলের পড়ে সব পথের ট্রাফিক পুলিশের প্রয়োজনের চেয়ে কম উপস্থিত থাকার সুযোগে আইন লংঘন করে যানবাহন চলেছে বেশি করে। মূল সড়কেও অবৈধ যানবাহনের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর হার বেড়েছে। অবৈধ গাড়িগুলো ছোট হলেও একেকটিতে ৭ থেকে ৯ জন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করে।
দুর্ঘটনার সংখ্যা ও মৃতের হার কামিয়ে আনতে অতি দ্রুত মোটরসাইকেলের সংখ্যা কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, সারা দেশে ৫০ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রয়েছে। এত সংখ্যক মোটরসাইকেল চলাচলের সড়ক নেই আমাদের। অন্যান্য দেশের আয়তনের তুলনায়ও তা অনেক বেশি। আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শুধু গ্রামে চলাচলের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে, জরুরিভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতে অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান, ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা ও মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এ ছাড়া রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা, সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা, উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা, মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবত ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক, রেল ও নৌপথে ৫৪৭টি দুর্ঘটনায় ৫৫৪ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩৮ জন আহত হয়েছিলেন।
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে সড়ক, রেল ও নৌ পথে ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় ৫৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন।
আজ শনিবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবরে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ হন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় ৫৭৫ জন নিহত এবং ৮৭৫ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ জন চালক, ১৩৭ জন পথচারী, ৫১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ জন শিক্ষার্থী, ১৮ জন শিক্ষক, ৭৬ জন নারী, ৬২ জন শিশু, ৫ জন চিকিৎসক, সাংবাদিক ৯ জন এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক এবং ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
সংস্থার মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেছেন, সরকার বদলের পড়ে সব পথের ট্রাফিক পুলিশের প্রয়োজনের চেয়ে কম উপস্থিত থাকার সুযোগে আইন লংঘন করে যানবাহন চলেছে বেশি করে। মূল সড়কেও অবৈধ যানবাহনের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর হার বেড়েছে। অবৈধ গাড়িগুলো ছোট হলেও একেকটিতে ৭ থেকে ৯ জন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করে।
দুর্ঘটনার সংখ্যা ও মৃতের হার কামিয়ে আনতে অতি দ্রুত মোটরসাইকেলের সংখ্যা কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, সারা দেশে ৫০ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রয়েছে। এত সংখ্যক মোটরসাইকেল চলাচলের সড়ক নেই আমাদের। অন্যান্য দেশের আয়তনের তুলনায়ও তা অনেক বেশি। আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শুধু গ্রামে চলাচলের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে, জরুরিভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতে অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান, ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা ও মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এ ছাড়া রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা, সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা, উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা, মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবত ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক, রেল ও নৌপথে ৫৪৭টি দুর্ঘটনায় ৫৫৪ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩৮ জন আহত হয়েছিলেন।