অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি ‘অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন’ জমা দিয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সম্পৃক্ততার প্রমাণ’ পেয়েছে কমিশন। গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ পুলিশের এলিট ফোর্স ‘র্যাব’ বিলুপ্তিরও সুপারিশ করেছে কমিশন।
১৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশন সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
কমিশন প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা তিন মাস পর মার্চে আরও একটি ‘ইন্টেরিম রিপোর্ট (অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন)’ জমা দেবেন। কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে আরও এক বছর সময় প্রয়োজন বলেও জানান করেন তিনি।
প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি তৈরিতে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশন সদস্যরা।
গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সম্পৃক্ততার প্রমাণ’ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে কমিশন বলছে, ‘এছাড়াও হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে; যাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলি-কমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।’
কমিশন প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছে, যাতে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন ফোর্স নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং পরিকল্পনা ভিন্ন ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করেছে।
গুমের শিকার অনেকে এখনও শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না উল্লেখ করে তিনি জানান, তাদের ওপর এতটাই ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল যে, তারা এখনও ট্রমায় ভুগছেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার সর্বশেষ বক্তব্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সঠিক বিচারের আশ্বাস দেয়ার পর রিপোর্টের সংখ্যা অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে কমিশনের সদস্যরা মুহাম্মদ ইউনূসকে আয়নাঘর পরিদর্শনের অনুরোধ জানান। তারা বলেন, ‘আপনি আয়নাঘর পরিদর্শন করলে ভিক্টিমরা অভয় পেতে পারেন।’
প্রধান উপদেষ্টা তাদের এ অনুরোধে সম্মতি দিয়ে জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে, সেগুলো দেখতে যাবেন।
তিনি কমিশন সদস্যদের তাদের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং কাজটি এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কমিশন প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা তিন মাস পর মার্চে আরও একটি ‘ইন্টেরিম রিপোর্ট (অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন)’ জমা দেবেন। কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে আরও এক বছর সময় প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় কমিশনের সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।
রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি ‘অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন’ জমা দিয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সম্পৃক্ততার প্রমাণ’ পেয়েছে কমিশন। গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ পুলিশের এলিট ফোর্স ‘র্যাব’ বিলুপ্তিরও সুপারিশ করেছে কমিশন।
১৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশন সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
কমিশন প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা তিন মাস পর মার্চে আরও একটি ‘ইন্টেরিম রিপোর্ট (অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন)’ জমা দেবেন। কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে আরও এক বছর সময় প্রয়োজন বলেও জানান করেন তিনি।
প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি তৈরিতে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশন সদস্যরা।
গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সম্পৃক্ততার প্রমাণ’ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে কমিশন বলছে, ‘এছাড়াও হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে; যাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলি-কমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।’
কমিশন প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছে, যাতে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন ফোর্স নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং পরিকল্পনা ভিন্ন ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করেছে।
গুমের শিকার অনেকে এখনও শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না উল্লেখ করে তিনি জানান, তাদের ওপর এতটাই ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল যে, তারা এখনও ট্রমায় ভুগছেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার সর্বশেষ বক্তব্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সঠিক বিচারের আশ্বাস দেয়ার পর রিপোর্টের সংখ্যা অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে কমিশনের সদস্যরা মুহাম্মদ ইউনূসকে আয়নাঘর পরিদর্শনের অনুরোধ জানান। তারা বলেন, ‘আপনি আয়নাঘর পরিদর্শন করলে ভিক্টিমরা অভয় পেতে পারেন।’
প্রধান উপদেষ্টা তাদের এ অনুরোধে সম্মতি দিয়ে জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে, সেগুলো দেখতে যাবেন।
তিনি কমিশন সদস্যদের তাদের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং কাজটি এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কমিশন প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা তিন মাস পর মার্চে আরও একটি ‘ইন্টেরিম রিপোর্ট (অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন)’ জমা দেবেন। কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে আরও এক বছর সময় প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় কমিশনের সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।