আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ভারত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে তাকে বাংলাদেশ সম্পর্কে কুৎসা ও উস্কানিমূলক কথা বলতে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির প্রচেষ্টা করছে এবং ভবিষ্যতেও তা চালিয়ে যাবে। এছাড়া, বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি প্রতিপালনের বিষয়ে ভারতের সদিচ্ছা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা বলেন, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার প্রতি অন্ধ বিশ্বাসের কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশে নতুন ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। তিনি জানান, এই ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করা হয়েছে এবং শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তবে ভারতের মনোভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, তারা বিভিন্ন অজুহাতে তাকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা নাকচ করার চেষ্টা করবে।
শেখ হাসিনার সম্প্রতি দেওয়া ভাষণ সম্পর্কে আইন উপদেষ্টা বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা ক্ষমতায় থাকার সময় তার বক্তব্যের সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি গণঅভ্যুত্থান এবং ২০১৮ সালের ঘটনাগুলোর স্মৃতিকে পরিহাসের সঙ্গে স্মরণ করেছেন, যা বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরির জন্য উস্কানি প্রদান করেছে। আইনের উপদেষ্টা এও বলেন, তার এই বক্তব্য এবং উস্কানির ফলে দেশে সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃবৃন্দও এই ধরনের উস্কানিমূলক ভাষায় কথা বলছেন এবং তারা দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করছেন।
ভারতে যাওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। এতে দেশজুড়ে সরকার ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার এ ধরনের কর্মকাণ্ড সহ্য করা যায় না, কারণ তার মধ্যে অপরাধবোধের অভাব রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন এবং তার বিরুদ্ধে দেশে বিচারের প্রক্রিয়া চলছে। সরকার গত ডিসেম্বরে ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছিল, তবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানায়নি। শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসার প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা আমাদের আইনে পলাতকদের বিচারের বিধান অনুযায়ী সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তবে ভারত তাদের মনোভঙ্গির কারণে তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ধীর করতে পারে।
এছাড়া, সম্প্রতি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ এবং আক্রমণের ঘটনায় আইন উপদেষ্টা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করার ঘোষণা দেন। গত শনিবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে, যার ফলে এক হাজার ৭০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অধিকাংশ গ্রেপ্তার ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ কোনো বিরোধী দল দমন অভিযানের মতো নয়। এটি আওয়ামী লীগ দলের উগ্র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে, যারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছেন। তিনি বলেন, এই অভিযানটি খুব সতর্কতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে এবং গ্রেপ্তারের সময় কাউকে নির্যাতন করা হবে না, এমনকি কারও ওপর আঘাতও দেওয়া হবে না।
এছাড়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আইন উপদেষ্টা জানান, তারা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে, এবং তাদের পক্ষে যা কিছু করার তা করা হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারি হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য নেই।
আইন উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ভারত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে তাকে বাংলাদেশ সম্পর্কে কুৎসা ও উস্কানিমূলক কথা বলতে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির প্রচেষ্টা করছে এবং ভবিষ্যতেও তা চালিয়ে যাবে। এছাড়া, বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি প্রতিপালনের বিষয়ে ভারতের সদিচ্ছা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা বলেন, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার প্রতি অন্ধ বিশ্বাসের কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশে নতুন ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। তিনি জানান, এই ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করা হয়েছে এবং শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তবে ভারতের মনোভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, তারা বিভিন্ন অজুহাতে তাকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা নাকচ করার চেষ্টা করবে।
শেখ হাসিনার সম্প্রতি দেওয়া ভাষণ সম্পর্কে আইন উপদেষ্টা বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা ক্ষমতায় থাকার সময় তার বক্তব্যের সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি গণঅভ্যুত্থান এবং ২০১৮ সালের ঘটনাগুলোর স্মৃতিকে পরিহাসের সঙ্গে স্মরণ করেছেন, যা বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরির জন্য উস্কানি প্রদান করেছে। আইনের উপদেষ্টা এও বলেন, তার এই বক্তব্য এবং উস্কানির ফলে দেশে সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃবৃন্দও এই ধরনের উস্কানিমূলক ভাষায় কথা বলছেন এবং তারা দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করছেন।
ভারতে যাওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। এতে দেশজুড়ে সরকার ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার এ ধরনের কর্মকাণ্ড সহ্য করা যায় না, কারণ তার মধ্যে অপরাধবোধের অভাব রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন এবং তার বিরুদ্ধে দেশে বিচারের প্রক্রিয়া চলছে। সরকার গত ডিসেম্বরে ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছিল, তবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানায়নি। শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসার প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা আমাদের আইনে পলাতকদের বিচারের বিধান অনুযায়ী সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তবে ভারত তাদের মনোভঙ্গির কারণে তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ধীর করতে পারে।
এছাড়া, সম্প্রতি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ এবং আক্রমণের ঘটনায় আইন উপদেষ্টা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করার ঘোষণা দেন। গত শনিবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে, যার ফলে এক হাজার ৭০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অধিকাংশ গ্রেপ্তার ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ কোনো বিরোধী দল দমন অভিযানের মতো নয়। এটি আওয়ামী লীগ দলের উগ্র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে, যারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছেন। তিনি বলেন, এই অভিযানটি খুব সতর্কতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে এবং গ্রেপ্তারের সময় কাউকে নির্যাতন করা হবে না, এমনকি কারও ওপর আঘাতও দেওয়া হবে না।
এছাড়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আইন উপদেষ্টা জানান, তারা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে, এবং তাদের পক্ষে যা কিছু করার তা করা হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারি হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য নেই।
আইন উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।