খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ের চলমান রয়েছে ১৮৩টি সড়কের কাজ। জেলার ৯ উপজেলায় ৭টি উন্নয়ন ও সংস্কার প্রকল্পের আওতায় এ কাজ চলমান রয়েছে। যার অধিকাংশ কাজেরই মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও শেষ হয়নি। অনেক সড়কের কাজ ফেলে রেখে চলে গেছে ঠিকাদার। ফলে বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে। বারবার শুধু মেয়াদই বাড়ছে, কিন্তু কাজ অসমাপ্ত রয়ে যাচ্ছে।
এমনই দুর্দশায় জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষের চলাচলে নিত্য দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি চলমান আরও কয়েকটি সড়কের কাজে চলছে অনিয়ম-দুর্নীতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে খুলনার বালিয়াখালী বাজার-হামকুড়া-থুকড়া বাজার ৪ হাজার মিটার সড়ক উন্নয়নে মেয়াদ ছিল মাত্র এক বছর। অথচ সেই এক বছরের কাজ শেষ হয়নি সাড়ে তিন বছরেও। ফলে অসমাপ্ত সড়কটি জলাশয়ে ধসে পড়েছে। খোয়াগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে যত্রতত্র। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। খুলনার কয়রা উপজেলায় চলমান রয়েছে ২৭টি সড়কের কাজ। এর মধ্যে ২৩টি সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। ফলে ধুলায় মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাজ সমাপ্তে বিলম্বের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের পাশপাশি তদারকির অভাবকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া কয়রা সদরের ইজিবাইক স্ট্যান্ড থেকে থানা অভিমুখী ডাকবাংলো পর্যন্ত সড়কের ৪৮০ মিটার গাইডওয়াল বাঁশ দিয়ে এবং ফিনিশিং এর নামে ২/৩ নং ইটের ডাস্টখোয়া ব্যবহার করে নির্মাণের অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পিচঢালা সড়কাটি সংস্কারের জন্য ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে গাইডওয়াল রয়েছে ৪৩৪ মিটার। মেসার্স তাবাসুম ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু ইউসুফ গাজী বলেন, সড়কের দুই পাশে কয়েকটি স্থানে ভাঙন রয়েছে, সেটা মেরামত না করেই চলছে নির্মাণকাজ। এখন ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের কাজ করা অংশ ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাবাসসুম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অবশ্য কয়রা উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন দাবি করেন, সড়কের কাজ নিয়মমাফিক এবং ঠিকঠাকভাবেই করা হচ্ছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলার ৯ উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ের ৭টি উন্নয়ন ও সংস্কার প্রকল্প চলমান রয়েছে। ৭টি প্রকল্পের আওতায় ১৮৩টি সড়কের কাজ চলছে। এর মধ্যে কয়রা উপজেলায় ২৭টি, পাইকগাছায় ১৬টি, ডুমুরিয়ায় ২৬টি, দাকোপে ৩০টি, বটিয়াঘাটায় ২৩টি, রূপসায় ১৭টি, দিঘলিয়ায় ২০টি, তেরখাদায় ২০টি ও ফুলতলায় ৪টি সড়ক। তবে সড়কগুলোর কোনোটিই নির্ধারিত মেয়াদে সমাপ্ত করার নজির সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নেই। বারবার শুধু মেয়াদই বাড়ছে, কিন্তু কাজ অসমাপ্ত রয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম সরদার বলেন, তাদের তদারকির কোনো অভাব নেই। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণেই মূলত কাজ সময়মতো শেষ হচ্ছে না। ফেলে রাখা কাজ বা কাজ নিয়ে বসে রয়েছে এমন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেখানে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করে হবে।
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ের চলমান রয়েছে ১৮৩টি সড়কের কাজ। জেলার ৯ উপজেলায় ৭টি উন্নয়ন ও সংস্কার প্রকল্পের আওতায় এ কাজ চলমান রয়েছে। যার অধিকাংশ কাজেরই মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও শেষ হয়নি। অনেক সড়কের কাজ ফেলে রেখে চলে গেছে ঠিকাদার। ফলে বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে। বারবার শুধু মেয়াদই বাড়ছে, কিন্তু কাজ অসমাপ্ত রয়ে যাচ্ছে।
এমনই দুর্দশায় জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষের চলাচলে নিত্য দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি চলমান আরও কয়েকটি সড়কের কাজে চলছে অনিয়ম-দুর্নীতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে খুলনার বালিয়াখালী বাজার-হামকুড়া-থুকড়া বাজার ৪ হাজার মিটার সড়ক উন্নয়নে মেয়াদ ছিল মাত্র এক বছর। অথচ সেই এক বছরের কাজ শেষ হয়নি সাড়ে তিন বছরেও। ফলে অসমাপ্ত সড়কটি জলাশয়ে ধসে পড়েছে। খোয়াগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে যত্রতত্র। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। খুলনার কয়রা উপজেলায় চলমান রয়েছে ২৭টি সড়কের কাজ। এর মধ্যে ২৩টি সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। ফলে ধুলায় মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাজ সমাপ্তে বিলম্বের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের পাশপাশি তদারকির অভাবকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া কয়রা সদরের ইজিবাইক স্ট্যান্ড থেকে থানা অভিমুখী ডাকবাংলো পর্যন্ত সড়কের ৪৮০ মিটার গাইডওয়াল বাঁশ দিয়ে এবং ফিনিশিং এর নামে ২/৩ নং ইটের ডাস্টখোয়া ব্যবহার করে নির্মাণের অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পিচঢালা সড়কাটি সংস্কারের জন্য ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে গাইডওয়াল রয়েছে ৪৩৪ মিটার। মেসার্স তাবাসুম ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু ইউসুফ গাজী বলেন, সড়কের দুই পাশে কয়েকটি স্থানে ভাঙন রয়েছে, সেটা মেরামত না করেই চলছে নির্মাণকাজ। এখন ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের কাজ করা অংশ ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাবাসসুম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অবশ্য কয়রা উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন দাবি করেন, সড়কের কাজ নিয়মমাফিক এবং ঠিকঠাকভাবেই করা হচ্ছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলার ৯ উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ের ৭টি উন্নয়ন ও সংস্কার প্রকল্প চলমান রয়েছে। ৭টি প্রকল্পের আওতায় ১৮৩টি সড়কের কাজ চলছে। এর মধ্যে কয়রা উপজেলায় ২৭টি, পাইকগাছায় ১৬টি, ডুমুরিয়ায় ২৬টি, দাকোপে ৩০টি, বটিয়াঘাটায় ২৩টি, রূপসায় ১৭টি, দিঘলিয়ায় ২০টি, তেরখাদায় ২০টি ও ফুলতলায় ৪টি সড়ক। তবে সড়কগুলোর কোনোটিই নির্ধারিত মেয়াদে সমাপ্ত করার নজির সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নেই। বারবার শুধু মেয়াদই বাড়ছে, কিন্তু কাজ অসমাপ্ত রয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম সরদার বলেন, তাদের তদারকির কোনো অভাব নেই। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণেই মূলত কাজ সময়মতো শেষ হচ্ছে না। ফেলে রাখা কাজ বা কাজ নিয়ে বসে রয়েছে এমন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেখানে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করে হবে।