ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেড় দশক আগে বাতিল হওয়া ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতির মামলা সচলের উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। ওই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ঠিক করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রোববার,(১৮ মে ২০২৫) এদিন ঠিক করে দেয় বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, এই মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক উপাদান রয়েছে। তিনি একজন এজাহারভুক্ত আসামি। মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর মামলা বাতিলের কোনো সুযোগ নাই। এ কারণে মামলাটি সচল করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে দুদকের কৌঁসুলি আসিফ হাসান বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়েছে। এই আপিলের ওপর ১৫ জুলাই শুনানি হবে।’
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে বেসরকারি তিনটি ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিশেষ সুবিধা দেয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি হয়েছিল। এতে শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনকে আসামি করেছিল দুদক। এরপর ২০০৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জাতীয় সংসদ ভবনে স্থাপিত ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ মামলার বিচার শুরু হয়। তখন আদালত ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। পরে শেখ হাসিনার আবেদনে এই মামলার বিচার কাজ স্থগিত করে হাইকোর্ট। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর মামলাটি বাতিলে রুল শুনানির উদ্যোগ নেন শেখ হাসিনা। ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি বাতিল করে রায় দেয়। উচ্চ আদালতের এই রায়ের পর দীর্ঘ দেড় দশক আপিল বিভাগে যায়নি দুদক।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মামলাটি সচলের উদ্যোগ নেয় দুদক। হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে ৫ হাজার ৪৫২ দিন বিলম্বনা মার্জনা চেয়ে গত ৫ মার্চ লিভ টু আপিল করে দুদক। গত ১৭ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৮ মে দিন ঠিক করে দেয়। এর ধারাবাহিকতায় আবেদনটি শুনানির জন্য রোববার কার্যতালিকায় ওঠে। আপিল বিভাগ জানায়, আবেদনটি প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
৭ বছর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলনের সময় ‘হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী, যিনি এখন আইনজীবী হিসেবে কর্মরত। মো. একরামুল হক নামে এই আইনজীবী রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মনিরুল ইসলামের আদালতে আবেদনটি করেন। তার জবানবন্দী গ্রহণ করে এ ঘটনায় মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) আছে কিনা, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে শাহবাগ থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। নিম্ন আদালতে কাজ করা এই আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলায় আরও যাদের আসামি করার জন্য আবেদন করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল হক হানিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী, পুলিশের সাবেক আইজি জাবেদ পাটোয়ারী, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, রমনার সাবেক ডিসি সাজ্জাদুর রহমান, শাহবাগ থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান।
মামলার আবেদনে একরামুল বলেছেন, ২০১৮ সালের মার্চ-এপ্রিলে যখন সরকারি চাকরির কোটা বাতিলের আন্দোলন শুরু হয় তখন তিনি ঢাকা বিশ্বদিল্যায়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। কোটা পদ্ধতির কারণে মেধাবী ছাত্রদের জন্য লেখাপড়া শেষ করে সরকারি চাকরি পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। কোটা পদ্ধতি বাতিল করার জন্য ছাত্ররা বিভিন্নভাবে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারকে অনুরোধ এবং কখনও কখনও চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।
সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মিছিল-সমাবেশে ‘ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী শেখ হাসিনাসহ আসামিদের মদদে হামলা চালায়’। ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে শিক্ষার্থীদের ‘মারাত্মকভাবে আহত’ করে। রাতে বিভিন্ন হলে তল্লাশি চালিয়ে সাধারণ ছাত্রদের শনাক্ত করে ‘বেদম মারধর করে’।
তিনি অভিযোগ করেন, সে বছর ২০ মে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে পড়ালেখা করে ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে নিয়ে ‘রাজাকারের বাচ্চা বলে উপর্যুপরি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে’। নির্যাতনে তিনি ‘জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন’। এ ঘটনায় ‘দিশেহারা’ হয়ে এক পর্যায়ে তিনি হল ছেড়ে ‘অসুস্থ অবস্থায়’ গ্রামের বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হন। পরবর্তী সময় আবারও হলে ফিরে এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের মারধর ও হয়রানি করা হয়।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে আবার শিক্ষার্থীরা মাঠে নামে। ঘটনা প্রবাহে সেই আন্দোলন অভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। আন্দোলন দমন-নিপীড়নের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ‘হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে কয়েকশ’ মামলা হয়েছে। এছাড়াও আগের বিভিন্ন ঘটনায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেড় দশক আগে বাতিল হওয়া ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতির মামলা সচলের উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। ওই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ঠিক করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রোববার,(১৮ মে ২০২৫) এদিন ঠিক করে দেয় বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, এই মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক উপাদান রয়েছে। তিনি একজন এজাহারভুক্ত আসামি। মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর মামলা বাতিলের কোনো সুযোগ নাই। এ কারণে মামলাটি সচল করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে দুদকের কৌঁসুলি আসিফ হাসান বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়েছে। এই আপিলের ওপর ১৫ জুলাই শুনানি হবে।’
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে বেসরকারি তিনটি ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিশেষ সুবিধা দেয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি হয়েছিল। এতে শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনকে আসামি করেছিল দুদক। এরপর ২০০৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জাতীয় সংসদ ভবনে স্থাপিত ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ মামলার বিচার শুরু হয়। তখন আদালত ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। পরে শেখ হাসিনার আবেদনে এই মামলার বিচার কাজ স্থগিত করে হাইকোর্ট। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর মামলাটি বাতিলে রুল শুনানির উদ্যোগ নেন শেখ হাসিনা। ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি বাতিল করে রায় দেয়। উচ্চ আদালতের এই রায়ের পর দীর্ঘ দেড় দশক আপিল বিভাগে যায়নি দুদক।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মামলাটি সচলের উদ্যোগ নেয় দুদক। হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে ৫ হাজার ৪৫২ দিন বিলম্বনা মার্জনা চেয়ে গত ৫ মার্চ লিভ টু আপিল করে দুদক। গত ১৭ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৮ মে দিন ঠিক করে দেয়। এর ধারাবাহিকতায় আবেদনটি শুনানির জন্য রোববার কার্যতালিকায় ওঠে। আপিল বিভাগ জানায়, আবেদনটি প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
৭ বছর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলনের সময় ‘হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী, যিনি এখন আইনজীবী হিসেবে কর্মরত। মো. একরামুল হক নামে এই আইনজীবী রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মনিরুল ইসলামের আদালতে আবেদনটি করেন। তার জবানবন্দী গ্রহণ করে এ ঘটনায় মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) আছে কিনা, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে শাহবাগ থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। নিম্ন আদালতে কাজ করা এই আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলায় আরও যাদের আসামি করার জন্য আবেদন করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল হক হানিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী, পুলিশের সাবেক আইজি জাবেদ পাটোয়ারী, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, রমনার সাবেক ডিসি সাজ্জাদুর রহমান, শাহবাগ থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান।
মামলার আবেদনে একরামুল বলেছেন, ২০১৮ সালের মার্চ-এপ্রিলে যখন সরকারি চাকরির কোটা বাতিলের আন্দোলন শুরু হয় তখন তিনি ঢাকা বিশ্বদিল্যায়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। কোটা পদ্ধতির কারণে মেধাবী ছাত্রদের জন্য লেখাপড়া শেষ করে সরকারি চাকরি পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। কোটা পদ্ধতি বাতিল করার জন্য ছাত্ররা বিভিন্নভাবে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারকে অনুরোধ এবং কখনও কখনও চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।
সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মিছিল-সমাবেশে ‘ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী শেখ হাসিনাসহ আসামিদের মদদে হামলা চালায়’। ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে শিক্ষার্থীদের ‘মারাত্মকভাবে আহত’ করে। রাতে বিভিন্ন হলে তল্লাশি চালিয়ে সাধারণ ছাত্রদের শনাক্ত করে ‘বেদম মারধর করে’।
তিনি অভিযোগ করেন, সে বছর ২০ মে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে পড়ালেখা করে ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে নিয়ে ‘রাজাকারের বাচ্চা বলে উপর্যুপরি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে’। নির্যাতনে তিনি ‘জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন’। এ ঘটনায় ‘দিশেহারা’ হয়ে এক পর্যায়ে তিনি হল ছেড়ে ‘অসুস্থ অবস্থায়’ গ্রামের বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হন। পরবর্তী সময় আবারও হলে ফিরে এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের মারধর ও হয়রানি করা হয়।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে আবার শিক্ষার্থীরা মাঠে নামে। ঘটনা প্রবাহে সেই আন্দোলন অভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। আন্দোলন দমন-নিপীড়নের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ‘হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে কয়েকশ’ মামলা হয়েছে। এছাড়াও আগের বিভিন্ন ঘটনায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।