বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপকদের ৩য় গ্রেড এবং সহকারী অধ্যাপক পদে ১০ বছর পূর্ণ হওয়া কর্মকর্তাদের ৫ম গ্রেড দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ২৮টি পদে অধ্যাপকদের ৩য় গ্রেড প্রদানের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারে অধ্যাপকের সংখ্যা দুই হাজারের কাছাকাছি।
৫ম গ্রেড দেয়ার প্রক্রিয়া
সহকারী অধ্যাপকদের ৮-১০ বছর ধরে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি, বঞ্চনা ও বৈষম্য প্রকট
বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারে ১৫ হাজার ৯৫০টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে অধ্যাপক রয়েছেন প্রায় দুই হাজার
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের উচ্চতর গ্রেড (৫ম) দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক চিঠি থেকে জানা গেছে।
এজন্য সহকারী অধ্যাপক পদে ১০ বছর পূর্ণ হওয়া কর্মকর্তাদের তথ্য আহ্বান করা হয়েছে। এসব শিক্ষকের আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মাউশি অধিদপ্তরের নির্ধারিত ছকে তথ্য পাঠাতে হবে। রোববার,(১৮ মে ২০২৫) মাউশি অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
মাউশির একজন পরিচালক সংবাদকে বলেছেন, ‘নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট পেয়ে অধ্যাপকের সমান বেতনভাতা পাচ্ছেন অনেক সহকারী অধ্যাপক। তাদের আট থেকে দশ বছর ধরে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি, বঞ্চনা ও বৈষম্য প্রকট।’
তিনি জানান, শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপকরা ৪র্থ গ্রেডে বেতনভাতা পান। কিন্তু এই ক্যাডারের শীর্ষ পদ অর্থাৎ মাউশি মহাপরিচালকের পদটি গ্রেড-১ এর। শীর্ষ পদ হলেও মাউশির শীর্ষ কর্মকর্তা ৪র্থ গ্রেডেই রয়েছেন। মহাপরিচালকের অধীনে পাঁচজন পরিচালক রয়েছেন। তারাও একই গ্রেডের অধ্যাপক।
চিঠিতে বলা হয়েছে, চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫-এর অনুচ্ছেদ ৭ (১) অনুযায়ী কোনো স্থায়ী কর্মচারী পদোন্নতি ব্যতিরেকে একই পদে ১০ বছর পূর্তিতে এবং চাকরি সন্তোষজনক হওয়া সাপেক্ষে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১১তম বৎসরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রাপ্য হবেন। এর আলোকে যেসব কর্মকর্তা সহকারী অধ্যাপক পদে ১০ বৎসর চাকরিকাল পূর্তিতে উচ্চতর (৫ম) গ্রেড প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন, সে সব কর্মকর্তাকে উল্লিখিত ‘ছকে’ তথ্য আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মাউশি অধিদপ্তরে আবেদন জমাদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
যে সব তথ্য চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে নাম, আইডি, পদবি, বিষয় কর্মস্থল চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ, সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি ও যোগদানের তারিখ, চাকরিকাল ১০ বছর পূর্তিতে ৫ম গ্রেড পাওয়ার তারিখ।
এছাড়াও যে সব কাগজ জমা দিতে হবে তা হলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার আবেদন, অধ্যক্ষ বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের অগ্রায়ণপত্র, ক্যাডারে ১ম যোগদানের আর্টিক্যাল-৪৭, চাকরি স্থায়ীকরণের প্রজ্ঞাপন, নিয়োগ ও পদায়নের আদেশ, নিয়মিতকরণের আদেশ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন, পদোন্নতি পাওয়া পদে যোগদানের আর্টিক্যাল-৪৭।
সরকার ২০১৪ সালে মাউশি মহাপরিচালকের পদটি সহ বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থার ৩০টি শীর্ষ পদকে গ্রেড-১ এর সমমর্যাদার ঘোষণা করে। এর পর শুধু মাউশির একজন মহাপরিচালক গ্রেড-১ এর মর্যাদা পেয়েছিলেন। বাকিরা চলতি বা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবেই মহাপরিচালকের মেয়াদ শেষ করেছেন।
অধ্যাপকদের গ্রেড উন্নীতকরণ :
অধ্যাপকদের গ্রেড উন্নীতকরণের লক্ষ্যে গত ৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে কিছু তথ্যা চাওয়া হয়।
‘বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের অধ্যাপক পদমর্যাদায় এক হাজার ২৮টি পদকে ৩য় গ্রেডের বেতনস্কেলে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক এক চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রস্তাবটি পর্যালোচনার নিমিত্ত নি¤েœাক্ত তথ্যাদি প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
চিঠিতে বলা হয়, ‘অধ্যাপকের এক হাজার ২৮টি পদ ক্যাডার সিডিউলভুক্ত কিনা তার স্বপক্ষে বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডার কম্পোজিশন রুলস অব ১৯৮০; প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে চলমান এ.টি. মামলা নং ২৬৫/২০২৩ এর সর্বশেষ অবস্থা; ৩য় গ্রেডে ৯৫টি অধ্যাপক পদ সৃজনের সর্বশেষ অবস্থা; এবং বেতনস্কেল উন্নীত করা হলে সাৎসরিক অতিরিক্ত আর্থিক সংশ্লেষের পরিমাণ (অর্থ বিভাগ কর্তৃক প্রতিপাদনকৃত)।’
মাউশি থেকে জানা গেছে, বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারে ১৫ হাজার ৯৫০টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে অধ্যাপক রয়েছেন প্রায় দুই হাজার।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্যা সংবাদকে বলেছেন, ‘৩য় গ্রেড দেয়ার কাজ চলছে। আগে ৯৫ জনকে ৩য় গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত জিওর (প্রজ্ঞাপন) অপেক্ষা আছে।’
এছাড়া ১২৫টি সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের (উপাধ্যক্ষ) পদকে অধ্যাপক পদে উন্নীত করার আদেশ হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মাউশি থেকে বিদ্যমান এক হাজার ২৮টি পদে ৩য় গ্রেডের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এটি শিক্ষা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গেছে। জনপ্রশাসন থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে গেছে।’ সেখান থেকে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানান মাউশির এইচআরএম শাখার এই উপ-পরিচালক।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপকদের ৩য় গ্রেড এবং সহকারী অধ্যাপক পদে ১০ বছর পূর্ণ হওয়া কর্মকর্তাদের ৫ম গ্রেড দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ২৮টি পদে অধ্যাপকদের ৩য় গ্রেড প্রদানের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারে অধ্যাপকের সংখ্যা দুই হাজারের কাছাকাছি।
৫ম গ্রেড দেয়ার প্রক্রিয়া
সহকারী অধ্যাপকদের ৮-১০ বছর ধরে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি, বঞ্চনা ও বৈষম্য প্রকট
বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারে ১৫ হাজার ৯৫০টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে অধ্যাপক রয়েছেন প্রায় দুই হাজার
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের উচ্চতর গ্রেড (৫ম) দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক চিঠি থেকে জানা গেছে।
এজন্য সহকারী অধ্যাপক পদে ১০ বছর পূর্ণ হওয়া কর্মকর্তাদের তথ্য আহ্বান করা হয়েছে। এসব শিক্ষকের আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মাউশি অধিদপ্তরের নির্ধারিত ছকে তথ্য পাঠাতে হবে। রোববার,(১৮ মে ২০২৫) মাউশি অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
মাউশির একজন পরিচালক সংবাদকে বলেছেন, ‘নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট পেয়ে অধ্যাপকের সমান বেতনভাতা পাচ্ছেন অনেক সহকারী অধ্যাপক। তাদের আট থেকে দশ বছর ধরে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি, বঞ্চনা ও বৈষম্য প্রকট।’
তিনি জানান, শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপকরা ৪র্থ গ্রেডে বেতনভাতা পান। কিন্তু এই ক্যাডারের শীর্ষ পদ অর্থাৎ মাউশি মহাপরিচালকের পদটি গ্রেড-১ এর। শীর্ষ পদ হলেও মাউশির শীর্ষ কর্মকর্তা ৪র্থ গ্রেডেই রয়েছেন। মহাপরিচালকের অধীনে পাঁচজন পরিচালক রয়েছেন। তারাও একই গ্রেডের অধ্যাপক।
চিঠিতে বলা হয়েছে, চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫-এর অনুচ্ছেদ ৭ (১) অনুযায়ী কোনো স্থায়ী কর্মচারী পদোন্নতি ব্যতিরেকে একই পদে ১০ বছর পূর্তিতে এবং চাকরি সন্তোষজনক হওয়া সাপেক্ষে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১১তম বৎসরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রাপ্য হবেন। এর আলোকে যেসব কর্মকর্তা সহকারী অধ্যাপক পদে ১০ বৎসর চাকরিকাল পূর্তিতে উচ্চতর (৫ম) গ্রেড প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন, সে সব কর্মকর্তাকে উল্লিখিত ‘ছকে’ তথ্য আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মাউশি অধিদপ্তরে আবেদন জমাদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
যে সব তথ্য চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে নাম, আইডি, পদবি, বিষয় কর্মস্থল চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ, সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি ও যোগদানের তারিখ, চাকরিকাল ১০ বছর পূর্তিতে ৫ম গ্রেড পাওয়ার তারিখ।
এছাড়াও যে সব কাগজ জমা দিতে হবে তা হলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার আবেদন, অধ্যক্ষ বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের অগ্রায়ণপত্র, ক্যাডারে ১ম যোগদানের আর্টিক্যাল-৪৭, চাকরি স্থায়ীকরণের প্রজ্ঞাপন, নিয়োগ ও পদায়নের আদেশ, নিয়মিতকরণের আদেশ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন, পদোন্নতি পাওয়া পদে যোগদানের আর্টিক্যাল-৪৭।
সরকার ২০১৪ সালে মাউশি মহাপরিচালকের পদটি সহ বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থার ৩০টি শীর্ষ পদকে গ্রেড-১ এর সমমর্যাদার ঘোষণা করে। এর পর শুধু মাউশির একজন মহাপরিচালক গ্রেড-১ এর মর্যাদা পেয়েছিলেন। বাকিরা চলতি বা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবেই মহাপরিচালকের মেয়াদ শেষ করেছেন।
অধ্যাপকদের গ্রেড উন্নীতকরণ :
অধ্যাপকদের গ্রেড উন্নীতকরণের লক্ষ্যে গত ৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে কিছু তথ্যা চাওয়া হয়।
‘বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের অধ্যাপক পদমর্যাদায় এক হাজার ২৮টি পদকে ৩য় গ্রেডের বেতনস্কেলে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক এক চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রস্তাবটি পর্যালোচনার নিমিত্ত নি¤েœাক্ত তথ্যাদি প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
চিঠিতে বলা হয়, ‘অধ্যাপকের এক হাজার ২৮টি পদ ক্যাডার সিডিউলভুক্ত কিনা তার স্বপক্ষে বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডার কম্পোজিশন রুলস অব ১৯৮০; প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে চলমান এ.টি. মামলা নং ২৬৫/২০২৩ এর সর্বশেষ অবস্থা; ৩য় গ্রেডে ৯৫টি অধ্যাপক পদ সৃজনের সর্বশেষ অবস্থা; এবং বেতনস্কেল উন্নীত করা হলে সাৎসরিক অতিরিক্ত আর্থিক সংশ্লেষের পরিমাণ (অর্থ বিভাগ কর্তৃক প্রতিপাদনকৃত)।’
মাউশি থেকে জানা গেছে, বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারে ১৫ হাজার ৯৫০টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে অধ্যাপক রয়েছেন প্রায় দুই হাজার।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্যা সংবাদকে বলেছেন, ‘৩য় গ্রেড দেয়ার কাজ চলছে। আগে ৯৫ জনকে ৩য় গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত জিওর (প্রজ্ঞাপন) অপেক্ষা আছে।’
এছাড়া ১২৫টি সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের (উপাধ্যক্ষ) পদকে অধ্যাপক পদে উন্নীত করার আদেশ হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মাউশি থেকে বিদ্যমান এক হাজার ২৮টি পদে ৩য় গ্রেডের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এটি শিক্ষা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গেছে। জনপ্রশাসন থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে গেছে।’ সেখান থেকে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানান মাউশির এইচআরএম শাখার এই উপ-পরিচালক।