আপাতত ইউজিসির তত্ত্বাবধানে সমন্বিত কাঠামোর অধীন রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের কার্যক্রম চলবে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকবে। সাময়িক এই ব্যবস্থায় প্রশাসকের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন ঢাকা কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ একেএম ইলিয়াস।
সরকার তাকে দুই বছরের জন্য ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে। এখন তাকেই প্রশাসক করা হবে। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান দপ্তর ঢাকা কলেজে হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সূত্রে জানা গেছে।
চুক্তি ভিত্তিতে অধ্যাপক একেএম ইলিয়াসকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রোববার,(১৮ মে ২০২৫) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে এই দায়িত্ব পালন করবেন।
সাত কলেজ এক সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত ছিল। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়। এর পর থেকে যথাসময়ে পরীক্ষা নেয়া, ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রায়ই আন্দোলন করে আসছিলেন কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত জানুয়ারিতে সাত কলেজকে আবারও ঢাবি থেকে আলাদা করার ঘোষণা দেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
ঢাবি অধিভুক্তি বাতিলের ঘোষণার পর সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেটির নাম হবে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি চলবে ‘হাইব্রিড মডেলে’।
এই বিশ^বিদ্যালয়ে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে এবং বাকি ৬০ শতাংশ ক্লাস সশরীর নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে জানিয়ে ইউজিসি বলছে, কলেজগুলিতে সব বিষয় পড়ানো হবে না। এক বা একাধিক কলেজে অনুষদভিত্তিক ক্লাস হবে। যেমন সরকারি তিতুমীর কলেজে হতে পারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোর ক্লাস। একইভাবে অন্য কলেজে অন্য অনুষদভুক্ত বিষয়ের ক্লাস হতে পারে।
নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার উল্লেখ করে ইউজিসি কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আইন পাস, অবকাঠামোসহ আনুষঙ্গিক নানা বিষয় রয়েছে। সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার আগে যে সাময়িক বা অন্তর্বর্তী কাঠামোতে কলেজগুলোর কাজ চলবে, তাতে এ কাঠামোর প্রধান (প্রশাসক) হিসেবে কাজ করবেন সাত কলেজের যেকোনো একজন অধ্যক্ষ। এতে
ঢাবির ভর্তি দপ্তর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর, রেজিস্ট্রার দপ্তর ও হিসাব দপ্তরের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। এসব কার্যক্রম চূড়ান্ত করতেই দেরি হচ্ছিল।
এ নিয়ে ফের আন্দোলনের হুমকি দেয় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, রোববারের (গতকাল) মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে সোমবার (আজ) থেকে আবারও কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন শিক্ষার্থীরা।
একই সঙ্গে তারা পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’এর রূপরেখা ও মনোগ্রাম প্রকাশ এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করারও দাবি জানান।
ঢাকার সাত সরকারি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ। এসব কলেজে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী এবং এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছে।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
আপাতত ইউজিসির তত্ত্বাবধানে সমন্বিত কাঠামোর অধীন রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের কার্যক্রম চলবে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকবে। সাময়িক এই ব্যবস্থায় প্রশাসকের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন ঢাকা কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ একেএম ইলিয়াস।
সরকার তাকে দুই বছরের জন্য ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে। এখন তাকেই প্রশাসক করা হবে। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান দপ্তর ঢাকা কলেজে হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সূত্রে জানা গেছে।
চুক্তি ভিত্তিতে অধ্যাপক একেএম ইলিয়াসকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রোববার,(১৮ মে ২০২৫) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে এই দায়িত্ব পালন করবেন।
সাত কলেজ এক সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত ছিল। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়। এর পর থেকে যথাসময়ে পরীক্ষা নেয়া, ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রায়ই আন্দোলন করে আসছিলেন কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত জানুয়ারিতে সাত কলেজকে আবারও ঢাবি থেকে আলাদা করার ঘোষণা দেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
ঢাবি অধিভুক্তি বাতিলের ঘোষণার পর সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেটির নাম হবে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি চলবে ‘হাইব্রিড মডেলে’।
এই বিশ^বিদ্যালয়ে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে এবং বাকি ৬০ শতাংশ ক্লাস সশরীর নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে জানিয়ে ইউজিসি বলছে, কলেজগুলিতে সব বিষয় পড়ানো হবে না। এক বা একাধিক কলেজে অনুষদভিত্তিক ক্লাস হবে। যেমন সরকারি তিতুমীর কলেজে হতে পারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোর ক্লাস। একইভাবে অন্য কলেজে অন্য অনুষদভুক্ত বিষয়ের ক্লাস হতে পারে।
নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার উল্লেখ করে ইউজিসি কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আইন পাস, অবকাঠামোসহ আনুষঙ্গিক নানা বিষয় রয়েছে। সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার আগে যে সাময়িক বা অন্তর্বর্তী কাঠামোতে কলেজগুলোর কাজ চলবে, তাতে এ কাঠামোর প্রধান (প্রশাসক) হিসেবে কাজ করবেন সাত কলেজের যেকোনো একজন অধ্যক্ষ। এতে
ঢাবির ভর্তি দপ্তর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর, রেজিস্ট্রার দপ্তর ও হিসাব দপ্তরের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। এসব কার্যক্রম চূড়ান্ত করতেই দেরি হচ্ছিল।
এ নিয়ে ফের আন্দোলনের হুমকি দেয় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, রোববারের (গতকাল) মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে সোমবার (আজ) থেকে আবারও কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন শিক্ষার্থীরা।
একই সঙ্গে তারা পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’এর রূপরেখা ও মনোগ্রাম প্রকাশ এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করারও দাবি জানান।
ঢাকার সাত সরকারি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ। এসব কলেজে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী এবং এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছে।