ভেক্যু ও ট্রাক্টর ছেড়ে দিতে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ
‘এসিল্যান্ড ২ লাখের কমে মানবে না, মানতেছে না। যা করার আজ রাতের মধ্যে করো, নইলে কালকে মামলা হবে।’- এভাবেই মুঠোফোনে এসিল্যান্ডের নাম করে আটককৃত ভেক্যু (এক্সক্যাভেটর) ও ট্রাক্টর ছেড়ে দিতে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন মিঠাপুকুর উপজেলার জামায়াতের সেক্রেটারি ও মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।
এমন একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।
পরে টাকা নিয়ে ভেক্যু (এক্সক্যাভেটর) ও ট্রাক্টর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু মিঠাপুকুর এসিল্যান্ড এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানা গেছে। এসিল্যান্ড কার্যলয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই জামায়াত নেতা ও চেয়ারম্যানের সুপারিশে মুচলেকা নিয়ে ভেক্যু ও ট্রাক্টর ছেড়ে দেয়া হয়। সেখানে জরিমানার কোনো টাকা আদায় করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার বাচ্চা মিয়ার পুকুর খননকালে চলতি মাসের ২ তারিখে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুলতামিস বিল্লাহ অভিযান পরিচালনা করে ভেক্যু ও ট্রাক্টর আটক করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে কেউ ছিলেন না। একারণে জেল-জরিমানা করা হয়নি। পরে আটককৃত ভেক্যু ও ট্রাক্টর ঘটনাস্থলে রেখে ব্যাটারি খুলে চেয়ারম্যান ও জামায়াতের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলামের জিম্মায় দেয়া হয়। এরপর হতে ভেক্যুর ও ট্রাক্টর উদ্ধার করতে লবিং গ্রুপিং শুরু হয়। ভেক্যু ভাড়াটিয়া জুয়েল মিয়ার নিকট ২ লাখ টাকা দাবি করেন মিঠাপুকুর জামায়াতের সেক্রেটারি ও মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। পরে দাবিকৃত টাকা দিয়ে ভেক্যু ও ট্রাক্টর উদ্ধার করা হয়েছে।
ভেক্যু ভাড়াটিয়া জুয়েল মিয়া বলেন, এসিল্যান্ড ভেক্যু ও ট্রাক্টর আটকের সময় আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এ কারণে জরিমানা হয়নি। চেয়ারম্যানের জিম্মায় ব্যাটারি খুলে দিয়েছিল এসিল্যান্ড। ভেক্যু ছেড়ে দিতে চেয়ারম্যান আমার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ২ লাখ টাকাই দেয়া হয়েছে। ৫ হাজার টাকা কম দিতে চেয়েছিলাম, তিনি এক টাকাও কম নেননি। তিনি আরও বলেন, এরপর চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল নামে একজন মাটি ব্যবসায়ীকে ভেক্যুর মালিক সাজিয়ে মুছলেকা দিয়ে এসিল্যান্ড অফিস হতে ভেক্যুটি উদ্ধার করেন। আমি ভেক্যু বুঝে পেয়ে মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছি।
মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ৩ দিন ধরে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল ধরেনি। পরে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘক্ষণ আপেক্ষা করলেও তিনি দেখা করেননি।
মিঠাপুকুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুলতাসিম বিল্লাহ বলেন, সেখানে অভিযান পরিচালনা করে কোনো জরিমানা করা হয়নি। চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের জিম্মায় রেখে আসা হয়েছিল। পরে চেয়ারম্যানের সুপারিশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার নাম করে কেউ টাকা গ্রহণ করলে, সেটির দায়ভার তিনিই বহন করবেন। আমি জিম্মায় দিয়ে দিয়েছি, আমি দায়মুক্ত।
ওই জামায়াত নেতা ও চেয়ারম্যানের সুপারিশে মুছলেকা নিয়ে ভেক্যু ও ট্রাক্টর ছেড়ে দেয়া হয়। জরিমানার কোনো টাকা আদায় করা হয়নি: সূত্র- এসিল্যান্ড কার্যালয়
ভেক্যু ও ট্রাক্টর ছেড়ে দিতে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
‘এসিল্যান্ড ২ লাখের কমে মানবে না, মানতেছে না। যা করার আজ রাতের মধ্যে করো, নইলে কালকে মামলা হবে।’- এভাবেই মুঠোফোনে এসিল্যান্ডের নাম করে আটককৃত ভেক্যু (এক্সক্যাভেটর) ও ট্রাক্টর ছেড়ে দিতে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন মিঠাপুকুর উপজেলার জামায়াতের সেক্রেটারি ও মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।
এমন একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।
পরে টাকা নিয়ে ভেক্যু (এক্সক্যাভেটর) ও ট্রাক্টর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু মিঠাপুকুর এসিল্যান্ড এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানা গেছে। এসিল্যান্ড কার্যলয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই জামায়াত নেতা ও চেয়ারম্যানের সুপারিশে মুচলেকা নিয়ে ভেক্যু ও ট্রাক্টর ছেড়ে দেয়া হয়। সেখানে জরিমানার কোনো টাকা আদায় করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার বাচ্চা মিয়ার পুকুর খননকালে চলতি মাসের ২ তারিখে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুলতামিস বিল্লাহ অভিযান পরিচালনা করে ভেক্যু ও ট্রাক্টর আটক করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে কেউ ছিলেন না। একারণে জেল-জরিমানা করা হয়নি। পরে আটককৃত ভেক্যু ও ট্রাক্টর ঘটনাস্থলে রেখে ব্যাটারি খুলে চেয়ারম্যান ও জামায়াতের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলামের জিম্মায় দেয়া হয়। এরপর হতে ভেক্যুর ও ট্রাক্টর উদ্ধার করতে লবিং গ্রুপিং শুরু হয়। ভেক্যু ভাড়াটিয়া জুয়েল মিয়ার নিকট ২ লাখ টাকা দাবি করেন মিঠাপুকুর জামায়াতের সেক্রেটারি ও মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। পরে দাবিকৃত টাকা দিয়ে ভেক্যু ও ট্রাক্টর উদ্ধার করা হয়েছে।
ভেক্যু ভাড়াটিয়া জুয়েল মিয়া বলেন, এসিল্যান্ড ভেক্যু ও ট্রাক্টর আটকের সময় আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এ কারণে জরিমানা হয়নি। চেয়ারম্যানের জিম্মায় ব্যাটারি খুলে দিয়েছিল এসিল্যান্ড। ভেক্যু ছেড়ে দিতে চেয়ারম্যান আমার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ২ লাখ টাকাই দেয়া হয়েছে। ৫ হাজার টাকা কম দিতে চেয়েছিলাম, তিনি এক টাকাও কম নেননি। তিনি আরও বলেন, এরপর চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল নামে একজন মাটি ব্যবসায়ীকে ভেক্যুর মালিক সাজিয়ে মুছলেকা দিয়ে এসিল্যান্ড অফিস হতে ভেক্যুটি উদ্ধার করেন। আমি ভেক্যু বুঝে পেয়ে মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছি।
মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ৩ দিন ধরে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল ধরেনি। পরে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘক্ষণ আপেক্ষা করলেও তিনি দেখা করেননি।
মিঠাপুকুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুলতাসিম বিল্লাহ বলেন, সেখানে অভিযান পরিচালনা করে কোনো জরিমানা করা হয়নি। চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের জিম্মায় রেখে আসা হয়েছিল। পরে চেয়ারম্যানের সুপারিশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার নাম করে কেউ টাকা গ্রহণ করলে, সেটির দায়ভার তিনিই বহন করবেন। আমি জিম্মায় দিয়ে দিয়েছি, আমি দায়মুক্ত।
ওই জামায়াত নেতা ও চেয়ারম্যানের সুপারিশে মুছলেকা নিয়ে ভেক্যু ও ট্রাক্টর ছেড়ে দেয়া হয়। জরিমানার কোনো টাকা আদায় করা হয়নি: সূত্র- এসিল্যান্ড কার্যালয়