শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন উপাচার্য
নিয়োগের তিন সপ্তাহের মাথায় পদত্যাগ করলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য অধ্যাপক মো. হযরত আলী। শিক্ষকদের আন্দোলনে অচলাবস্থার মধ্যেই গতকাল বুধবার (২১ মে) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে কুয়েটের উপ-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান জানিয়েছেন।
এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগ ও নতুন উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষার্থীদের একটি দলও তাদের মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে। তবে গত ১৯ মে দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন কুয়েট উপাচার্য মো. হযরত আলী।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৫ এপ্রিল তৎকালীন উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলমকে সরিয়ে দেয় সরকার।
এরপর ১ মে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-চুয়েটের অধ্যাপক মো. হযরত আলীকে কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
তবে ওই সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচারিক প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার অভিযোগে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। কর্মবিরতির পর এখন প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকেও বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষকদের অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না এবং স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
এসব কারণে তিন মাস ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এতে সেশনজট বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এমনিতে এক বছরেরও বেশি সেশনজট ছিল; এরপর আরও তিন মাস তারা পিছিয়ে গেছেন।
শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন উপাচার্য
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
নিয়োগের তিন সপ্তাহের মাথায় পদত্যাগ করলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য অধ্যাপক মো. হযরত আলী। শিক্ষকদের আন্দোলনে অচলাবস্থার মধ্যেই গতকাল বুধবার (২১ মে) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে কুয়েটের উপ-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান জানিয়েছেন।
এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগ ও নতুন উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষার্থীদের একটি দলও তাদের মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে। তবে গত ১৯ মে দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন কুয়েট উপাচার্য মো. হযরত আলী।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৫ এপ্রিল তৎকালীন উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলমকে সরিয়ে দেয় সরকার।
এরপর ১ মে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-চুয়েটের অধ্যাপক মো. হযরত আলীকে কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
তবে ওই সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচারিক প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার অভিযোগে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। কর্মবিরতির পর এখন প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকেও বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষকদের অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না এবং স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
এসব কারণে তিন মাস ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এতে সেশনজট বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এমনিতে এক বছরেরও বেশি সেশনজট ছিল; এরপর আরও তিন মাস তারা পিছিয়ে গেছেন।