রোববার এনটিআরসিএ সনদধারী শিক্ষকদের সচিবালয়মুখী মিছিলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে -সংবাদ
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি না পাওয়া সনদধারীদের (এনটিআরসিএ) সচিবালয়মুখী মিছিল সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির’ দাবিতে নিবন্ধনধারীরা মিছিল নিয়ে রোববার,(১৫ জুন ২০২৫) বেলা দেড়টার দিকে সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এর আগে সকালে তারা ‘এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম’ এর ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।
পুলিশের দাবি, তারা গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা সচিবালয় এলাকা থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে তা মানতে অপারগতা প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ৭টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
১-১৭তম ও ১-১২তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি না পাওয়া ‘জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ) সনদধারীরা আলাদাভাবে লং মার্চ ও অবস্থান কর্মসূচি ডাকেন।
রোববার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ ব্যাপারে ‘নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম’ এর সভানেত্রী নীলিমা চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, তারা ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেখানে তাদের ওপরে এই হামলা হলো। এটা ‘ক্ষোভের, এটা বেদনার, নিন্দার ভাষা’ নেই।
কেন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে না প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘কেন অসহায় কিছু মানুষ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি? এর আমরা অবসান চাই।’
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৭টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছে। সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল।’
সচিবালয় অভিমুখে তাদের লং মার্চ কর্মসূচি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই তারা কর্মসূচি পালন করেছে প্রেসক্লাবের সামনে। তারপর হঠাৎ দুপুর দেড়টার সময় তারা এখানে এসেছিল।’
আন্দোলনকারীদের পাঁচজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে সচিবালয় পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে মাসুদ আলম বলেন, ‘সচিবালয়ে উনারা গিয়ে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে কথা বলে তাদের বিষয়গুলো আপডেটগুলো জেনে আসুক। তো তাদের এই পাঁচজন গেছে। যাওয়ার পরে ওই পাঁচজন মনে হয়, ওখানে তারা এ রকম বলছে যে, এ রকম তারা এখানে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওখান
থেকে যাবে না, বা এর বাইরে আর কোনো সুযোগ নাই।’
এ পুলিশ কর্মকর্তারা আরও বলেন, ‘তারা আবার এই যে লিংক রোডে চলে আসে, লিংক রোডে যথারীতি আমাদের একটা ব্যারিকেড আছে, ব্যারিকেডটা যখন ভাঙার চেষ্টা করে তখন পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়, ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু এরপরেও তারা মানছিল না, একটু বেপরোয়াও হয়ে গিয়েছিল।
সচিবালয় এলাকায় ‘১৪৪ ধারা’ জারি করা আছে জানিয়ে মাসুদ আলম বলেন, ‘সচিবালয়ে তো আমরা এলে যেতেও দিতে পারি না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের মনে হয় এক-দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এতে আমাদের দুই-একজন পুলিশ সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন।’
এনটিআরসিএ সনদধারীদের দাবিগুলো হলো:
১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে। ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে। আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ-র সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের দাবিতে গত ৫ মে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীরা ঢাকার ইস্কাটনে এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।
রোববার এনটিআরসিএ সনদধারী শিক্ষকদের সচিবালয়মুখী মিছিলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে -সংবাদ
রোববার, ১৫ জুন ২০২৫
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি না পাওয়া সনদধারীদের (এনটিআরসিএ) সচিবালয়মুখী মিছিল সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির’ দাবিতে নিবন্ধনধারীরা মিছিল নিয়ে রোববার,(১৫ জুন ২০২৫) বেলা দেড়টার দিকে সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এর আগে সকালে তারা ‘এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম’ এর ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।
পুলিশের দাবি, তারা গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা সচিবালয় এলাকা থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে তা মানতে অপারগতা প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ৭টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
১-১৭তম ও ১-১২তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি না পাওয়া ‘জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ) সনদধারীরা আলাদাভাবে লং মার্চ ও অবস্থান কর্মসূচি ডাকেন।
রোববার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ ব্যাপারে ‘নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম’ এর সভানেত্রী নীলিমা চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, তারা ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেখানে তাদের ওপরে এই হামলা হলো। এটা ‘ক্ষোভের, এটা বেদনার, নিন্দার ভাষা’ নেই।
কেন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে না প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘কেন অসহায় কিছু মানুষ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি? এর আমরা অবসান চাই।’
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৭টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছে। সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল।’
সচিবালয় অভিমুখে তাদের লং মার্চ কর্মসূচি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই তারা কর্মসূচি পালন করেছে প্রেসক্লাবের সামনে। তারপর হঠাৎ দুপুর দেড়টার সময় তারা এখানে এসেছিল।’
আন্দোলনকারীদের পাঁচজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে সচিবালয় পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে মাসুদ আলম বলেন, ‘সচিবালয়ে উনারা গিয়ে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে কথা বলে তাদের বিষয়গুলো আপডেটগুলো জেনে আসুক। তো তাদের এই পাঁচজন গেছে। যাওয়ার পরে ওই পাঁচজন মনে হয়, ওখানে তারা এ রকম বলছে যে, এ রকম তারা এখানে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওখান
থেকে যাবে না, বা এর বাইরে আর কোনো সুযোগ নাই।’
এ পুলিশ কর্মকর্তারা আরও বলেন, ‘তারা আবার এই যে লিংক রোডে চলে আসে, লিংক রোডে যথারীতি আমাদের একটা ব্যারিকেড আছে, ব্যারিকেডটা যখন ভাঙার চেষ্টা করে তখন পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়, ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু এরপরেও তারা মানছিল না, একটু বেপরোয়াও হয়ে গিয়েছিল।
সচিবালয় এলাকায় ‘১৪৪ ধারা’ জারি করা আছে জানিয়ে মাসুদ আলম বলেন, ‘সচিবালয়ে তো আমরা এলে যেতেও দিতে পারি না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের মনে হয় এক-দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এতে আমাদের দুই-একজন পুলিশ সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন।’
এনটিআরসিএ সনদধারীদের দাবিগুলো হলো:
১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে। ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে। আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ-র সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের দাবিতে গত ৫ মে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীরা ঢাকার ইস্কাটনে এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।