সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম মঙ্গলবার সচিবালয়ে ‘গণসংযোগ কর্মসূচি’ পালন করবে।
সোমবার,(২৩ জুন ২০২৫) সচিবালয়ে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মচারীরা। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সচিবালয়ের ২ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলার কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে কর্মচারীরা একত্রিত হন।
কর্মসূচির শুরুতে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর বলেন, অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে আমরা গণসংযোগ করব। বাইরের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও কথা হবে। সবাইকে একযোগে কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, সচিবালয়ের বাইরের অন্তত ৫০টি সংগঠন যৌথভাবে কর্মসূচি পালন করতে চায়। কর্মচারীদের নিজেদের মধ্যে সক্রিয় যোগাযোগ রাখতে নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, এমনও হতে পারে কাল (মঙ্গলবার) ঘোষণা আসবে যে আন্দোলনের প্রয়োজন নেই।
কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে এখনও কোনো মেসেজ আসেনি। সাবেক দুইজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়েছে। যারা মঙ্গলবার ক্ষমতার দম্ভ দেখাচ্ছেন, তাদের শেখার অনেক কিছু আছে। কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে। তিনি নেতাদের মধ্যে কেউ যেন উত্তেজনাকর বা নেতিবাচক বক্তব্য না দেন, সেই আহ্বানও জানান।
উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। কিন্তু ২৫ মে রাতে সরকার অধ্যাদেশটি জারি করে। এতে বলা হয়, চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মচারীরা সর্বশেষ ৩ জুন পর্যন্ত সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন এবং সরকারের সাতজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন। ১৬ জুন থেকে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেয়া হলেও সরকার ৪ জুন অধ্যাদেশ পর্যালোচনার জন্য আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে।
আইন উপদেষ্টা কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, কমিটির সুপারিশ না আসা পর্যন্ত আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে।
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম মঙ্গলবার সচিবালয়ে ‘গণসংযোগ কর্মসূচি’ পালন করবে।
সোমবার,(২৩ জুন ২০২৫) সচিবালয়ে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মচারীরা। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সচিবালয়ের ২ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলার কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে কর্মচারীরা একত্রিত হন।
কর্মসূচির শুরুতে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর বলেন, অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে আমরা গণসংযোগ করব। বাইরের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও কথা হবে। সবাইকে একযোগে কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, সচিবালয়ের বাইরের অন্তত ৫০টি সংগঠন যৌথভাবে কর্মসূচি পালন করতে চায়। কর্মচারীদের নিজেদের মধ্যে সক্রিয় যোগাযোগ রাখতে নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, এমনও হতে পারে কাল (মঙ্গলবার) ঘোষণা আসবে যে আন্দোলনের প্রয়োজন নেই।
কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে এখনও কোনো মেসেজ আসেনি। সাবেক দুইজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়েছে। যারা মঙ্গলবার ক্ষমতার দম্ভ দেখাচ্ছেন, তাদের শেখার অনেক কিছু আছে। কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে। তিনি নেতাদের মধ্যে কেউ যেন উত্তেজনাকর বা নেতিবাচক বক্তব্য না দেন, সেই আহ্বানও জানান।
উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। কিন্তু ২৫ মে রাতে সরকার অধ্যাদেশটি জারি করে। এতে বলা হয়, চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মচারীরা সর্বশেষ ৩ জুন পর্যন্ত সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন এবং সরকারের সাতজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন। ১৬ জুন থেকে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেয়া হলেও সরকার ৪ জুন অধ্যাদেশ পর্যালোচনার জন্য আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে।
আইন উপদেষ্টা কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, কমিটির সুপারিশ না আসা পর্যন্ত আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে।