ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয়ের গেট খুলে দেয়া হয়েছে। টানা ৪০ দিনের মাথায় সোমবার,(২৩ জুন ২০২৫) সকালে নগর ভবনের তালা খুলে দেয়া হয়। এ সময় ডিএসসিসির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে, নাগরিক সেবা কার্যক্রম আংশিকভাবে শুরু হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বন্ধ ছিল নগর ভবনের প্রশাসক ও প্রকৌশলী বিভাগ।
বন্ধ প্রশাসক-প্রকৌশলী বিভাগ
দপ্তর দু’টি কবে খুলবে? জবাবে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে’
পাশাপাশি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে সোমবার ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন তার সমর্থকরা। গতকাল রোববার নগর ভবনে সংবাদ সম্মেল করেন ঢাকাবাসীর ব্যানারে করা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাবেক সচিব মশিউর রহমান। সে সময় নাগরিক সেবা চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্মরতদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
সোমবার নগর ভবনের অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন সুদর্শন পাল, আশা আক্তার। ওই তথ্যকেন্দ্রেই বসে ছিলেন ও প্রকৌশল বিভাগের মমতাজ বেগম।
এই তথ্যকেন্দ্রে বসে থাকা মমতাজ বেগম সংবাদকে বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস খোলা। কার্যক্রম চলতেছে। শুধু প্রশাসক আর ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তর বন্ধ। আমি ইঞ্জিনিয়ার ডিভিশনেরই স্টাফ। আমার দপবদর বন্ধ দেইখা এখানে সময় কাটাইতেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রাসেল রহমান সংবাদকে বলেন, ‘প্রকৌশলীদের দপ্তর ও প্রশাসক দপ্তর বন্ধ আছে।’ দপ্তর দু’টি কবে খুলবে? এ প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে। যারা আন্দোলন করেছেন, তারাইতো খুলে দিয়েছেন।’
গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও তাতে যোগ দেয়।
আন্দোলনকারীরা নগর ভবনের প্রধান ফটক, বিভিন্ন দপ্তরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এতে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। মাঝে ঈদ ঘিরে ছুটির ক’দিন নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের আন্দোলনে পাওয়া যায়নি। ঈদের ছুটির শেষে অফিস খোলার প্রথম দিন থেকেই ফের সেখানে আন্দোলন শুরু করেন ইশরাক সমর্থকরা।
সে সময় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেবা কার্যক্রমে অচলাবস্থা কাটাতে নিজের তত্ত্বাবধানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন ইশরাক। জন্ম নিবন্ধন সনদসহ দৈনন্দিন জরুরি সব সেবা চালু থাকার ঘোষণা দিয়ে ইশরাক বলেছিলেন, অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা করা কর্মকর্তারা অফিস করতে পারবে না।
এর মধ্যে নগর ভবনে কর্মচারীদের নিয়ে সভা করেন ইশরাক। সভার ব্যানারে তার নামের আগে লেখা ছিল ‘মাননীয় মেয়র’। এরপর গত ১৮ জুন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, মেয়াদ ‘শেষ হয়ে যাওয়ায়’ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের আর শপথ নেয়ার সুযোগ নেই।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিতে ইশরাক সমর্থকরা আন্দোলনে নামলে নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে।.
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয়ের গেট খুলে দেয়া হয়েছে। টানা ৪০ দিনের মাথায় সোমবার,(২৩ জুন ২০২৫) সকালে নগর ভবনের তালা খুলে দেয়া হয়। এ সময় ডিএসসিসির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে, নাগরিক সেবা কার্যক্রম আংশিকভাবে শুরু হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বন্ধ ছিল নগর ভবনের প্রশাসক ও প্রকৌশলী বিভাগ।
বন্ধ প্রশাসক-প্রকৌশলী বিভাগ
দপ্তর দু’টি কবে খুলবে? জবাবে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে’
পাশাপাশি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে সোমবার ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন তার সমর্থকরা। গতকাল রোববার নগর ভবনে সংবাদ সম্মেল করেন ঢাকাবাসীর ব্যানারে করা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাবেক সচিব মশিউর রহমান। সে সময় নাগরিক সেবা চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্মরতদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
সোমবার নগর ভবনের অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন সুদর্শন পাল, আশা আক্তার। ওই তথ্যকেন্দ্রেই বসে ছিলেন ও প্রকৌশল বিভাগের মমতাজ বেগম।
এই তথ্যকেন্দ্রে বসে থাকা মমতাজ বেগম সংবাদকে বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস খোলা। কার্যক্রম চলতেছে। শুধু প্রশাসক আর ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তর বন্ধ। আমি ইঞ্জিনিয়ার ডিভিশনেরই স্টাফ। আমার দপবদর বন্ধ দেইখা এখানে সময় কাটাইতেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রাসেল রহমান সংবাদকে বলেন, ‘প্রকৌশলীদের দপ্তর ও প্রশাসক দপ্তর বন্ধ আছে।’ দপ্তর দু’টি কবে খুলবে? এ প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে। যারা আন্দোলন করেছেন, তারাইতো খুলে দিয়েছেন।’
গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও তাতে যোগ দেয়।
আন্দোলনকারীরা নগর ভবনের প্রধান ফটক, বিভিন্ন দপ্তরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এতে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। মাঝে ঈদ ঘিরে ছুটির ক’দিন নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের আন্দোলনে পাওয়া যায়নি। ঈদের ছুটির শেষে অফিস খোলার প্রথম দিন থেকেই ফের সেখানে আন্দোলন শুরু করেন ইশরাক সমর্থকরা।
সে সময় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেবা কার্যক্রমে অচলাবস্থা কাটাতে নিজের তত্ত্বাবধানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন ইশরাক। জন্ম নিবন্ধন সনদসহ দৈনন্দিন জরুরি সব সেবা চালু থাকার ঘোষণা দিয়ে ইশরাক বলেছিলেন, অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা করা কর্মকর্তারা অফিস করতে পারবে না।
এর মধ্যে নগর ভবনে কর্মচারীদের নিয়ে সভা করেন ইশরাক। সভার ব্যানারে তার নামের আগে লেখা ছিল ‘মাননীয় মেয়র’। এরপর গত ১৮ জুন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, মেয়াদ ‘শেষ হয়ে যাওয়ায়’ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের আর শপথ নেয়ার সুযোগ নেই।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিতে ইশরাক সমর্থকরা আন্দোলনে নামলে নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে।.