পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ৬টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে আলিম পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেয়ার সময় পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যয়, কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন ও সম্মানিসহ নানা খাত দেখিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৮০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এভাবে শিক্ষকদের একটি চক্র প্রবেশপত্র দেয়ার নামে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ধারণা করছেন অভিভাবকরা।
২০০ টাকা দিয়ে প্রবেশপত্র দিতে অনুরোধ জানালে শিক্ষক সাফ জানান, কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত টাকার চেয়ে কম নেয়া সম্ভব না। তাই মেয়ের প্রবেশপত্র না নিয়েই চলে আসি, ভুক্তভোগী অভিভাবক
আলিম পরিক্ষার হল সুপারের নির্দেশেই জনপ্রতি ৮০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে, দাবি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের খরচাপাতির বাণিজ্যে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতনদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ইন্দুরকানী এফ করীম আলিম মাদ্রাসা, বালিপাড়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, বালিপাড়া চানসিরাজিয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসা, টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসা, দিঘীরপাড় আলিম মাদ্রাসা, ও বাটাজোর আলিম মাদ্রাসার মোট ১৪৮ জন শিক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশ নিবে। পরীক্ষার হল সুপারের নির্দেশেই প্রবেশপত্র দেয়ার সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বাড়তি টাকা নিচ্ছে।
ইন্দুরকানী এফ করীম আলিম মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী জানান, পরীক্ষা ফরম পূরণের সময় তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত টাকার চেয়ে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে। ফের প্রবেশপত্র আটকে রেখে আরও ৮০০ টাকা করে আদায় করছে। আমি ২০০ টাকা কম দিয়ে প্রবেশপত্র নিতে চাইলে মাদ্রাসা থেকে দিচ্ছে না। তাছাড়া এরকম বাড়তি টাকা সব শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। তাই অনেকেই টাকা দিতে না পেরে প্রবেশপত্র না নিয়েই বাড়িতে চলে গেছে।
আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, তার মেয়ে মাদ্রাসার ভিতরে ভালো ছাত্রী, কিন্তু প্রবেশপত্র নিতে গেলে মাদ্রাসা থেকে ৮০০ টাকা দাবি করে। আমার পক্ষে ৮০০ টাকা দেয়া সম্ভব না জানিয়ে টাকা আদায়কারী শিক্ষকের কাছে ২০০ টাকা দিয়ে প্রবেশপত্র দিতে অনুরোধ করি। কিন্তু শিক্ষক সাফ জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত টাকার চেয়ে কম নেয়া সম্ভব না। তাই আমি আমার মেয়ের প্রবেশপত্র না নিয়েই চলে আসি।
টাকা আদায়ের দায়িত্বে থাকা ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম জানান, আলিম পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা হল সুপার টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহীল মাহমুদ এর নির্দেশনায় প্রতি শিক্ষার্থীদের থেকে প্রবেশপত্র দেয়ার সময় ৮০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আমার মাদ্রাসায় ২৮ জন আলিম পরিক্ষার্থী রয়েছে তাদের প্রত্যেকের থেকে ৮০০ টাকা করে নিয়ে হল সচিবকে দিতে হবে। কারও থেকে এক টাকাও কম নেয়া হলে সেই টাকা মাদ্রাসা
কর্তৃপক্ষকে পূরণ করে হল সুপারকে দিতে হবে এমনটাই হল সুপার বলেছেন। আর সেই কারণেই বাড়তি টাকা আদায় করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে আলিম পরীক্ষার হল সুপার টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহীল মাহমুদ বলেন, পরিক্ষার সময় বোর্ড থেকে আসা কর্মকর্তাদের আপ্যায়নসহ বিভিন্ন ধরনের খরচ হয়ে থাকে, সেই খরচ মেটানোর জন্যই শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে।
কার নির্দেশে তিনি অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে আব্দুল্লাহীল মাহমুদ বলেন, মাদ্রাসা বোর্ড ও পরীক্ষার কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিগত বছরেও পরিক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণের সময় এমনভাবে টাকা নেয়া হয়েছে।
বাড়তি টাকা নেয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান যে, লিখিত অনুমতি নেই।
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ৬টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে আলিম পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেয়ার সময় পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যয়, কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন ও সম্মানিসহ নানা খাত দেখিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৮০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এভাবে শিক্ষকদের একটি চক্র প্রবেশপত্র দেয়ার নামে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ধারণা করছেন অভিভাবকরা।
২০০ টাকা দিয়ে প্রবেশপত্র দিতে অনুরোধ জানালে শিক্ষক সাফ জানান, কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত টাকার চেয়ে কম নেয়া সম্ভব না। তাই মেয়ের প্রবেশপত্র না নিয়েই চলে আসি, ভুক্তভোগী অভিভাবক
আলিম পরিক্ষার হল সুপারের নির্দেশেই জনপ্রতি ৮০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে, দাবি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের খরচাপাতির বাণিজ্যে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতনদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ইন্দুরকানী এফ করীম আলিম মাদ্রাসা, বালিপাড়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, বালিপাড়া চানসিরাজিয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসা, টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসা, দিঘীরপাড় আলিম মাদ্রাসা, ও বাটাজোর আলিম মাদ্রাসার মোট ১৪৮ জন শিক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশ নিবে। পরীক্ষার হল সুপারের নির্দেশেই প্রবেশপত্র দেয়ার সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বাড়তি টাকা নিচ্ছে।
ইন্দুরকানী এফ করীম আলিম মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী জানান, পরীক্ষা ফরম পূরণের সময় তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত টাকার চেয়ে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে। ফের প্রবেশপত্র আটকে রেখে আরও ৮০০ টাকা করে আদায় করছে। আমি ২০০ টাকা কম দিয়ে প্রবেশপত্র নিতে চাইলে মাদ্রাসা থেকে দিচ্ছে না। তাছাড়া এরকম বাড়তি টাকা সব শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। তাই অনেকেই টাকা দিতে না পেরে প্রবেশপত্র না নিয়েই বাড়িতে চলে গেছে।
আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, তার মেয়ে মাদ্রাসার ভিতরে ভালো ছাত্রী, কিন্তু প্রবেশপত্র নিতে গেলে মাদ্রাসা থেকে ৮০০ টাকা দাবি করে। আমার পক্ষে ৮০০ টাকা দেয়া সম্ভব না জানিয়ে টাকা আদায়কারী শিক্ষকের কাছে ২০০ টাকা দিয়ে প্রবেশপত্র দিতে অনুরোধ করি। কিন্তু শিক্ষক সাফ জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত টাকার চেয়ে কম নেয়া সম্ভব না। তাই আমি আমার মেয়ের প্রবেশপত্র না নিয়েই চলে আসি।
টাকা আদায়ের দায়িত্বে থাকা ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম জানান, আলিম পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা হল সুপার টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহীল মাহমুদ এর নির্দেশনায় প্রতি শিক্ষার্থীদের থেকে প্রবেশপত্র দেয়ার সময় ৮০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আমার মাদ্রাসায় ২৮ জন আলিম পরিক্ষার্থী রয়েছে তাদের প্রত্যেকের থেকে ৮০০ টাকা করে নিয়ে হল সচিবকে দিতে হবে। কারও থেকে এক টাকাও কম নেয়া হলে সেই টাকা মাদ্রাসা
কর্তৃপক্ষকে পূরণ করে হল সুপারকে দিতে হবে এমনটাই হল সুপার বলেছেন। আর সেই কারণেই বাড়তি টাকা আদায় করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে আলিম পরীক্ষার হল সুপার টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহীল মাহমুদ বলেন, পরিক্ষার সময় বোর্ড থেকে আসা কর্মকর্তাদের আপ্যায়নসহ বিভিন্ন ধরনের খরচ হয়ে থাকে, সেই খরচ মেটানোর জন্যই শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে।
কার নির্দেশে তিনি অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে আব্দুল্লাহীল মাহমুদ বলেন, মাদ্রাসা বোর্ড ও পরীক্ষার কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিগত বছরেও পরিক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণের সময় এমনভাবে টাকা নেয়া হয়েছে।
বাড়তি টাকা নেয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান যে, লিখিত অনুমতি নেই।