alt

জাতীয়

দেশীয়ভাবে নির্ধারণ করা হবে মুদ্রার মান : গভর্নর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, নইলে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিতে পারে। বাংলাদেশের সম্ভাবনা সীমাহীন, তবে তা নষ্ট করার সুযোগও সীমাহীন। বাংলাদেশের মুদ্রার মান দেশীয়ভাবে নির্ধারিত হবে এবং কোনো অযৌক্তিক কারণে এক পয়সাও অবমূল্যায়নের সুযোগ নেই। মঙ্গলবার,(২৪ জুন ২০২৫) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ‘গুগল পে’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

দুবাই থেকে আমাদের টাকার মান নির্ণয় হবে, এটা যেন না হয়

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই এখন প্রধান লক্ষ্য

মূল্যস্ফীতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আরও কিছু সময় লাগবে

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমাদের টাকা কখনোই যেন অমূল্যায়ন না হয়। দুবাই থেকে আমাদের টাকার মান নির্ণয় হবে না। এটা আগেও বলেছিলাম এখনও বলছি। সেখান থেকে ডলারের দর নির্ধারণ করবেন এটা মানা হবে না, এটা আমার কমিটমেন্ট ছিল। সেটা হতো দেইনি আমরা। তবে ফের যদি দেশে বিশৃঙ্খলা হয় তাহলে আবারও চলে আসবে ওই সময়, নষ্ট হয়ে যাবে সব। দুবাইয়ে বসে আবারও টাকার অবমূল্যায়ন হবে, বাজার নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে অন্যের হাতে।’

গভর্নর আরও জানান, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই এখন প্রধান লক্ষ্য। এজন্য আগামী জানুয়ারি থেকে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি (রিস্ক বেজড সুপারভিশন) কার্যক্রম শুরু হবে। এরইমধ্যে ২০টি ব্যাংকে সুপারভিশন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে গভর্নর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কিছু সময় লাগবে। বিনিয়োগ আসবে, বকেয়া পরিশোধ করেছি। দেশি-বিদেশিদের বিচরণ ক্ষেত্র হবে বাংলাদেশ। তবে ভুল উপস্থাপন করা যাবে না। বিদেশিরা টেকনোলজি আনেন, সাপোর্ট দেন তারা। আমাদের পোর্ট নিয়ে তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন হয়েছে। যদি বিদেশিরা আমাদের পোর্ট পরিচালনা করেন তাহলে আগামী ১০ বছর পরে আমরা তাদের টেকনোলজি শিখে অন্য দেশের পোর্ট পরিচালনা করতে পারব।’

আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার জন্য তিনি জানান, কয়েকটি ব্যাংক মার্জারের আওতায় আসবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তিনি আমানতকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আপনাদের স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত থাকবে। যে ব্যাংকে আছেন, সেখানেই থাকুন।’

অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’। সেবাটি চালু করে সিটি ব্যাংক, গুগল, মাস্টারকার্ড ও ভিসার সহায়তায়। এটি বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে গুগল পের সঙ্গে যুক্ত হলো। প্রথম পর্যায়ে সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড ও ভিসা কার্ডধারীরা তাদের কার্ড গুগল ওয়ালেটে যুক্ত

করে গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন। ভবিষ্যতে অন্যান্য ব্যাংকও যুক্ত হলে সেবার পরিসর বাড়বে।

গ্রাহকরা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল পে অ্যাপ ডাউনলোড করে কার্ড যুক্ত করার পর দেশের যে কোনো দোকান, রেস্তোরাঁ কিংবা পোস টার্মিনালে ফোন ট্যাপ করে দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেন করতে পারবেন। এতে আলাদা করে কার্ড বহনের প্রয়োজন হবে না। গুগল পে লেনদেনে কোনো অতিরিক্ত ফি নেয় না এবং গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষায় ‘টোকেনাইজেশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন, সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন, গুগল পেমেন্টসের শাম্মী কুদ্দুস, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের মোহাম্মদ কামাল এবং ভিসার সাব্বির আহম্মেদ।

ছবি

মায়ের বানানো লোহার খাঁচায় ৩ শিশু, ক্ষুধা নিবারণই লক্ষ্য

ছবি

নার্স সংকটে চমেক হাসপাতালের আইসিইউ, ঝুঁকিতে রোগীরা

ছবি

প্রথমবারের মতো অনুমোদন পেলো ছোট্ট শিশুদের ম্যালেরিয়ার ওষুধ

ছবি

খুলনায় মেলা ঘিরে চাঁদাবাজির অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী দুই নেতাকে শোকজ

ছবি

রাতে ভোট করে সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ সুনাম নষ্ট করেছে: সিইসি

হবিগঞ্জে দুই সাংবাদিকের বিরোধের জেরে সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত শতাধিক

মালয়েশিয়ায় ‘সন্ত্রাসবাদে জড়িত’ অভিযোগে ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা

ছবি

ভর মৌসুমেও ইলিশের দেখা মিলছে না

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে বাসায় ফেরার পথে প্রবাসীকে অপহরণের পর হত্যা 

জিএম কাদেরের সিদ্ধান্ত মানেন না আনিসুল-রুহুল-মুজিবুল

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৩ জন, নতুন আক্রান্ত ৪২৫

খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতিমালা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে ৩ কোম্পানির চিঠি

ছবি

টানা বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ শুল্ক, সমঝোতার আশা ছাড়েনি বাংলাদেশ

ছবি

অন্যের অপকর্মে ‘ফেঁসে গেছেন’, রিমান্ড শুনানিতে জানালেন মালয়েশিয়া ফেরত চারজন

ছবি

বিমান বাহিনী প্রধানের সাথে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার সচিব অধ্যাপক হালুক গরগুনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশি পরিচালনায় দেওয়া অবৈধ কি না—রিটের শুনানি বুধবার

ছবি

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস, চট্টগ্রামে ভূমিধসের শঙ্কা

ছবি

৩৫% শুল্ক: ইউনূসকে লেখা ট্রাম্পের চিঠিতে কী আছে

ছবি

ট্রাম্পের ৩৫% শুল্কের খড়্গ: সমঝোতার আশায় বাংলাদেশ

দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কর্মক্ষম: ইউএনএফপিএ

ছবি

উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত

শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস লিকুর জমি ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে যুবককে মধ্যযুগীয় নির্যাতন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কক্সবাজারে সুপেয় পানির সংকট মেটাতে নতুন প্রকল্প

সাগরে লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টি

১০ জুলাই এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামার বিরুদ্ধে মামলা

৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি জুনে

নির্বাচনে শীর্ষে বিএনপি, পরে জামায়াত ও এনসিপি

ছবি

জুলাই ঘোষণা ও সনদ দিতে ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না: নাহিদ

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালের দায়িত্ব নিলো নৌবাহিনীর ড্রাই ডক

ছবি

ঢাকা শিশু হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ

বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ নয়, আইনজীবীদের বিক্ষোভ

ছবি

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের আন্দোলন, ছত্রভঙ্গে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড

‘জুলাই গণহত্যা’: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই

tab

জাতীয়

দেশীয়ভাবে নির্ধারণ করা হবে মুদ্রার মান : গভর্নর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, নইলে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিতে পারে। বাংলাদেশের সম্ভাবনা সীমাহীন, তবে তা নষ্ট করার সুযোগও সীমাহীন। বাংলাদেশের মুদ্রার মান দেশীয়ভাবে নির্ধারিত হবে এবং কোনো অযৌক্তিক কারণে এক পয়সাও অবমূল্যায়নের সুযোগ নেই। মঙ্গলবার,(২৪ জুন ২০২৫) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ‘গুগল পে’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

দুবাই থেকে আমাদের টাকার মান নির্ণয় হবে, এটা যেন না হয়

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই এখন প্রধান লক্ষ্য

মূল্যস্ফীতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আরও কিছু সময় লাগবে

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমাদের টাকা কখনোই যেন অমূল্যায়ন না হয়। দুবাই থেকে আমাদের টাকার মান নির্ণয় হবে না। এটা আগেও বলেছিলাম এখনও বলছি। সেখান থেকে ডলারের দর নির্ধারণ করবেন এটা মানা হবে না, এটা আমার কমিটমেন্ট ছিল। সেটা হতো দেইনি আমরা। তবে ফের যদি দেশে বিশৃঙ্খলা হয় তাহলে আবারও চলে আসবে ওই সময়, নষ্ট হয়ে যাবে সব। দুবাইয়ে বসে আবারও টাকার অবমূল্যায়ন হবে, বাজার নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে অন্যের হাতে।’

গভর্নর আরও জানান, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই এখন প্রধান লক্ষ্য। এজন্য আগামী জানুয়ারি থেকে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি (রিস্ক বেজড সুপারভিশন) কার্যক্রম শুরু হবে। এরইমধ্যে ২০টি ব্যাংকে সুপারভিশন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে গভর্নর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কিছু সময় লাগবে। বিনিয়োগ আসবে, বকেয়া পরিশোধ করেছি। দেশি-বিদেশিদের বিচরণ ক্ষেত্র হবে বাংলাদেশ। তবে ভুল উপস্থাপন করা যাবে না। বিদেশিরা টেকনোলজি আনেন, সাপোর্ট দেন তারা। আমাদের পোর্ট নিয়ে তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন হয়েছে। যদি বিদেশিরা আমাদের পোর্ট পরিচালনা করেন তাহলে আগামী ১০ বছর পরে আমরা তাদের টেকনোলজি শিখে অন্য দেশের পোর্ট পরিচালনা করতে পারব।’

আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার জন্য তিনি জানান, কয়েকটি ব্যাংক মার্জারের আওতায় আসবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তিনি আমানতকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আপনাদের স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত থাকবে। যে ব্যাংকে আছেন, সেখানেই থাকুন।’

অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’। সেবাটি চালু করে সিটি ব্যাংক, গুগল, মাস্টারকার্ড ও ভিসার সহায়তায়। এটি বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে গুগল পের সঙ্গে যুক্ত হলো। প্রথম পর্যায়ে সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড ও ভিসা কার্ডধারীরা তাদের কার্ড গুগল ওয়ালেটে যুক্ত

করে গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন। ভবিষ্যতে অন্যান্য ব্যাংকও যুক্ত হলে সেবার পরিসর বাড়বে।

গ্রাহকরা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল পে অ্যাপ ডাউনলোড করে কার্ড যুক্ত করার পর দেশের যে কোনো দোকান, রেস্তোরাঁ কিংবা পোস টার্মিনালে ফোন ট্যাপ করে দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেন করতে পারবেন। এতে আলাদা করে কার্ড বহনের প্রয়োজন হবে না। গুগল পে লেনদেনে কোনো অতিরিক্ত ফি নেয় না এবং গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষায় ‘টোকেনাইজেশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন, সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন, গুগল পেমেন্টসের শাম্মী কুদ্দুস, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের মোহাম্মদ কামাল এবং ভিসার সাব্বির আহম্মেদ।

back to top