alt

জাতীয়

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে রকমারি আবাদে স্বাবলম্বী অমল

প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) : মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

অমল রায়ের ড্রাগন বাগান -সংবাদ

প্রচলিত ও ঐতিহ্যগত শস্যের পাশাপাশি নতুন নতুন শস্য চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক। দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীও কৃষির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। আধুনিক ও সঠিক চাষপদ্ধতির ফলে কৃষিতে সুফলও মিলছে।

হাতির শুঁড়ের মতো ছড়ানো ড্রাগন গাছে থোকায় থোকায় পিংক রঙের ড্রাগন ফল চোখজুড়িয়ে যায়। সাথী ফসল হিসেবে আদা ও বেদনার চাষ আরও মনোহর করে তুলেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী কামারপাড়া গ্রামের মনমোহন রায়ের ছেলে অমল রায়ের (৫১) ড্রাগন বাগান।

প্রতিবছর ড্রাগন চাষ থেকে ভালো লাভ আসায় শ্রমিকদের পাশাপাশি নিজেও শ্রম দেন অমল রায়। দুপুরের তীব্র রোদ উপেক্ষা করে বাগানে পাখি তাড়ানোর জন্য শব্দ সৃষ্টিকারী টিনের যন্ত্রে রশি লাগিয়ে টানতে দেখা যায় তাকে। তার মোহনীয় বাগান যেমন মানুষের নজর কাড়ে, তেমনি ক্ষুধার্ত পাখিদেরও নজর এড়ায় না। তাই দিন-রাত পালা করে অমল রায় ও শ্রমিকরা পাখি তাড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন। প্রতিবছর ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি।

৬০ শতক বেলে দোঁ-আশ জমিতে পিংক কালারের ড্রাগন চাষ করেছেন অমল। প্রতিবছর ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাভ আসে। ড্রাগনের চারা লাগানোর অনেক সময় পর ফল পাওয়া যায়, তাই তিনি জমি না বাড়িয়ে সাথী ফসল করছেন। গত কয়েক বছর বস্তায় আদা চাষ করলেও এবার ড্রাগন বাগানেই আদা চাষ করছেন। এখন পর্যন্ত আদায় কোনো মড়ক ধরেনি। পাশাপাশি বেদনার চড়াও রোপণ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বছরে ৫ বার ড্রাগন ফল বিক্রি করি। এর মধ্যেই ১ম রাউন্ড (১৫ মে-১৫ জুন) ফল বাজারে বিক্রি করেছি। ডিসেম্বর পর্যন্ত ড্রাগন ফল ঘরে উঠবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ড্রাগন ফল গ্রীষ্মকালীন ফসল। তীব্র শীতে এর মুকুল আসে না। তবে হালকা শীতে মেঘলা আকাশ ও রাতে লাইটিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে মাঝারি ধরনের ফলন হয়। এতে খরচ পড়ে।’

অমল বলেন, ‘বাগানে ক্ষতিকর কোনো ওষুধ প্রয়োগ করি না। এ কারণেই পাখি ছুটে আসে আমার বাগানে। এলাকার মাটি ড্রাগন চাষের উপযোগী।’

বিভিন্ন জেলা শহরের পাইকাররা বাগান থেকেই কিনে নিয়ে যায় তার ড্রাগন ফল। এবারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। ২০১৫ সালে ১,০০০টি ড্রাগন চারা রোপণ করেন। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ৭০টি আমের গাছ, ভিয়েতনামের আঁটাবিহীন ৬০টি কাঁঠাল গাছ, মসলাজাতীয় ৮০টি চারা রোপণ করেছেন। এ ছাড়াও সবজি ও আখ চাষ করেন।

অমল রায় বলেন, ‘১৯৯২ সালে এসএসসি পাস করার পর চাষাবাদ শুরু করি। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সাড়ে

চার একর জমিতে চাষাবাদে সফলতা পাই। পরে চাষাবাদের লাভে কিছু জমি নিজে কিনে, বর্গা ও বন্দকে নিয়ে আরও সাড়ে চার একরের বেশি জমি চাষ করছি। কোনো ফসলে লোকসান হলেও অন্য ফসল দিয়ে তা উসুল হয়।’

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবুবকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর জেলায় ড্রাগন বাগান ছিল ১৫টি। বাজারে প্রচুর চাহিদা ও লাভজনক ফসল হওয়ায় এবারে তা বেড়ে ৩০টি ড্রাগন ফল বাগানে উন্নীত হয়েছে।’

ছবি

গত বছর ধর্ষণের ঘটনা ৫১৬টি, এ বছর ছয় মাসেই ৪৮১টি

ডিপজলের বিরুদ্ধে তরুণীর মামলা, মারধর-অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ

শিবলী রুবাইয়াতের জমিসহ ১০ তলা ভবন জব্দের আদেশ

সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারসহ ৪ জনের নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা

শার্শায় গণধর্ষণ: ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১

টিকটকে পরিচয়, ইমোতে ব্ল্যাকমেইল, গ্রেপ্তার ১

আবারও যমুনা, সচিবালয় ও আশপাশের এলাকায় সমাবেশ নিষিদ্ধ

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোবারকের আপিল শুনানি বুধবার

ছবি

মায়ের বানানো লোহার খাঁচায় ৩ শিশু, ক্ষুধা নিবারণই লক্ষ্য

ছবি

নার্স সংকটে চমেক হাসপাতালের আইসিইউ, ঝুঁকিতে রোগীরা

ছবি

প্রথমবারের মতো অনুমোদন পেলো ছোট্ট শিশুদের ম্যালেরিয়ার ওষুধ

ছবি

খুলনায় মেলা ঘিরে চাঁদাবাজির অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী দুই নেতাকে শোকজ

ছবি

রাতে ভোট করে সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ সুনাম নষ্ট করেছে: সিইসি

হবিগঞ্জে দুই সাংবাদিকের বিরোধের জেরে সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত শতাধিক

মালয়েশিয়ায় ‘সন্ত্রাসবাদে জড়িত’ অভিযোগে ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা

ছবি

ভর মৌসুমেও ইলিশের দেখা মিলছে না

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে বাসায় ফেরার পথে প্রবাসীকে অপহরণের পর হত্যা 

জিএম কাদেরের সিদ্ধান্ত মানেন না আনিসুল-রুহুল-মুজিবুল

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৩ জন, নতুন আক্রান্ত ৪২৫

খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতিমালা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে ৩ কোম্পানির চিঠি

ছবি

টানা বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ শুল্ক, সমঝোতার আশা ছাড়েনি বাংলাদেশ

ছবি

অন্যের অপকর্মে ‘ফেঁসে গেছেন’, রিমান্ড শুনানিতে জানালেন মালয়েশিয়া ফেরত চারজন

ছবি

বিমান বাহিনী প্রধানের সাথে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার সচিব অধ্যাপক হালুক গরগুনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশি পরিচালনায় দেওয়া অবৈধ কি না—রিটের শুনানি বুধবার

ছবি

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস, চট্টগ্রামে ভূমিধসের শঙ্কা

ছবি

৩৫% শুল্ক: ইউনূসকে লেখা ট্রাম্পের চিঠিতে কী আছে

ছবি

ট্রাম্পের ৩৫% শুল্কের খড়্গ: সমঝোতার আশায় বাংলাদেশ

দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কর্মক্ষম: ইউএনএফপিএ

ছবি

উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত

শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস লিকুর জমি ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে যুবককে মধ্যযুগীয় নির্যাতন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কক্সবাজারে সুপেয় পানির সংকট মেটাতে নতুন প্রকল্প

সাগরে লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টি

১০ জুলাই এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামার বিরুদ্ধে মামলা

tab

জাতীয়

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে রকমারি আবাদে স্বাবলম্বী অমল

প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)

অমল রায়ের ড্রাগন বাগান -সংবাদ

মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

প্রচলিত ও ঐতিহ্যগত শস্যের পাশাপাশি নতুন নতুন শস্য চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক। দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীও কৃষির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। আধুনিক ও সঠিক চাষপদ্ধতির ফলে কৃষিতে সুফলও মিলছে।

হাতির শুঁড়ের মতো ছড়ানো ড্রাগন গাছে থোকায় থোকায় পিংক রঙের ড্রাগন ফল চোখজুড়িয়ে যায়। সাথী ফসল হিসেবে আদা ও বেদনার চাষ আরও মনোহর করে তুলেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী কামারপাড়া গ্রামের মনমোহন রায়ের ছেলে অমল রায়ের (৫১) ড্রাগন বাগান।

প্রতিবছর ড্রাগন চাষ থেকে ভালো লাভ আসায় শ্রমিকদের পাশাপাশি নিজেও শ্রম দেন অমল রায়। দুপুরের তীব্র রোদ উপেক্ষা করে বাগানে পাখি তাড়ানোর জন্য শব্দ সৃষ্টিকারী টিনের যন্ত্রে রশি লাগিয়ে টানতে দেখা যায় তাকে। তার মোহনীয় বাগান যেমন মানুষের নজর কাড়ে, তেমনি ক্ষুধার্ত পাখিদেরও নজর এড়ায় না। তাই দিন-রাত পালা করে অমল রায় ও শ্রমিকরা পাখি তাড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন। প্রতিবছর ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি।

৬০ শতক বেলে দোঁ-আশ জমিতে পিংক কালারের ড্রাগন চাষ করেছেন অমল। প্রতিবছর ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাভ আসে। ড্রাগনের চারা লাগানোর অনেক সময় পর ফল পাওয়া যায়, তাই তিনি জমি না বাড়িয়ে সাথী ফসল করছেন। গত কয়েক বছর বস্তায় আদা চাষ করলেও এবার ড্রাগন বাগানেই আদা চাষ করছেন। এখন পর্যন্ত আদায় কোনো মড়ক ধরেনি। পাশাপাশি বেদনার চড়াও রোপণ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বছরে ৫ বার ড্রাগন ফল বিক্রি করি। এর মধ্যেই ১ম রাউন্ড (১৫ মে-১৫ জুন) ফল বাজারে বিক্রি করেছি। ডিসেম্বর পর্যন্ত ড্রাগন ফল ঘরে উঠবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ড্রাগন ফল গ্রীষ্মকালীন ফসল। তীব্র শীতে এর মুকুল আসে না। তবে হালকা শীতে মেঘলা আকাশ ও রাতে লাইটিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে মাঝারি ধরনের ফলন হয়। এতে খরচ পড়ে।’

অমল বলেন, ‘বাগানে ক্ষতিকর কোনো ওষুধ প্রয়োগ করি না। এ কারণেই পাখি ছুটে আসে আমার বাগানে। এলাকার মাটি ড্রাগন চাষের উপযোগী।’

বিভিন্ন জেলা শহরের পাইকাররা বাগান থেকেই কিনে নিয়ে যায় তার ড্রাগন ফল। এবারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। ২০১৫ সালে ১,০০০টি ড্রাগন চারা রোপণ করেন। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ৭০টি আমের গাছ, ভিয়েতনামের আঁটাবিহীন ৬০টি কাঁঠাল গাছ, মসলাজাতীয় ৮০টি চারা রোপণ করেছেন। এ ছাড়াও সবজি ও আখ চাষ করেন।

অমল রায় বলেন, ‘১৯৯২ সালে এসএসসি পাস করার পর চাষাবাদ শুরু করি। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সাড়ে

চার একর জমিতে চাষাবাদে সফলতা পাই। পরে চাষাবাদের লাভে কিছু জমি নিজে কিনে, বর্গা ও বন্দকে নিয়ে আরও সাড়ে চার একরের বেশি জমি চাষ করছি। কোনো ফসলে লোকসান হলেও অন্য ফসল দিয়ে তা উসুল হয়।’

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবুবকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর জেলায় ড্রাগন বাগান ছিল ১৫টি। বাজারে প্রচুর চাহিদা ও লাভজনক ফসল হওয়ায় এবারে তা বেড়ে ৩০টি ড্রাগন ফল বাগানে উন্নীত হয়েছে।’

back to top