শনিবার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে দু’বার মঞ্চে পড়ে যান জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমান। পরে তিনি বসে বক্তব্য দেন -সংবাদ
সংবিধানের দিকে ইঙ্গিত করে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, পুরনো ব্যবস্থাপত্রে বাংলাদেশ আর চলবে না। চব্বিশে যারা জীবন দিয়েছে তাদের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী নতুন ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘শিশু বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না। আবু সাঈদরা যদি না দাঁড়াতো, চব্বিশে জীবনবাজি রাখা যুদ্ধটা না হলে, আজকে যারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া করছেন, তাদের দাবিগুলো কোথায় থাকত? সুতরাং আমাদের প্রিয় শহীদদের হেয় করা যাবে না। অহংকার করা যাবে না। কোনো রাজনৈতিক দলকে অপমান করা যাবে না। যদিও কেউ এগুলো করে, তাহলে তাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের রোগ বীজ বুনেছে।’
শনিবার,(১৯ জুলাই ২০২৫) রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত দলটির জাতীয় সমাবেশে জামায়েত আমির এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতিবাচক ভূমিকা নিয়ে সমালোচিত এই দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের জাতীয় সমাবেশ করলো। সমাবেশ থেকে ফ্যাসিবাদের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন জামায়েত আমির শফিকুর রহমান।
সমাবেশে এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারাও সমাবেশে বক্তব্য দেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার এবং আহতদেরও অনেকে বক্তব্য দেন। তবে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে সমাবেশে দেখা যায়নি। বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের বরাত দিয়ে দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জামায়েতের সমাবেশে বিএনপি দাওয়াত পায়নি।
সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে জামায়াত আমির তীব্র গরমের কারণে দুইবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডায়াসে দাঁড়িয়ে বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি
বলেন, ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। জামায়াত যে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়বে, তার প্রথম প্রমাণ হচ্ছে...।’ এ কথা শেষ করার আগে তিনি পড়ে যান। নেতাদের সহযোগিতায় কিছুক্ষণের মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘সবাই নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান গ্রহণ করুন। আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করি, আবার আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পেরেছি। আমি বলেছিলাম, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ আমরা সবাইকে নিয়ে গড়ব। আমরা কথা দিচ্ছি, আল্লাহর মেহেরবানি ও জনগণের ভালোবাসা নিয়ে জামায়াত যদি সরকার গঠন করে, তাহলে...।’ এ কথা শেষ করার আগেই আবারও অসুস্থ হয়ে তিনি ধীরে ধীরে নিচে বসে পড়েন।
এ সময় মাইকে বলা হয়, আমিরে জামায়াত একটুখানি অসুস্থ হয়েছেন গরমের কারণে। কিন্তু তিনি বারবারই চেষ্টা করছিলেন বক্তব্য দেয়ার জন্য। ডাক্তাররা বলছেন, তার আর বক্তব্য রাখা ঠিক হবে না। এরপর বসে বসেই বক্তব্য দেয়া সম্পন্ন করেন জামায়াত আমির।
জামায়াত আমির নিচে বসেই তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন, তত সময় মানুষের জন্য লড়াই করব, ইনশাআল্লাহ। এ লড়াই বন্ধ হবে না। বাংলার মানুষের মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। বলছিলাম, জামায়াত যদি আল্লাহর ইচ্ছা এবং জনগণের ভালোবাসায় দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে, ইনশাআল্লাহ।’
সমাবেশে শফিকুর রহমান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ‘চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতিও করব না। চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।’ তিনি ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামী যদি সরকার গঠন করে, তবে দলের কোনো মন্ত্রী বা এমপি সরকারি প্লট বা করমুক্ত গাড়ি ব্যবহার করবে না। তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন, কোনো মন্ত্রী-এমপি নিজের হাতে অর্থ লেনদেন করবে না এবং কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তার প্রতিবেদন জনগণের সামনে তুলে ধরতে বাধ্য থাকবেন।
জামায়েত আমির তার বক্তব্যে নিজেকে কোনো অভিজাত শ্রেণীর প্রতিনিধি হিসেবে নয়, বরং চা-বাগানের শ্রমিক, রিকশাচালক এবং কৃষকদের মতো সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে।’ এই লড়াইয়ে তরুণদের শক্তিকে একত্রিত করে বিজয় অর্জনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে ডা. শফিকুর রহমান জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন এবং আগামী লড়াইয়ে শাহাদাতের জন্য দোয়া চান।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ তাহের বলেন, ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনা বা কেন্দ্র দখল করা সম্ভব নয় বলেই অনেকে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের বিরোধিতা করছেন। দেশের জনগণ নির্বাচনের আগে সংস্কার চায় এবং জামায়াতসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে।’ যারা সংস্কার চান না, তাদের ‘বদমতলব’ আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিএনপির উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তারা পার্লামেন্টে বসে সংস্কার করার কথা বলছেন, কিন্তু তারা কি নির্বাচনে জয়ের কথা ভাবছেন নাকি দখলের কথা?’
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর পদ্ধতি) নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশের আয়োজন করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, সব গণহত্যার বিচার, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক সাদিক কায়েম তার বক্তব্যে বলেন, ‘আগামীর বিপ্লব হবে ইসলামের বিপ্লব।’ তিনি বিভিন্ন সময়ে নিহতদের স্মরণ করে বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, রফিকুল ইসলাম খান, এ কে এম মাসুম, আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ অন্য নেতারা।
জামায়াত সূত্র জানা গেছে, সমাবেশস্থল থেকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আসার পথে তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলেও মঞ্চ থেকে জানানো হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়, মূল কার্যক্রম দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়।
শনিবার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে দু’বার মঞ্চে পড়ে যান জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমান। পরে তিনি বসে বক্তব্য দেন -সংবাদ
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
সংবিধানের দিকে ইঙ্গিত করে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, পুরনো ব্যবস্থাপত্রে বাংলাদেশ আর চলবে না। চব্বিশে যারা জীবন দিয়েছে তাদের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী নতুন ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘শিশু বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না। আবু সাঈদরা যদি না দাঁড়াতো, চব্বিশে জীবনবাজি রাখা যুদ্ধটা না হলে, আজকে যারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া করছেন, তাদের দাবিগুলো কোথায় থাকত? সুতরাং আমাদের প্রিয় শহীদদের হেয় করা যাবে না। অহংকার করা যাবে না। কোনো রাজনৈতিক দলকে অপমান করা যাবে না। যদিও কেউ এগুলো করে, তাহলে তাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের রোগ বীজ বুনেছে।’
শনিবার,(১৯ জুলাই ২০২৫) রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত দলটির জাতীয় সমাবেশে জামায়েত আমির এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতিবাচক ভূমিকা নিয়ে সমালোচিত এই দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের জাতীয় সমাবেশ করলো। সমাবেশ থেকে ফ্যাসিবাদের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন জামায়েত আমির শফিকুর রহমান।
সমাবেশে এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারাও সমাবেশে বক্তব্য দেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার এবং আহতদেরও অনেকে বক্তব্য দেন। তবে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে সমাবেশে দেখা যায়নি। বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের বরাত দিয়ে দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জামায়েতের সমাবেশে বিএনপি দাওয়াত পায়নি।
সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে জামায়াত আমির তীব্র গরমের কারণে দুইবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডায়াসে দাঁড়িয়ে বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি
বলেন, ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। জামায়াত যে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়বে, তার প্রথম প্রমাণ হচ্ছে...।’ এ কথা শেষ করার আগে তিনি পড়ে যান। নেতাদের সহযোগিতায় কিছুক্ষণের মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘সবাই নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান গ্রহণ করুন। আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করি, আবার আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পেরেছি। আমি বলেছিলাম, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ আমরা সবাইকে নিয়ে গড়ব। আমরা কথা দিচ্ছি, আল্লাহর মেহেরবানি ও জনগণের ভালোবাসা নিয়ে জামায়াত যদি সরকার গঠন করে, তাহলে...।’ এ কথা শেষ করার আগেই আবারও অসুস্থ হয়ে তিনি ধীরে ধীরে নিচে বসে পড়েন।
এ সময় মাইকে বলা হয়, আমিরে জামায়াত একটুখানি অসুস্থ হয়েছেন গরমের কারণে। কিন্তু তিনি বারবারই চেষ্টা করছিলেন বক্তব্য দেয়ার জন্য। ডাক্তাররা বলছেন, তার আর বক্তব্য রাখা ঠিক হবে না। এরপর বসে বসেই বক্তব্য দেয়া সম্পন্ন করেন জামায়াত আমির।
জামায়াত আমির নিচে বসেই তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন, তত সময় মানুষের জন্য লড়াই করব, ইনশাআল্লাহ। এ লড়াই বন্ধ হবে না। বাংলার মানুষের মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। বলছিলাম, জামায়াত যদি আল্লাহর ইচ্ছা এবং জনগণের ভালোবাসায় দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে, ইনশাআল্লাহ।’
সমাবেশে শফিকুর রহমান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ‘চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতিও করব না। চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।’ তিনি ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামী যদি সরকার গঠন করে, তবে দলের কোনো মন্ত্রী বা এমপি সরকারি প্লট বা করমুক্ত গাড়ি ব্যবহার করবে না। তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন, কোনো মন্ত্রী-এমপি নিজের হাতে অর্থ লেনদেন করবে না এবং কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তার প্রতিবেদন জনগণের সামনে তুলে ধরতে বাধ্য থাকবেন।
জামায়েত আমির তার বক্তব্যে নিজেকে কোনো অভিজাত শ্রেণীর প্রতিনিধি হিসেবে নয়, বরং চা-বাগানের শ্রমিক, রিকশাচালক এবং কৃষকদের মতো সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে।’ এই লড়াইয়ে তরুণদের শক্তিকে একত্রিত করে বিজয় অর্জনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে ডা. শফিকুর রহমান জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন এবং আগামী লড়াইয়ে শাহাদাতের জন্য দোয়া চান।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ তাহের বলেন, ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনা বা কেন্দ্র দখল করা সম্ভব নয় বলেই অনেকে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের বিরোধিতা করছেন। দেশের জনগণ নির্বাচনের আগে সংস্কার চায় এবং জামায়াতসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে।’ যারা সংস্কার চান না, তাদের ‘বদমতলব’ আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিএনপির উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তারা পার্লামেন্টে বসে সংস্কার করার কথা বলছেন, কিন্তু তারা কি নির্বাচনে জয়ের কথা ভাবছেন নাকি দখলের কথা?’
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর পদ্ধতি) নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশের আয়োজন করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, সব গণহত্যার বিচার, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক সাদিক কায়েম তার বক্তব্যে বলেন, ‘আগামীর বিপ্লব হবে ইসলামের বিপ্লব।’ তিনি বিভিন্ন সময়ে নিহতদের স্মরণ করে বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, রফিকুল ইসলাম খান, এ কে এম মাসুম, আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ অন্য নেতারা।
জামায়াত সূত্র জানা গেছে, সমাবেশস্থল থেকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আসার পথে তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলেও মঞ্চ থেকে জানানো হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়, মূল কার্যক্রম দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়।