কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্ধারিত পথসভা বিক্ষোভের মুখে পণ্ড হয়ে গেছে। শনিবার,(১৯ জুলাই ২০২৫) বিকেল ৪টার দিকে চকরিয়া উপজেলা সদরের জনতা মার্কেটের সামনে এনসিপির গাড়িবহর থামতেই উত্তেজিত জনতা গাড়ির ওপর স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চ ভেঙে দেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় এবং এনসিপি নেতাদের নিরাপত্তা দিয়ে জেলার সীমান্ত পার করিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার সূত্রপাত দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’-পরবর্তী জনসভায় দেয়া বক্তব্য ঘিরে। সেখানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নাম না করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে যেমন নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ছিলেন, এখন শুনছি কক্সবাজারে নব্য গডফাদার শিলং থেকে এসেছেন।’
এই মন্তব্যকে বিএনপি ও অনেক নেটিজেন কক্সবাজারের সন্তান, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে ইঙ্গিত করে দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন। এর প্রতিবাদে বিকেল থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
চকরিয়ায় বিক্ষোভকারীরা এনসিপির পথসভা ভণ্ডল করে দেন এবং শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে এনসিপির নেতারা চকরিয়ার পথে রয়েছে এমন গুজবে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ফলে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বিএনপির নেতাদের দাবি, “একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নির্বাসিত নেতাকে ‘গডফাদার’ বলে অপমান করা কেবল শিষ্টাচার ভঙ্গই নয়, কক্সবাজারবাসীর আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত।” তারা গঠনমূলক রাজনীতির আহ্বান জানান।
এদিকে এনসিপির পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না এলেও ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, ‘রাজপথের রাজনীতিতে এমন প্রতিক্রিয়া নতুন কিছু নয়।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপির রাজপথমুখী সক্রিয়তা ও বিএনপির প্রতিক্রিয়া মিলিয়ে কক্সবাজারের রাজনীতি আরও উত্তপ্ত ও স্পর্শকাতর হয়ে উঠতে পারে।
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্ধারিত পথসভা বিক্ষোভের মুখে পণ্ড হয়ে গেছে। শনিবার,(১৯ জুলাই ২০২৫) বিকেল ৪টার দিকে চকরিয়া উপজেলা সদরের জনতা মার্কেটের সামনে এনসিপির গাড়িবহর থামতেই উত্তেজিত জনতা গাড়ির ওপর স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চ ভেঙে দেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় এবং এনসিপি নেতাদের নিরাপত্তা দিয়ে জেলার সীমান্ত পার করিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার সূত্রপাত দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’-পরবর্তী জনসভায় দেয়া বক্তব্য ঘিরে। সেখানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নাম না করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে যেমন নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ছিলেন, এখন শুনছি কক্সবাজারে নব্য গডফাদার শিলং থেকে এসেছেন।’
এই মন্তব্যকে বিএনপি ও অনেক নেটিজেন কক্সবাজারের সন্তান, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে ইঙ্গিত করে দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন। এর প্রতিবাদে বিকেল থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
চকরিয়ায় বিক্ষোভকারীরা এনসিপির পথসভা ভণ্ডল করে দেন এবং শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে এনসিপির নেতারা চকরিয়ার পথে রয়েছে এমন গুজবে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ফলে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বিএনপির নেতাদের দাবি, “একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নির্বাসিত নেতাকে ‘গডফাদার’ বলে অপমান করা কেবল শিষ্টাচার ভঙ্গই নয়, কক্সবাজারবাসীর আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত।” তারা গঠনমূলক রাজনীতির আহ্বান জানান।
এদিকে এনসিপির পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না এলেও ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, ‘রাজপথের রাজনীতিতে এমন প্রতিক্রিয়া নতুন কিছু নয়।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপির রাজপথমুখী সক্রিয়তা ও বিএনপির প্রতিক্রিয়া মিলিয়ে কক্সবাজারের রাজনীতি আরও উত্তপ্ত ও স্পর্শকাতর হয়ে উঠতে পারে।