ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানÑ সব আন্দোলন-সংগ্রামে নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালনের পাশাপাশি নেতৃত্বও দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই অভ্যুত্থান শেষে নারীদের পিছিয়ে দেয়া হয়, অবমূল্যায়ন করা হয়। রাষ্ট্রও নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দেয় না; অধিকারের প্রশ্নে নীরব থাকে।
শনিবার,(১৯ জুলাই ২০২৫) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীর ভূমিকা ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই তাদের অবদান অস্বীকার করা হয় এবং তাদের পিছিয়ে দেয়া হয়।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ জুলাইকে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ পালন করা হলো। এগুলো করা যেতে পারে। কিন্তু তাদের স্বীকৃতি না দিয়ে, মর্যাদা না দিয়ে, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এসব উৎসব পালন, ড্রোন ওড়ানোর কোনো মানে হয় না। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থী কাজ এখন হচ্ছে। এই সরকারের প্রথম কাজ ছিল সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেটা করতে তারা ব্যর্থ।
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি শম্পা বসু বলেন, জুলাইয়ে বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্নেই নারী-পুরুষ, শ্রমিক-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। এ দেশে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে যত আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান হয়েছে; প্রতিবারই নারীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও এখনও নারীরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। তারা সমমর্যাদা, অধিকার, নিরাপত্তা পাচ্ছেন না।
শম্পা বসু বলেন, গত ৫ আগস্টের পর নারীরা অবমূল্যায়িত হচ্ছেন। তাদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অভ্যুত্থান হয়েছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। কিন্তু এখন তার বিপরীত পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। নারীর প্রতিটা প্রাপ্তিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। সেখানে রাষ্ট্র নীরব ভূমিকা পালন করছে।
জুলাইয়ের পর নারীরা প্রাপ্য সম্মানের স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মনীষা চক্রবর্তী বলেন, কিন্তু একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এমনকি আগের বছরের চেয়ে নির্যাতনের ঘটনার উল্লম্ফন হচ্ছে। তাহলে জুলাই চেতনার বাস্তবায়ন কীভাবে হচ্ছে?
মনীষা চক্রবর্তী বলেন, গণঅভ্যুত্থানে মাঠে অর্ধেক ছিলেন নারী। কিন্তু সেই মাঠ থেকে তাদের বের করে দেয়া হয়েছে, বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। নারীর পোশাক, চলাফেরা নিয়ে মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ) হচ্ছে। কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারণার সময়ে তারা পাশ্চাত্যকে অনুসরণ করতে পারে, কিন্তু নারী স্বাধীনতার বেলায় তা পাশ্চাত্যের বলে বাতিল করা হয়।
সভায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, যে নারীরা মাঠে সামনে থেকে আন্দোলন করেছেন, তারা ৫ আগস্টের পর কোথায় গেলেন সে প্রশ্ন উঠেছে। নারীরা হারিয়ে যাননি, তারা ইতিহাসের প্রয়োজনে আবার মাঠে নামবেন। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী তাদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে চায় না। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দিলরুবা রুবির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া নারী শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানÑ সব আন্দোলন-সংগ্রামে নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালনের পাশাপাশি নেতৃত্বও দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই অভ্যুত্থান শেষে নারীদের পিছিয়ে দেয়া হয়, অবমূল্যায়ন করা হয়। রাষ্ট্রও নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দেয় না; অধিকারের প্রশ্নে নীরব থাকে।
শনিবার,(১৯ জুলাই ২০২৫) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীর ভূমিকা ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই তাদের অবদান অস্বীকার করা হয় এবং তাদের পিছিয়ে দেয়া হয়।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ জুলাইকে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ পালন করা হলো। এগুলো করা যেতে পারে। কিন্তু তাদের স্বীকৃতি না দিয়ে, মর্যাদা না দিয়ে, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এসব উৎসব পালন, ড্রোন ওড়ানোর কোনো মানে হয় না। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থী কাজ এখন হচ্ছে। এই সরকারের প্রথম কাজ ছিল সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেটা করতে তারা ব্যর্থ।
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি শম্পা বসু বলেন, জুলাইয়ে বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্নেই নারী-পুরুষ, শ্রমিক-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। এ দেশে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে যত আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান হয়েছে; প্রতিবারই নারীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও এখনও নারীরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। তারা সমমর্যাদা, অধিকার, নিরাপত্তা পাচ্ছেন না।
শম্পা বসু বলেন, গত ৫ আগস্টের পর নারীরা অবমূল্যায়িত হচ্ছেন। তাদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অভ্যুত্থান হয়েছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। কিন্তু এখন তার বিপরীত পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। নারীর প্রতিটা প্রাপ্তিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। সেখানে রাষ্ট্র নীরব ভূমিকা পালন করছে।
জুলাইয়ের পর নারীরা প্রাপ্য সম্মানের স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মনীষা চক্রবর্তী বলেন, কিন্তু একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এমনকি আগের বছরের চেয়ে নির্যাতনের ঘটনার উল্লম্ফন হচ্ছে। তাহলে জুলাই চেতনার বাস্তবায়ন কীভাবে হচ্ছে?
মনীষা চক্রবর্তী বলেন, গণঅভ্যুত্থানে মাঠে অর্ধেক ছিলেন নারী। কিন্তু সেই মাঠ থেকে তাদের বের করে দেয়া হয়েছে, বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। নারীর পোশাক, চলাফেরা নিয়ে মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ) হচ্ছে। কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারণার সময়ে তারা পাশ্চাত্যকে অনুসরণ করতে পারে, কিন্তু নারী স্বাধীনতার বেলায় তা পাশ্চাত্যের বলে বাতিল করা হয়।
সভায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, যে নারীরা মাঠে সামনে থেকে আন্দোলন করেছেন, তারা ৫ আগস্টের পর কোথায় গেলেন সে প্রশ্ন উঠেছে। নারীরা হারিয়ে যাননি, তারা ইতিহাসের প্রয়োজনে আবার মাঠে নামবেন। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী তাদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে চায় না। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দিলরুবা রুবির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া নারী শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।