পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দুই ভাই সজীব বেপারী ও রাজীব বেপারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার,(১৯ জুলাই ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করেন কোতয়ালী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান। সজীব বেপারী ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ দিতে চাইলে বিচারক তা রেকর্ড করেন। আদালতের কোতয়ালী থানার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী এ তথ্য দিয়েছেন।
ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ৯ জুলাই পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেইটের সামনে কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় সোহাগকে। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ালে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই
হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নৈপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বলেন, ‘ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তিগত আক্রোশে হত্যা করা হয় সোহাগকে। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া অভির ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিল ব্যবসায়ী সোহাগের প্রতি। একাধিকবার সোহাগ তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাছাড়া দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ সোহাগ একচেটিয়া ব্যবসা করে আসছিল।’
প্রাথমিক জেরার মুখের অভির দেয়া তথ্য তুলে ধরে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর অভি বলেছে, ২০১৮ সালে সোহাগ তার ফুটপাতের দোকান দখল করার সময়, মোবাইলও কেড়ে নেয় সোহাগ। এই মোবাইলে তার স্ত্রীর সাথে (অভির স্ত্রী) ব্যক্তিগত ভিডিও ছিল। এই ভিডিও দিয়ে তার সঙ্গে সোহাগ প্রতারণা করত। এসব কারণে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করে বলেও জানিয়েছেন অভির।’
এ ঘটনায় সোহাগের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে ১৯ জনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত মামলাটিতে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিরা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২), নান্নু গাজী (২৫), রেজওয়ান উদ্দিন অভি অভিজিৎ বসু (৩৫), মো. টিটন গাজী (৩২), আলমগীর (২৮) এবং মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২)।
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দুই ভাই সজীব বেপারী ও রাজীব বেপারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার,(১৯ জুলাই ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করেন কোতয়ালী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান। সজীব বেপারী ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ দিতে চাইলে বিচারক তা রেকর্ড করেন। আদালতের কোতয়ালী থানার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী এ তথ্য দিয়েছেন।
ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ৯ জুলাই পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেইটের সামনে কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় সোহাগকে। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ালে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই
হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নৈপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বলেন, ‘ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তিগত আক্রোশে হত্যা করা হয় সোহাগকে। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া অভির ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিল ব্যবসায়ী সোহাগের প্রতি। একাধিকবার সোহাগ তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাছাড়া দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ সোহাগ একচেটিয়া ব্যবসা করে আসছিল।’
প্রাথমিক জেরার মুখের অভির দেয়া তথ্য তুলে ধরে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর অভি বলেছে, ২০১৮ সালে সোহাগ তার ফুটপাতের দোকান দখল করার সময়, মোবাইলও কেড়ে নেয় সোহাগ। এই মোবাইলে তার স্ত্রীর সাথে (অভির স্ত্রী) ব্যক্তিগত ভিডিও ছিল। এই ভিডিও দিয়ে তার সঙ্গে সোহাগ প্রতারণা করত। এসব কারণে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করে বলেও জানিয়েছেন অভির।’
এ ঘটনায় সোহাগের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে ১৯ জনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত মামলাটিতে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিরা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২), নান্নু গাজী (২৫), রেজওয়ান উদ্দিন অভি অভিজিৎ বসু (৩৫), মো. টিটন গাজী (৩২), আলমগীর (২৮) এবং মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২)।