‘জাগ্রতবাংলা’, ‘সংশপ্তক’, ‘বিজয় কেতন’ কিংবা ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’—মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অসংখ্য অনন্য ভাস্কর্যের রচয়িতা হামিদুজ্জামান খান আর নেই।
রোববার সকাল ১০টা ৭ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই খ্যাতিমান শিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
তার স্ত্রী চিত্রশিল্পী আইভি জামান জানান, ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ জুলাই হামিদুজ্জামান খান হাসপাতালে ভর্তি হন। শেষদিকে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে ভাস্কর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন হামিদুজ্জামান খান। যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ও মানুষের দুর্দশা তার শিল্পচিন্তায় গভীর ছাপ ফেলেছিল। সেই প্রেরণায় তৈরি করেন অসংখ্য ভাস্কর্য, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’, ‘জাগ্রতবাংলা’, ‘সংশপ্তক’, ‘বিজয় কেতন’, ‘ফ্রিডম’, ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’ ইত্যাদি।
তবে শুধু যুদ্ধই নয়, তার শিল্পীসত্তা বিশেষভাবে ধরা দিয়েছে পাখির বিমূর্ততায়। ব্রোঞ্জ ও ইস্পাতে গড়া বহু পাখির ভাস্কর্য ছড়িয়ে রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে—বঙ্গভবনের ‘পাখি পরিবার’, গুলশানের ইউনাইটেড ভবনের প্রবেশপথের ‘পাখি’, আর টিএসসিতে ‘শান্তির পাখি’ আজও তার স্বপ্নময় শিল্পবোধের সাক্ষ্য দেয়।
চারুকলায় পড়াশোনা শেষ করে ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর চার দশকের বেশি সময় বাংলাদেশের ভাস্কর্যচর্চায় রেখেছেন অবিস্মরণীয় অবদান। গড়েছেন প্রায় দুই শতাধিক ভাস্কর্য। ৪৭টি একক প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করেছেন তার সৃজনভুবন।
২০০৬ সালে তিনি একুশে পদক পান শিল্পকলায় অবদানের জন্য। ২০২২ সালে বাংলা একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম জানান, হামিদুজ্জামানের মরদেহ চারুকলায় নেওয়ার বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সময় নির্ধারণ হলে আনুষ্ঠানিক জানানো হবে।
এক জীবনে তিনি পাখির মতোই উড়েছেন কল্পনার আকাশে। অবশেষে সব ছেড়ে পাড়ি জমালেন অনন্তলোকে। বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গনে থেকে গেল তার ছোঁয়া—ইস্পাতে, ব্রোঞ্জে, রঙে, রেখায়।
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
‘জাগ্রতবাংলা’, ‘সংশপ্তক’, ‘বিজয় কেতন’ কিংবা ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’—মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অসংখ্য অনন্য ভাস্কর্যের রচয়িতা হামিদুজ্জামান খান আর নেই।
রোববার সকাল ১০টা ৭ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই খ্যাতিমান শিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
তার স্ত্রী চিত্রশিল্পী আইভি জামান জানান, ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ জুলাই হামিদুজ্জামান খান হাসপাতালে ভর্তি হন। শেষদিকে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে ভাস্কর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন হামিদুজ্জামান খান। যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ও মানুষের দুর্দশা তার শিল্পচিন্তায় গভীর ছাপ ফেলেছিল। সেই প্রেরণায় তৈরি করেন অসংখ্য ভাস্কর্য, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’, ‘জাগ্রতবাংলা’, ‘সংশপ্তক’, ‘বিজয় কেতন’, ‘ফ্রিডম’, ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’ ইত্যাদি।
তবে শুধু যুদ্ধই নয়, তার শিল্পীসত্তা বিশেষভাবে ধরা দিয়েছে পাখির বিমূর্ততায়। ব্রোঞ্জ ও ইস্পাতে গড়া বহু পাখির ভাস্কর্য ছড়িয়ে রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে—বঙ্গভবনের ‘পাখি পরিবার’, গুলশানের ইউনাইটেড ভবনের প্রবেশপথের ‘পাখি’, আর টিএসসিতে ‘শান্তির পাখি’ আজও তার স্বপ্নময় শিল্পবোধের সাক্ষ্য দেয়।
চারুকলায় পড়াশোনা শেষ করে ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর চার দশকের বেশি সময় বাংলাদেশের ভাস্কর্যচর্চায় রেখেছেন অবিস্মরণীয় অবদান। গড়েছেন প্রায় দুই শতাধিক ভাস্কর্য। ৪৭টি একক প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করেছেন তার সৃজনভুবন।
২০০৬ সালে তিনি একুশে পদক পান শিল্পকলায় অবদানের জন্য। ২০২২ সালে বাংলা একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম জানান, হামিদুজ্জামানের মরদেহ চারুকলায় নেওয়ার বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সময় নির্ধারণ হলে আনুষ্ঠানিক জানানো হবে।
এক জীবনে তিনি পাখির মতোই উড়েছেন কল্পনার আকাশে। অবশেষে সব ছেড়ে পাড়ি জমালেন অনন্তলোকে। বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গনে থেকে গেল তার ছোঁয়া—ইস্পাতে, ব্রোঞ্জে, রঙে, রেখায়।