ডিমলায় মাদক ক্রয়ের টাকাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে উল্টো ঝুলে বেধড়ক পিটিয়েছে প্রতিপক্ষ মাদক সেবীরা। আবুল কালাম নামের ওই যুবকে গাছে উল্টা ঝুলিয়ে নির্যাতনের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামের রমজানের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৩০) এর সঙ্গে একই গ্রামের সোলেমান আলীর ছেলে রমজান আলী ও আল আমিনের মাদক কেনার টাকাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আবুল কালামকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রমজান আলী বাড়িতে রশি দিয়ে বেঁধে বেধরক মারপিট করে পাঁচ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় রাত দুটোর দিকে
আবুল কালাম আজাদকে রমজান আলীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী ইউক্লিপটাস গাছে আবুল কালাম আজাদকে উল্টো দিকে ঝুলিয়ে বেধরক মারপিট করা হয়। এ সময় ঘটনার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় জড়িতরা ঘটনা বেগতিক দেখে পরদিন শুক্রবার সকালে আবুল কালাম আজাদকে বসতবাড়িতে চুরির অভিযোগ এনে ডিমলা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ আহত আবুল কালাম আজাদ কে ডিমলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অন্য একটি চুরির মামলায় নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করে। এলাকাবাসী জানান, আবুল কালাম আজাদ চোর নয়। প্রতিপক্ষরা প্রকৃত ঘটনা ঢাকতে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক। পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে আবুল কালাম আজাদকে বাঁধা অবস্থায় পেয়ে আমার গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে বাঁধন খুলে দেই। এবং ডিমলা থানার ওসি সাহেবকে তৎক্ষণিক মোবাইল করে ঘটনা বিষয় জানিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান। আমি তখন নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কে ফোন করে সাহায্য চাই । ইউএনও মহোদয়ের হস্তক্ষেপে ডিমলা থানা পুলিশ এসে আবুল কালাম আজাদ কে থানায় নিয়ে যায়। প্যানেল চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আরও বলেন, কাউকে পেটানো বা গাছে উল্টো ঝুলিয়ে নির্যাতনের অধিকার কারও নেই। তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন বিকেলে আবুল কালাম আজাদকে গাছে উল্টো দিকে ঝুলিয়ে পেঠানোর দৃশ্যটি ফেইসবুকে দেখে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারি। ঘটনাটি দুঃখজ্জনক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে প্রচলিত আইনে বিচার করা হোক। যাতে এরকম ঘটনার পুরনাবৃত্তি আর না হয়। এ ব্যাপারে আবুল কালাম এর পিতা রমজান আলী বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরানুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার সকালে পশ্চিম ছাতানই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মোবাইল ফোনে ঘটনা জানিয়ে আইনগত সাহায্য চাইলে আমি ডিমলা থানার ওসি কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলি।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ওসি মো. ফজলে এলাহী জানান, ইউএনও
স্যারের মোবাইল পেয়ে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠিয়ে আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর অন্য একটি মামলায় নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আবুল কালাম আজাদের পিতা রমজান আলী বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের তদন্ত চলছে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
ডিমলায় মাদক ক্রয়ের টাকাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে উল্টো ঝুলে বেধড়ক পিটিয়েছে প্রতিপক্ষ মাদক সেবীরা। আবুল কালাম নামের ওই যুবকে গাছে উল্টা ঝুলিয়ে নির্যাতনের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামের রমজানের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৩০) এর সঙ্গে একই গ্রামের সোলেমান আলীর ছেলে রমজান আলী ও আল আমিনের মাদক কেনার টাকাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আবুল কালামকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রমজান আলী বাড়িতে রশি দিয়ে বেঁধে বেধরক মারপিট করে পাঁচ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় রাত দুটোর দিকে
আবুল কালাম আজাদকে রমজান আলীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী ইউক্লিপটাস গাছে আবুল কালাম আজাদকে উল্টো দিকে ঝুলিয়ে বেধরক মারপিট করা হয়। এ সময় ঘটনার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় জড়িতরা ঘটনা বেগতিক দেখে পরদিন শুক্রবার সকালে আবুল কালাম আজাদকে বসতবাড়িতে চুরির অভিযোগ এনে ডিমলা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ আহত আবুল কালাম আজাদ কে ডিমলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অন্য একটি চুরির মামলায় নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করে। এলাকাবাসী জানান, আবুল কালাম আজাদ চোর নয়। প্রতিপক্ষরা প্রকৃত ঘটনা ঢাকতে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক। পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে আবুল কালাম আজাদকে বাঁধা অবস্থায় পেয়ে আমার গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে বাঁধন খুলে দেই। এবং ডিমলা থানার ওসি সাহেবকে তৎক্ষণিক মোবাইল করে ঘটনা বিষয় জানিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান। আমি তখন নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কে ফোন করে সাহায্য চাই । ইউএনও মহোদয়ের হস্তক্ষেপে ডিমলা থানা পুলিশ এসে আবুল কালাম আজাদ কে থানায় নিয়ে যায়। প্যানেল চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আরও বলেন, কাউকে পেটানো বা গাছে উল্টো ঝুলিয়ে নির্যাতনের অধিকার কারও নেই। তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন বিকেলে আবুল কালাম আজাদকে গাছে উল্টো দিকে ঝুলিয়ে পেঠানোর দৃশ্যটি ফেইসবুকে দেখে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারি। ঘটনাটি দুঃখজ্জনক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে প্রচলিত আইনে বিচার করা হোক। যাতে এরকম ঘটনার পুরনাবৃত্তি আর না হয়। এ ব্যাপারে আবুল কালাম এর পিতা রমজান আলী বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরানুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার সকালে পশ্চিম ছাতানই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মোবাইল ফোনে ঘটনা জানিয়ে আইনগত সাহায্য চাইলে আমি ডিমলা থানার ওসি কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলি।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ওসি মো. ফজলে এলাহী জানান, ইউএনও
স্যারের মোবাইল পেয়ে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠিয়ে আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর অন্য একটি মামলায় নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আবুল কালাম আজাদের পিতা রমজান আলী বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের তদন্ত চলছে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।