দৈনিক ১০ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন, অসহায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সভা। তাদের দাবি, প্রতিদিন অন্তত ১২শ’ নৌকা দিয়ে বালু তুলে নেয়া হচ্ছে
সিলেটের জাফলংয়ের পিয়াইন নদী -সংবাদ
সিলেটের জাফলংয়ের পিয়াইন নদীতে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অসহায় বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে নৌকাপ্রতি ৮০০ টাকা করে। শ্রমিকদের অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে যাদের নেতৃত্বে এসব চাঁদা উত্তোলন করা হতো তাদের লোকজনই ভিন্নরূপে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা আরও অভিযোগ করেন, ‘ফ্যাসিস্ট’-এর দোসররা এ চাঁদাবাজিতে সম্পৃক্ত থাকলেও উল্টো এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তির নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পেতে শ্রমিকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রোববার,(২০ জুলাই ২০২৫) সরেজমিনে জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, পিয়াইন নদীতে সহস্রাধিক নৌকা দিয়ে শ্রমিকরা বালু উত্তোলন করছেন। জীবিকার তাগিদে ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি তারা কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে গেলেও শান্তিতে নেই তারা। দেখা যায়, শ্রমিকরা বালু ভর্তি নৌকা নদীর তীরে এনে সেখানেই ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করতে নদীর তীরে কয়েকটি স্পটে রয়েছে চাঁদাবাজদের ভাসমান অফিস। সেখানে বসে চাঁদাবাজরা দৈনিক ৮০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছে। শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন অন্তত ১২শ’ নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। সেই হিসাবে গড়ে দৈনিক চাঁদা উত্তোলনের পরিমাণ ধারায় ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এ প্রতিবেদক পিয়াইন নদীতে যাওয়ার পর শতাধিক শ্রমিক এবং ব্যবসায়ী তাদের বক্তব্য প্রদান করতে যান।
এ সময় ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল খান জিয়ারত অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনও বহাল তবিয়তে নদীতে চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে নৌকাপ্রতি দৈনিক ৮০০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে চাঁদাবাজরা।
পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল আহমদ অভিযোগ করেন, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে শ্রমিকদের জীবন বিষিয়ে উঠেছে। তার অভিযোগ, পতিত সরকারের চাঁদাবাজরা ভিন্ন রূপ নিয়ে চাঁদাবাজির মহোৎসব শুরু করেছে। তিনি বলেন, এই চাঁদাবাজরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তির নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।
যুবদল নেতা আতাউর রহমান বাদশার অভিযোগ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। সাধারণ শ্রমিকদের অভিযোগ, নৌকাপ্রতি ৮০০ টাকা করে চাঁদা না দিলে তাদের ওপর নেমে আসে অত্যাচার। এমনকি তাদের সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করতে বাধা দেয়া হয়।
এদিকে রোববার জাফলং এর লন্ডনী বাজারে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেন। এতে বক্তারা বলেন, ফ্যসিস্ট্যার দোসররা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলেও স্ট্যালিন থারিয়াং নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই ব্যবসায়ীর কাছে জনৈক ব্যক্তি কোটি টাকার চাঁদা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
দৈনিক ১০ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন, অসহায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সভা। তাদের দাবি, প্রতিদিন অন্তত ১২শ’ নৌকা দিয়ে বালু তুলে নেয়া হচ্ছে
সিলেটের জাফলংয়ের পিয়াইন নদী -সংবাদ
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
সিলেটের জাফলংয়ের পিয়াইন নদীতে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অসহায় বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে নৌকাপ্রতি ৮০০ টাকা করে। শ্রমিকদের অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে যাদের নেতৃত্বে এসব চাঁদা উত্তোলন করা হতো তাদের লোকজনই ভিন্নরূপে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা আরও অভিযোগ করেন, ‘ফ্যাসিস্ট’-এর দোসররা এ চাঁদাবাজিতে সম্পৃক্ত থাকলেও উল্টো এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তির নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পেতে শ্রমিকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রোববার,(২০ জুলাই ২০২৫) সরেজমিনে জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, পিয়াইন নদীতে সহস্রাধিক নৌকা দিয়ে শ্রমিকরা বালু উত্তোলন করছেন। জীবিকার তাগিদে ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি তারা কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে গেলেও শান্তিতে নেই তারা। দেখা যায়, শ্রমিকরা বালু ভর্তি নৌকা নদীর তীরে এনে সেখানেই ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করতে নদীর তীরে কয়েকটি স্পটে রয়েছে চাঁদাবাজদের ভাসমান অফিস। সেখানে বসে চাঁদাবাজরা দৈনিক ৮০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছে। শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন অন্তত ১২শ’ নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। সেই হিসাবে গড়ে দৈনিক চাঁদা উত্তোলনের পরিমাণ ধারায় ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এ প্রতিবেদক পিয়াইন নদীতে যাওয়ার পর শতাধিক শ্রমিক এবং ব্যবসায়ী তাদের বক্তব্য প্রদান করতে যান।
এ সময় ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল খান জিয়ারত অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনও বহাল তবিয়তে নদীতে চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে নৌকাপ্রতি দৈনিক ৮০০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে চাঁদাবাজরা।
পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল আহমদ অভিযোগ করেন, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে শ্রমিকদের জীবন বিষিয়ে উঠেছে। তার অভিযোগ, পতিত সরকারের চাঁদাবাজরা ভিন্ন রূপ নিয়ে চাঁদাবাজির মহোৎসব শুরু করেছে। তিনি বলেন, এই চাঁদাবাজরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তির নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।
যুবদল নেতা আতাউর রহমান বাদশার অভিযোগ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। সাধারণ শ্রমিকদের অভিযোগ, নৌকাপ্রতি ৮০০ টাকা করে চাঁদা না দিলে তাদের ওপর নেমে আসে অত্যাচার। এমনকি তাদের সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করতে বাধা দেয়া হয়।
এদিকে রোববার জাফলং এর লন্ডনী বাজারে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেন। এতে বক্তারা বলেন, ফ্যসিস্ট্যার দোসররা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলেও স্ট্যালিন থারিয়াং নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই ব্যবসায়ীর কাছে জনৈক ব্যক্তি কোটি টাকার চাঁদা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।