alt

জাতীয়

কদমতলীতে মা ও মেয়ে খুন : দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫

১৫ বছর আগে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় এক নারী ও তার মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস ইসলাম রোববার,(২০ জুলাই ২০২৫) এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত দুই আসামি হলেন আল-আমিন এবং মিরাজ মোল্লা। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ওলিউল ইসলাম তুষার জানান। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ মে রাত থেকে ৮ মে সকালের মধ্যে কদমতলীর পলাশপুরে এ কে এম শাহ ই আলমের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর কদমতলীর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ইয়াসমিনের ভাই মনির হোসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শাহ আলমের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সহযোগীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটনায় বলে সেখানে অভিযোগ করা হয়। মামলা হওয়ার পর শাহ আলমের প্রথম ঘরের ছেলে এবং তার দুই সহযোগী আল আমিন এবং মিরাজকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তারা আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দী দেন।

তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট পুলিশ পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। এরই মধ্যে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান আদালতে দাবি করেন, ঘটনার সময় শাহ আলমের ছেলে শিশু ছিলেন। পরে আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়।

তদন্তে উঠে আসে ঘটনার সময় ছেলেটির বয়স ছিল ১৪ বছর ৮ মাস ২৩ দিন। পরে তার মামলাটি বিচারের জন্য শিশু আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে তার মামলার বিচার চলছে। বাকি দুই আসামির বিচার চলাকালে ১৫ জনের সাক্ষ্য শোনে আদালত। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রোববার রায় দেয়া হলো।

হাতিরঝিলে চক্রাকার বাস সার্ভিসে র‌্যাপিড পাস চালু

ছবি

বান্দরবানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা: পার্বত্যাঞ্চলে পরিপূর্ণ শান্তি ফেরাতে বর্তমান সরকার গুরুত্বসহকারে দেখছে

পটিয়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যা: পরিবারের দাবি নির্যাতনে মৃত্যু

ছবি

জাফলংয়ের পিয়াইন নদীতে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য

ছবি

কৃষি: আবহাওয়ার সঠিক পূর্বাভাস বদলে দিচ্ছে কৃষকের জীবন

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫: তফসিল ঘোষণা ২৯ জুলাই

ডিমলায় মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে উল্টো করে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

বিএমইউতে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় রেডিওথেরাপির দ্বিতীয় শিফট চালু

ছবি

সেনাবাহিনীতে পদোন্নতিতে পেশাগত দক্ষতার ওপর জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা

নিবন্ধনে তথ্য ঘাটতি: দ্বিতীয় ধাপে এনসিপিসহ ৮২ দলকে চিঠি দিচ্ছে ইসি

ছবি

দিন দিন রেলপথে আমদানি কমছে বেনাপোলে

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘অনেক উন্নত’, ভোটে সমস্যা ‘হবে না’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এসএসসির ভুয়া প্রশ্ন সরবরাহের ১৭টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট শনাক্ত : সিআইডি

সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধি: প্রথম অব্যাহতি পেল তরুণ ফাইয়াজ

কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর

কোটালীপাড়ায় ‘গণগ্রেপ্তার-হয়রানির’ অভিযোগ বিএনপির

প্রধানমন্ত্রী ও দলীয়প্রধান একই ব্যক্তি: বিএনপি ও জামায়াত-এনসিপির ভিন্নমত

গোপালগঞ্জে পুলিশের ৪ মামলায় আসামি ৫ হাজারের বেশি

ছবি

২০ বছরের মেয়াদউত্তীর্ন বাস ও ২৫ বছরের ট্রাকের বিরুদ্ধে অভিযানে বিআরটিএ

ছবি

পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব ও সততার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

ইস্পাতের পাখির উড়াল শেষ, ভাস্কর হামিদুজ্জামান খানের বিদায়

পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে দুই ভাই

এডিস মশার উপদ্রব সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে

একাত্তর ও গণতন্ত্র প্রশ্নে ছাড় নয়: মির্জা ফখরুল

ছবি

মাশরুম উন্নয়ন প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ

ছবি

দেবিদ্বারে ঘুমন্ত নারীকে হত্যার অভিযোগে প্রেমিক ও স্বামী গ্রেপ্তার

ছবি

চাপাতি হাতে পুলিশের সামনে দিয়ে চলে গেল ছিনতাইকারী

ছবি

ইবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপত্তার দাবিতে দিনভর উত্তাল ক্যাম্পাস

‘গণঅভ্যুত্থানের পর নারীর ভূমিকা অবমূল্যায়ন করা হয়’

ট্যারিফ অনুমোদন ছাড়াই চলছে রামপালসহ ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র

গোপালগঞ্জে কারফিউ বাড়লো

এনসিপির নিবন্ধন আবেদনে ছয় ঘাটতি, সংশোধনের জন্য ইসির চিঠি

গোপালগঞ্জে হতাহতের ঘটনায় নিন্দা ও তদন্তের দাবি জানিয়ে ২১ নাগরিকের বিবৃতি

ছবি

চকরিয়ায় এনসিপির পথসভা পণ্ড: উত্তপ্ত কক্সবাজার

গোপালগঞ্জের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় এইচআরএফবি

tab

জাতীয়

কদমতলীতে মা ও মেয়ে খুন : দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫

১৫ বছর আগে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় এক নারী ও তার মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস ইসলাম রোববার,(২০ জুলাই ২০২৫) এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত দুই আসামি হলেন আল-আমিন এবং মিরাজ মোল্লা। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ওলিউল ইসলাম তুষার জানান। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ মে রাত থেকে ৮ মে সকালের মধ্যে কদমতলীর পলাশপুরে এ কে এম শাহ ই আলমের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর কদমতলীর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ইয়াসমিনের ভাই মনির হোসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শাহ আলমের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সহযোগীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটনায় বলে সেখানে অভিযোগ করা হয়। মামলা হওয়ার পর শাহ আলমের প্রথম ঘরের ছেলে এবং তার দুই সহযোগী আল আমিন এবং মিরাজকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তারা আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দী দেন।

তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট পুলিশ পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। এরই মধ্যে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান আদালতে দাবি করেন, ঘটনার সময় শাহ আলমের ছেলে শিশু ছিলেন। পরে আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়।

তদন্তে উঠে আসে ঘটনার সময় ছেলেটির বয়স ছিল ১৪ বছর ৮ মাস ২৩ দিন। পরে তার মামলাটি বিচারের জন্য শিশু আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে তার মামলার বিচার চলছে। বাকি দুই আসামির বিচার চলাকালে ১৫ জনের সাক্ষ্য শোনে আদালত। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রোববার রায় দেয়া হলো।

back to top