চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় স্বামীর বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ঊর্মি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ।
রোববার,(২০ জুলাই ২০২৫) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ঊর্মি আক্তার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সফর মুল্লুক হাজীবাড়ির মোজাম্মেল হকের স্ত্রী এবং আহমতুল্লাহ হকের মেয়ে।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া সুলতানা জানান, ‘ঊর্মিকে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান।’
পটিয়া থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। গৃহবধূ নিজ কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে, প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর
প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’ তবে নিহতের পরিবার বলছে, এটি নিছক আত্মহত্যা নয়, দীর্ঘদিনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ফলেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ঊর্মির বড় বোন সুমি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘তিন বছর আগে মোজাম্মেলের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তাকে মারধর করত। আমরা একাধিকবার টাকা-পয়সা ও উপহার সামগ্রী দিয়েছি, কিন্তু নির্যাতন থামেনি। আমার বোন এসব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’
এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ বলছে, অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় স্বামীর বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ঊর্মি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ।
রোববার,(২০ জুলাই ২০২৫) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ঊর্মি আক্তার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সফর মুল্লুক হাজীবাড়ির মোজাম্মেল হকের স্ত্রী এবং আহমতুল্লাহ হকের মেয়ে।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া সুলতানা জানান, ‘ঊর্মিকে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান।’
পটিয়া থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। গৃহবধূ নিজ কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে, প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর
প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’ তবে নিহতের পরিবার বলছে, এটি নিছক আত্মহত্যা নয়, দীর্ঘদিনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ফলেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ঊর্মির বড় বোন সুমি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘তিন বছর আগে মোজাম্মেলের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তাকে মারধর করত। আমরা একাধিকবার টাকা-পয়সা ও উপহার সামগ্রী দিয়েছি, কিন্তু নির্যাতন থামেনি। আমার বোন এসব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’
এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ বলছে, অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।