চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ‘জবাবদিহিমূলক ও মানবাধিকারভিত্তিক শাসনব্যবস্থা’ শক্তিশালী করার চলমান উদ্যোগে সহায়তা করতে পুলিশ সংস্কার বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আয়ারল্যান্ড।
বুধবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের প্রথম পুলিশ ওম্বুডসম্যান ব্যারোনেস নুয়ালা ও লোন এবং বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের নন-রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি। এ সময় তারা বাংলাদেশের চলমান রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দুই দিনের সফরে ঢাকায় অবস্থানরত ব্যারোনেস ও লোন ১৯৯৮ সালের গুড ফ্রাইডে চুক্তির পর সাত বছর নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের পুলিশ ওম্বুডসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় দীর্ঘ সংঘাতের অবসান ঘটে এবং পুলিশি জবাবদিহি ও জনআস্থা পুনর্গঠনের নতুন কাঠামো গড়ে ওঠে।
ব্যারোনেস নুয়ালা ও লোন বলেন, “সংঘাত-পরবর্তী সময়ে আয়ারল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ধৈর্য, অন্তর্ভুক্তি এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের গুরুত্ব সম্পর্কে মূল্যবান শিক্ষা দেয়। টেকসই পরিবর্তনের জন্য বাস্তবসম্মত সময়সীমা এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেই আমরা এখানে এসেছি।”
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আয়ারল্যান্ডের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমাদের রূপান্তর প্রক্রিয়া যেন শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক থাকে, সে লক্ষ্য অর্জনে আয়ারল্যান্ডের সহযোগিতাকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিই।”
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘ভুয়া তথ্য’ রোধে সহযোগিতা চাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে এ সময়। এ বিষয়ে আইরিশ রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “শান্তি, ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উভয় দেশের অভিন্ন অঙ্গীকার বাংলাদেশের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের অংশীদারত্ব আরও গভীর করবে।”
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন আইরিশ পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি ইউনিটের পরিচালক ফিওনুলা গিলসেনান এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারা কুক।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ‘জবাবদিহিমূলক ও মানবাধিকারভিত্তিক শাসনব্যবস্থা’ শক্তিশালী করার চলমান উদ্যোগে সহায়তা করতে পুলিশ সংস্কার বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আয়ারল্যান্ড।
বুধবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের প্রথম পুলিশ ওম্বুডসম্যান ব্যারোনেস নুয়ালা ও লোন এবং বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের নন-রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি। এ সময় তারা বাংলাদেশের চলমান রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দুই দিনের সফরে ঢাকায় অবস্থানরত ব্যারোনেস ও লোন ১৯৯৮ সালের গুড ফ্রাইডে চুক্তির পর সাত বছর নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের পুলিশ ওম্বুডসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় দীর্ঘ সংঘাতের অবসান ঘটে এবং পুলিশি জবাবদিহি ও জনআস্থা পুনর্গঠনের নতুন কাঠামো গড়ে ওঠে।
ব্যারোনেস নুয়ালা ও লোন বলেন, “সংঘাত-পরবর্তী সময়ে আয়ারল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ধৈর্য, অন্তর্ভুক্তি এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের গুরুত্ব সম্পর্কে মূল্যবান শিক্ষা দেয়। টেকসই পরিবর্তনের জন্য বাস্তবসম্মত সময়সীমা এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেই আমরা এখানে এসেছি।”
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আয়ারল্যান্ডের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমাদের রূপান্তর প্রক্রিয়া যেন শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক থাকে, সে লক্ষ্য অর্জনে আয়ারল্যান্ডের সহযোগিতাকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিই।”
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘ভুয়া তথ্য’ রোধে সহযোগিতা চাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে এ সময়। এ বিষয়ে আইরিশ রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “শান্তি, ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উভয় দেশের অভিন্ন অঙ্গীকার বাংলাদেশের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের অংশীদারত্ব আরও গভীর করবে।”
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন আইরিশ পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি ইউনিটের পরিচালক ফিওনুলা গিলসেনান এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারা কুক।