তদন্ত কমিটির প্রধান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসান যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন -ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটির কারণে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয় বলে তদন্ত প্রতিবদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি আরও বলেন, ‘ওনার উড্ডয়নের ত্রুটি ছিল। নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই। পরিস্থিতি তার আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।’
ঘটনার তিন মাস পর বুধবার,(০৫ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়া হয়েছে। উড্ডয়ন ত্রুটির কারণেই মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।
তদন্ত কমিটি বিশেষজ্ঞ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আক্রান্তসহ ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ১৬৮টি তথ্য উদঘাটন করে ৩৩টি সুপারিশমালা দিয়েছেন। কমিটির প্রধান সুপারিশ হলো, ‘ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীর ইনিশিয়াল ট্রেনিং রাজধানীর বাইরে সরিয়ে নেয়া, যাতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এমন দুর্ঘটনা পুনরায় না ঘটে।’
প্রতিবেদনের বরাতে তিনি বলেন, ‘মাইলস্টোনের ওই ভবনটি রাজউকের বিল্ডিং কোড নীতিমালা অনুসরণ করে নির্মাণ করা হয়নি। ওই বিল্ডিংয়ে কমপক্ষে তিনটি সিঁড়ি থাকার কথা ছিল, সেখানে ছিল মাত্র একটি। এখানে আরও সিঁড়ি থাকলে হতাহতের পরিমাণ কম হতো।’
প্রেস সচিব জানান, এখন থেকে বিমান বাহিনীর সব প্রশিক্ষণ ঢাকার বাইরে করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। কিছু কিছু স্থাপনা যেমন- হাসপাতাল, স্কুল, ওয়্যার হাউজ, স্মল ইন্ডাস্ট্রি এমন স্থাপনা বিমানবন্দর এলাকায় যাতে স্থাপন না করা হয় সে বিষয়ে সিভিল এভিয়েশন অথরিটিকে লক্ষ্য রাখতে তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা বরিশাল ও বগুড়ার রানওয়ে সম্প্রসারণের প্রস্তাব এবং রাজউকের সম্প্রসারিত এলাকায় বিশেষ করে সাভার, কাঞ্চন ও তারাবো পৌরসভায় বিল্ডিং অনুমোদনের ক্ষেত্রে রাজউকের নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দেন।
গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
ব্যাপক আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়-দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
তদন্ত কমিটির প্রধান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসান যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন -ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটির কারণে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয় বলে তদন্ত প্রতিবদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি আরও বলেন, ‘ওনার উড্ডয়নের ত্রুটি ছিল। নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই। পরিস্থিতি তার আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।’
ঘটনার তিন মাস পর বুধবার,(০৫ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়া হয়েছে। উড্ডয়ন ত্রুটির কারণেই মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।
তদন্ত কমিটি বিশেষজ্ঞ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আক্রান্তসহ ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ১৬৮টি তথ্য উদঘাটন করে ৩৩টি সুপারিশমালা দিয়েছেন। কমিটির প্রধান সুপারিশ হলো, ‘ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীর ইনিশিয়াল ট্রেনিং রাজধানীর বাইরে সরিয়ে নেয়া, যাতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এমন দুর্ঘটনা পুনরায় না ঘটে।’
প্রতিবেদনের বরাতে তিনি বলেন, ‘মাইলস্টোনের ওই ভবনটি রাজউকের বিল্ডিং কোড নীতিমালা অনুসরণ করে নির্মাণ করা হয়নি। ওই বিল্ডিংয়ে কমপক্ষে তিনটি সিঁড়ি থাকার কথা ছিল, সেখানে ছিল মাত্র একটি। এখানে আরও সিঁড়ি থাকলে হতাহতের পরিমাণ কম হতো।’
প্রেস সচিব জানান, এখন থেকে বিমান বাহিনীর সব প্রশিক্ষণ ঢাকার বাইরে করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। কিছু কিছু স্থাপনা যেমন- হাসপাতাল, স্কুল, ওয়্যার হাউজ, স্মল ইন্ডাস্ট্রি এমন স্থাপনা বিমানবন্দর এলাকায় যাতে স্থাপন না করা হয় সে বিষয়ে সিভিল এভিয়েশন অথরিটিকে লক্ষ্য রাখতে তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা বরিশাল ও বগুড়ার রানওয়ে সম্প্রসারণের প্রস্তাব এবং রাজউকের সম্প্রসারিত এলাকায় বিশেষ করে সাভার, কাঞ্চন ও তারাবো পৌরসভায় বিল্ডিং অনুমোদনের ক্ষেত্রে রাজউকের নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দেন।
গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
ব্যাপক আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়-দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।