আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম। দেশে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৃঢতার সঙ্গে এ ধরনের পদক্ষেপকে রুখে দেবে বলেও মনে করেন তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা সরকারের বিরুদ্ধে একটা প্রোপাগান্ডার অংশ বলেও দাবি এ প্রসিকিউটরের।
বুধবার,(১২ নভেম্বর ২০২৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিজানুল ইসলাম এ কথা বলেন।
জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের (অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী) বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় কবে হবে, তা জানা যাবে আজ।
এখন বাইরে যেগুলো (বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরিত প্রভৃতি) হচ্ছে, এগুলো কি থ্রেট টু জাস্টিস (ন্যায়বিচারের জন্য হুমকি)? কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর মিজানুল বলেন, ‘তিনি থ্রেট টু জাস্টিস মনে করেন না। তবে তারা এই বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য করছে, এটুকু বলতে পারেন।’
আজ রায়ের তারিখ পাওয়া যাবে কিনা, নাকি আবার অপেক্ষায় থাকতে হবে? এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘রায় দেয়া, রায়ের দিন নির্ধারণ করার
এখতিয়ার পুরোপুরি ট্রাইব্যুনালের বলে মন্তব্য করেন। তবে তারা বিশ্বাস করেন যে বৃহস্পতিবার (আজ) রায়ের তারিখ পাওয়া যাবে।’
এ মামলার আসামি শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এটাকে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম কীভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদেশি কোনো গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার ক্ষমতা তাদের নেই। তবে তাদের (সাক্ষাৎকার নেয়া বিদেশি গণমাধ্যম) উচিত এই প্রশ্ন করা যে এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, হত্যাকা-ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রচার করেছে এবং তারা বিশ্লেষণ করেছে। এটা তারই (শেখ হাসিনা) কণ্ঠস্বর। কাজেই তাদের এই প্রশ্নগুলো করা উচিত এবং যারা এই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, তাদেরই উত্তরটা দেয়া উচিত।’
ট্রাইব্যুনাল কোনোভাবেই কোনো বৈদেশিক ট্রাইব্যুনাল বা সংস্থা বা সরকার কারও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় উল্লেখ করে এই প্রসিকিউটর বলেন, ‘বিচারের ক্ষেত্রে বিচারকেরা স্বাধীন। এমনকি কোনো প্রসিকিউশনের কোনো বক্তব্য শুনতে বা প্রসিকিউশন যদি বলেন এটা করেন, তা করতে বিচারকরা করতে বাধ্য নন।’
আজ শেখ হাসিনার মামলায় রায়ের দিন ধার্য হবে। দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটা লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে এবং জাতিসংঘে অভিযোগ দেয়া হয়েছে যে এ বিচারের প্রক্রিয়াটা ঠিকভাবে হচ্ছে না। সার্বিকভাবে তারা অর্থের খরচ করছে। এটা নিয়ে প্রসিকিউশনের কোনো বক্তব্য আছে কিনা?- সাংবাদিকের করা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাতিসংঘে যে আবেদন করা হয়েছে, সেই বিষয় সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার আগে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের একটা বক্তব্য তুলে ধরেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোহেল তাজ বলেছেন, (আওয়ামী লীগ সরকার) জনগণের টাকা লুট করে বিদেশে নিয়ে গেছে। জনগণকে হত্যা করে বিদেশে চলে গেছে। তারপর বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিতে সেই টাকা দিয়ে জনগণকে লেলিয়ে দিচ্ছে। যে নেতাকর্মীদের তারা ফেলে পালিয়ে গেছে, তাদের আবার নির্যাতনের শিকারে পরিণত করছে।’ তারা (আওয়ামী লীগ) জাতিসংঘে একটা আবেদন করেছে। তাতে তারা অভিযোগ করেছে, এই আদালতের কার্যক্রম ঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। কেন ঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, তা তার কাছে বোধগম্য নয় বলেও দাবি করেন প্রসিকিউটর মি. নুল।
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন তাদের (আওামী লীরে) তৈরি করা আইন। আসামির অনুপস্থিতিতে কীভাবে বিচার চলবে, সেই প্রক্রিয়া তারাই তৈরি করেছে’ উল্লেখ করে প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই আইন তৈরি করা হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ের সংসদে। ওই সময় বিখ্যাত তিনজন আইনজীবী এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। ড. কামাল হোসেন, মনোরঞ্জন ধর এবং আরেক ভদ্রলোক ছিলেন। পরে এই আইনের সংশোধন করে ২০১০ সালে এই ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছিল, যদিও এই আইন ১৯৭৩ সালের। আসামির অনুপস্থিতিতে কীভাবে বিচার চলবে, সেই প্রক্রিয়া তারাই তৈরি করেছে। সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’
অনিয়ম ধরতে হলে আসামিকে উপস্থিত হতে হবে উল্লেখ করে এ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে অনিয়ম কী হচ্ছে, সেটা যদি ধরাতে হয়, তাহলে আসামিকে উপস্থিত হতে হবে। উপস্থিত হয়ে আবেদন করে বলতে হবে যে এখানে এই অনিয়ম হচ্ছে। শুধু রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছাড়া পলাতক আসামির পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির কোনো কথা বলার সুযোগ নেই।’
প্রসিকিউটর বলেন, ‘তার পক্ষে (শেখ হাসিনা) এখানে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিযুক্ত করা হয়েছে আমির হোসেনকে। তিনি (মিজানুল) যতটুকু জানেন, শেখ হাসিনার আমলের কোনো একটা কোর্টের স্পেশাল পিপির দায়িত্বে ছিলেন আমির; অর্থাৎ উনি তারই (শেখ হাসিনার) লোক ছিলেন। কাজেই এখানে ভিন্ন কোনো সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এরা এখন স্পেশাল পিপি হিসেবে কাজ করছে, তারা কার লোক? সাংবাদিকের করা এমন এক প্রশ্নে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম তা বলেননি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন ‘তিনি বলতে চেয়েছেন, অভিযোগ দেয়া হচ্ছে যে উপযুক্ত লোককে দেয়া হয়নি। তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) যাকে উপযুক্ত বিবেচনা করে একজন স্পেশাল পিপি নিয়োগ করেছিল একটা পদে, তাকে এখন এখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার মানে, তার (আমির হোসেন) অযোগ্যতা নেই। এটা বলেছেন। তারপরও যদি কোনো রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহলে যিনি প্রশ্ন উত্থাপন করবেন, তার এই মামলায় কথা বলার অধিকার থাকতে হবে। তো অধিকার কার আছে? পলাতকরা আসামি। তাদের ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে। আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে অথবা আইনজীবী নিয়োগ ছাড়া নিজেরাই বক্তব্য দেয়ার অধিকার রাখেন তারা। তারা হাজির হোক। হাজির হয়ে কথা বলুন।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম। দেশে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৃঢতার সঙ্গে এ ধরনের পদক্ষেপকে রুখে দেবে বলেও মনে করেন তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা সরকারের বিরুদ্ধে একটা প্রোপাগান্ডার অংশ বলেও দাবি এ প্রসিকিউটরের।
বুধবার,(১২ নভেম্বর ২০২৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিজানুল ইসলাম এ কথা বলেন।
জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের (অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী) বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় কবে হবে, তা জানা যাবে আজ।
এখন বাইরে যেগুলো (বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরিত প্রভৃতি) হচ্ছে, এগুলো কি থ্রেট টু জাস্টিস (ন্যায়বিচারের জন্য হুমকি)? কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর মিজানুল বলেন, ‘তিনি থ্রেট টু জাস্টিস মনে করেন না। তবে তারা এই বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য করছে, এটুকু বলতে পারেন।’
আজ রায়ের তারিখ পাওয়া যাবে কিনা, নাকি আবার অপেক্ষায় থাকতে হবে? এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘রায় দেয়া, রায়ের দিন নির্ধারণ করার
এখতিয়ার পুরোপুরি ট্রাইব্যুনালের বলে মন্তব্য করেন। তবে তারা বিশ্বাস করেন যে বৃহস্পতিবার (আজ) রায়ের তারিখ পাওয়া যাবে।’
এ মামলার আসামি শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এটাকে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম কীভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদেশি কোনো গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার ক্ষমতা তাদের নেই। তবে তাদের (সাক্ষাৎকার নেয়া বিদেশি গণমাধ্যম) উচিত এই প্রশ্ন করা যে এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, হত্যাকা-ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রচার করেছে এবং তারা বিশ্লেষণ করেছে। এটা তারই (শেখ হাসিনা) কণ্ঠস্বর। কাজেই তাদের এই প্রশ্নগুলো করা উচিত এবং যারা এই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, তাদেরই উত্তরটা দেয়া উচিত।’
ট্রাইব্যুনাল কোনোভাবেই কোনো বৈদেশিক ট্রাইব্যুনাল বা সংস্থা বা সরকার কারও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় উল্লেখ করে এই প্রসিকিউটর বলেন, ‘বিচারের ক্ষেত্রে বিচারকেরা স্বাধীন। এমনকি কোনো প্রসিকিউশনের কোনো বক্তব্য শুনতে বা প্রসিকিউশন যদি বলেন এটা করেন, তা করতে বিচারকরা করতে বাধ্য নন।’
আজ শেখ হাসিনার মামলায় রায়ের দিন ধার্য হবে। দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটা লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে এবং জাতিসংঘে অভিযোগ দেয়া হয়েছে যে এ বিচারের প্রক্রিয়াটা ঠিকভাবে হচ্ছে না। সার্বিকভাবে তারা অর্থের খরচ করছে। এটা নিয়ে প্রসিকিউশনের কোনো বক্তব্য আছে কিনা?- সাংবাদিকের করা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাতিসংঘে যে আবেদন করা হয়েছে, সেই বিষয় সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার আগে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের একটা বক্তব্য তুলে ধরেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোহেল তাজ বলেছেন, (আওয়ামী লীগ সরকার) জনগণের টাকা লুট করে বিদেশে নিয়ে গেছে। জনগণকে হত্যা করে বিদেশে চলে গেছে। তারপর বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিতে সেই টাকা দিয়ে জনগণকে লেলিয়ে দিচ্ছে। যে নেতাকর্মীদের তারা ফেলে পালিয়ে গেছে, তাদের আবার নির্যাতনের শিকারে পরিণত করছে।’ তারা (আওয়ামী লীগ) জাতিসংঘে একটা আবেদন করেছে। তাতে তারা অভিযোগ করেছে, এই আদালতের কার্যক্রম ঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। কেন ঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, তা তার কাছে বোধগম্য নয় বলেও দাবি করেন প্রসিকিউটর মি. নুল।
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন তাদের (আওামী লীরে) তৈরি করা আইন। আসামির অনুপস্থিতিতে কীভাবে বিচার চলবে, সেই প্রক্রিয়া তারাই তৈরি করেছে’ উল্লেখ করে প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই আইন তৈরি করা হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ের সংসদে। ওই সময় বিখ্যাত তিনজন আইনজীবী এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। ড. কামাল হোসেন, মনোরঞ্জন ধর এবং আরেক ভদ্রলোক ছিলেন। পরে এই আইনের সংশোধন করে ২০১০ সালে এই ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছিল, যদিও এই আইন ১৯৭৩ সালের। আসামির অনুপস্থিতিতে কীভাবে বিচার চলবে, সেই প্রক্রিয়া তারাই তৈরি করেছে। সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’
অনিয়ম ধরতে হলে আসামিকে উপস্থিত হতে হবে উল্লেখ করে এ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে অনিয়ম কী হচ্ছে, সেটা যদি ধরাতে হয়, তাহলে আসামিকে উপস্থিত হতে হবে। উপস্থিত হয়ে আবেদন করে বলতে হবে যে এখানে এই অনিয়ম হচ্ছে। শুধু রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছাড়া পলাতক আসামির পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির কোনো কথা বলার সুযোগ নেই।’
প্রসিকিউটর বলেন, ‘তার পক্ষে (শেখ হাসিনা) এখানে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিযুক্ত করা হয়েছে আমির হোসেনকে। তিনি (মিজানুল) যতটুকু জানেন, শেখ হাসিনার আমলের কোনো একটা কোর্টের স্পেশাল পিপির দায়িত্বে ছিলেন আমির; অর্থাৎ উনি তারই (শেখ হাসিনার) লোক ছিলেন। কাজেই এখানে ভিন্ন কোনো সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এরা এখন স্পেশাল পিপি হিসেবে কাজ করছে, তারা কার লোক? সাংবাদিকের করা এমন এক প্রশ্নে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম তা বলেননি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন ‘তিনি বলতে চেয়েছেন, অভিযোগ দেয়া হচ্ছে যে উপযুক্ত লোককে দেয়া হয়নি। তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) যাকে উপযুক্ত বিবেচনা করে একজন স্পেশাল পিপি নিয়োগ করেছিল একটা পদে, তাকে এখন এখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার মানে, তার (আমির হোসেন) অযোগ্যতা নেই। এটা বলেছেন। তারপরও যদি কোনো রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহলে যিনি প্রশ্ন উত্থাপন করবেন, তার এই মামলায় কথা বলার অধিকার থাকতে হবে। তো অধিকার কার আছে? পলাতকরা আসামি। তাদের ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে। আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে অথবা আইনজীবী নিয়োগ ছাড়া নিজেরাই বক্তব্য দেয়ার অধিকার রাখেন তারা। তারা হাজির হোক। হাজির হয়ে কথা বলুন।’