একদিনের ব্যবধানে পটুয়াখালী ও বরগুনায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভোরে পটুয়াখালী জেলার সার্কিট হাউস চত্বর সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে স্থাপিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কাপড়ে মুখ ঢেকে এক ব্যক্তি জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন ধরিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী জুলাই স্মারক নামের নোংরা জিনিস পটুয়াখালীর পবিত্র মাটিতে থাকতে পারে না।’
ছাত্রলীগ নেতার ওই পোস্টে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয়ার সমর্থন জানান কয়েকজন অনুসারী। কানিজ আরেফিন সিদ্দিক ও সবুজ মাহামুদ মন্তব্য করেন, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন যে, গণঅভ্যুত্থানে পটুয়াখালীর ২৫ জন শহীদ এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন, সেই শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয়াটা অবশ্যই দুঃখজনক।
তোফাজ্জেল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, স্মৃতিস্তম্ভটি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের বাসভবন ও সার্কিট হাউস সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে আগুন দেয়াটা ভাবনার বাইরে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেছেন তিনি।
দুর্বৃত্তরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করায় আটক করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কিশোর রায়। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, স্মৃতিস্তম্ভটি লোহার হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে।
বরগুনায় জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে গত বুধবার রাতে, কার্যক্রম নিষেধাজ্ঞা থাকা আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচির আগের রাতে। রাত আনুমানিক সোয়া ১টার দিকে বরগুনা সার্কিট হাউস এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ সংলগ্ন জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বরগুনা সদর থানার ওসি মো. ইয়াকুব হোসাইন।
জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের নিচের অংশে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার সময়ের একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, জুলাই স্মৃতি স্তম্ভের বেদীতে তেল জাতীয় কিছু একটা ছিটিয়ে দিয়াশলাই দিয়ে অগ্নিসংযোগ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। আগুন জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তারা স্থান ত্যাগ করে।
বরগুনা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক খোকন রাসেল বলেন, ‘ঘটনাস্থলের চারদিকে সকল সরকারি দপ্তর। এর মধ্যে এরকম একটা ঘটনা নিন্দনীয়। আমরা এর সঠিক তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
একদিনের ব্যবধানে পটুয়াখালী ও বরগুনায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভোরে পটুয়াখালী জেলার সার্কিট হাউস চত্বর সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে স্থাপিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কাপড়ে মুখ ঢেকে এক ব্যক্তি জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন ধরিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী জুলাই স্মারক নামের নোংরা জিনিস পটুয়াখালীর পবিত্র মাটিতে থাকতে পারে না।’
ছাত্রলীগ নেতার ওই পোস্টে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয়ার সমর্থন জানান কয়েকজন অনুসারী। কানিজ আরেফিন সিদ্দিক ও সবুজ মাহামুদ মন্তব্য করেন, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন যে, গণঅভ্যুত্থানে পটুয়াখালীর ২৫ জন শহীদ এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন, সেই শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয়াটা অবশ্যই দুঃখজনক।
তোফাজ্জেল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, স্মৃতিস্তম্ভটি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের বাসভবন ও সার্কিট হাউস সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে আগুন দেয়াটা ভাবনার বাইরে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেছেন তিনি।
দুর্বৃত্তরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করায় আটক করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কিশোর রায়। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, স্মৃতিস্তম্ভটি লোহার হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে।
বরগুনায় জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে গত বুধবার রাতে, কার্যক্রম নিষেধাজ্ঞা থাকা আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচির আগের রাতে। রাত আনুমানিক সোয়া ১টার দিকে বরগুনা সার্কিট হাউস এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ সংলগ্ন জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বরগুনা সদর থানার ওসি মো. ইয়াকুব হোসাইন।
জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের নিচের অংশে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার সময়ের একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, জুলাই স্মৃতি স্তম্ভের বেদীতে তেল জাতীয় কিছু একটা ছিটিয়ে দিয়াশলাই দিয়ে অগ্নিসংযোগ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। আগুন জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তারা স্থান ত্যাগ করে।
বরগুনা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক খোকন রাসেল বলেন, ‘ঘটনাস্থলের চারদিকে সকল সরকারি দপ্তর। এর মধ্যে এরকম একটা ঘটনা নিন্দনীয়। আমরা এর সঠিক তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।’