এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। সরকার তাকে অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণার পর মঙ্গলবার সেখানে তার নিরাপত্তায় এসএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই কারণে উৎসুক জনতাকে দূর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে -সংবাদ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তাবলয়।মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের প্রধান ফটকে ব্যারিকেড বসায় পুলিশ। দুপুরে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যদের গাড়ি ঢুকতে দেখা যায় হাসপাতালের ফটকে।
নিরাপত্তায় এভারকেয়ারে এসএসএফ
‘বিশেষভাবে’ যাদের নিরাপত্তা দরকার, সরকার দিতে ‘প্রস্তুত’: তারেককে নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘এসএসএফ সদস্যরা হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। উনারা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ম্যাডামকে দেখতে আসতে পারেন।’ তবে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এভারকেয়ারে যাবেন কিনা, কিংবা কখন যাবেন, সে বিষয়ে তার দপ্তর থেকে এখনও কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
‘ভিভিআইপি মর্যাদা’ কার্যকরের নির্দেশ সরকারের
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সংস্থাকে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘এই সভায় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয় এবং জাতির কাছে তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘সভায় বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় হাসপাতালে তার নির্বিঘœ চিকিৎসা, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা, তার নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা এবং উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় তাকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।’ এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার পরিবার এবং দল ‘অবগত আছেন’ বলেও জানিয়েছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এর আগে গতকাল সোমবার সরকার বলেছিল, অসুস্থ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব এসএসএফকে দেয়ার সুযোগ তৈরি হলো।
যাদের নিরাপত্তা দরকার, সরকার দিতে ‘প্রস্তুত’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশে ফেরার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘বিশেষভাবে’ যাদের জন্য দরকার, তাদের নিরাপত্তা দিতে সরকার ‘প্রস্তুত’ আছে। দেশে কারও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই বলেও দাবি করেন তিনি। মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই দাবি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে’ ছেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ‘জটিলতা’ নিয়ে কথা বলেছেন। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ তার ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’।
গত শনিবার সকালে তারেক রহমান ফেইসবুকে এই পোস্ট দেয়ার পর বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, তার দেশে ফেরায় সরকারের দিক থেকে কোনো ‘বিধিনিষেধ বা আপত্তি’ নেই। পরদিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে একদিনের মধ্যেই তাকে পাস দেয়া হবে।
গতকাল সোমবার খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সরকার, যার মাধ্যমে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব এসএসএফকে দেয়ার সুযোগ তৈরি হলো। এরপর আবার তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা সামনে আসে। শিগগিরই তার দেশে ফেরার কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
দেশে ফেরার পর তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কারও কোনো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই। নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সবার জন্যই প্রস্তুত আছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবার জন্য প্রস্তুত আছে। বিশেষভাবে যাদের জন্য দরকার, তাদের জন্য যেটা দেয়া দরকার, সেটার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’ এ সংক্রান্ত অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সবার জন্য একটা ‘স্ট্যাটাস’ থাকে, ওরকম একটা।’ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণায় সরকারের ১৫ মাস দেরি হলো কেন? জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটার ক্ষেত্রে আমি কিছু বলতে পারবো না, এক্ষেত্রে যাদের ওটা দেয়ার, তারাই বলতে পারবে।’
গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল, কিন্তু বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে ভর্তি করে নেয়া হয়। গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে ‘স্পেশাল কেয়ারে’। তার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দল বুধবার (আজ) আসছেন বলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। সরকার তাকে অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণার পর মঙ্গলবার সেখানে তার নিরাপত্তায় এসএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই কারণে উৎসুক জনতাকে দূর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তাবলয়।মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের প্রধান ফটকে ব্যারিকেড বসায় পুলিশ। দুপুরে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যদের গাড়ি ঢুকতে দেখা যায় হাসপাতালের ফটকে।
নিরাপত্তায় এভারকেয়ারে এসএসএফ
‘বিশেষভাবে’ যাদের নিরাপত্তা দরকার, সরকার দিতে ‘প্রস্তুত’: তারেককে নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘এসএসএফ সদস্যরা হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। উনারা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ম্যাডামকে দেখতে আসতে পারেন।’ তবে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এভারকেয়ারে যাবেন কিনা, কিংবা কখন যাবেন, সে বিষয়ে তার দপ্তর থেকে এখনও কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
‘ভিভিআইপি মর্যাদা’ কার্যকরের নির্দেশ সরকারের
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সংস্থাকে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘এই সভায় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয় এবং জাতির কাছে তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘সভায় বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় হাসপাতালে তার নির্বিঘœ চিকিৎসা, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা, তার নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা এবং উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় তাকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।’ এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার পরিবার এবং দল ‘অবগত আছেন’ বলেও জানিয়েছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এর আগে গতকাল সোমবার সরকার বলেছিল, অসুস্থ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব এসএসএফকে দেয়ার সুযোগ তৈরি হলো।
যাদের নিরাপত্তা দরকার, সরকার দিতে ‘প্রস্তুত’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশে ফেরার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘বিশেষভাবে’ যাদের জন্য দরকার, তাদের নিরাপত্তা দিতে সরকার ‘প্রস্তুত’ আছে। দেশে কারও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই বলেও দাবি করেন তিনি। মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই দাবি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে’ ছেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ‘জটিলতা’ নিয়ে কথা বলেছেন। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ তার ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’।
গত শনিবার সকালে তারেক রহমান ফেইসবুকে এই পোস্ট দেয়ার পর বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, তার দেশে ফেরায় সরকারের দিক থেকে কোনো ‘বিধিনিষেধ বা আপত্তি’ নেই। পরদিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে একদিনের মধ্যেই তাকে পাস দেয়া হবে।
গতকাল সোমবার খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সরকার, যার মাধ্যমে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব এসএসএফকে দেয়ার সুযোগ তৈরি হলো। এরপর আবার তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা সামনে আসে। শিগগিরই তার দেশে ফেরার কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
দেশে ফেরার পর তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কারও কোনো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই। নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সবার জন্যই প্রস্তুত আছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবার জন্য প্রস্তুত আছে। বিশেষভাবে যাদের জন্য দরকার, তাদের জন্য যেটা দেয়া দরকার, সেটার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’ এ সংক্রান্ত অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সবার জন্য একটা ‘স্ট্যাটাস’ থাকে, ওরকম একটা।’ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণায় সরকারের ১৫ মাস দেরি হলো কেন? জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটার ক্ষেত্রে আমি কিছু বলতে পারবো না, এক্ষেত্রে যাদের ওটা দেয়ার, তারাই বলতে পারবে।’
গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল, কিন্তু বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে ভর্তি করে নেয়া হয়। গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে ‘স্পেশাল কেয়ারে’। তার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দল বুধবার (আজ) আসছেন বলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন।