সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন–দুদক। রোববার সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ব্যক্তিগত সুখবিলাসের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিকুঞ্জ–১ আবাসিক এলাকায় সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পে অনিয়ম করে রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিকুঞ্জের লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে আবদুল হামিদের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িকে ঘিরে সাজসজ্জার কাজের ব্যয় নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দুদক অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়।
দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদের পাশাপাশি তার তিন ছেলের নামও অনুসন্ধানের তালিকায় রয়েছে। তারা হলেন—
সাবেক এমপি রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক
রাসেল আহমেদ তুহিন
রিয়াদ আহমেদ তুষার
দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি তিন সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলে আছেন সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক রোমান উদ্দিন।
দুদকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে আমলে নিয়েই অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ২০ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে অবস্থিত তিনতলা বিশিষ্ট ডুপ্লেক্স বাড়িটির চারপাশে নান্দনিক সাজসজ্জা করা হয়েছে। কর্নার প্লট হওয়ায় বাড়ির দুই পাশই খোলা। সামনের দিকে রয়েছে প্রবহমান খাল; খালের দুপাশে তৈরি করা হয়েছে হাঁটার (ওয়াকওয়ে) রাস্তা। আকর্ষণীয় ডিজাইনের ডেক ও ঝুলন্ত ব্রিজও নির্মাণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বাড়ির চারপাশ সাজানো হয়েছে দেশি–বিদেশি ফুল ও শৌখিন পাতাবাহারে। খালের পানিতেও দেখা যায় ভাসমান পদ্মফুল। লেকের পাড় ঘেঁষে সারিবদ্ধ খেজুর গাছ লাগানো হয়েছে, যেগুলো থেকে নিয়মিত রস সংগ্রহের চিহ্নও দেখা যায়। খালসংলগ্ন এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ আলোকসজ্জা—কিছু দূর পরপর বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাম্প পোস্ট।