alt

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারতের অংশীদারত্ব চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের অংশীদারত্ব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়, যেটা আমাদের সম্পর্কের জন্য শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক কাঠামো প্রদান করে থাকে।

সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ‘মৈত্রী দিবস: বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের খুব বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কটি গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আমাদের হৃদয়ে। এই বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী থাকবে। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তার সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং সামগ্রিকভাবে ভারতের জনগণের উদারতার কথা স্মরণ করছি। তারা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ১০ লাখ উদ্বাস্তুকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন, মুজিবনগর সরকারের জন্য জায়গা দিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিক প্রচারণা চালিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অংশীদারত্ব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়, যেটা আমাদের সম্পর্কের জন্য আনুষ্ঠানিক কাঠামো প্রদান করে। আমাদের বিস্তৃত অংশীদারত্ব এখন আরও পরিপক্ক, গতিশীলএবং কৌশলগত। আর এই অংশীদারত্ব সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সংযোগ ও আদান-প্রদানের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ়, বহুমুখী ও প্রসারিত হয়েছে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূলে এখন জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ, বাণিজ্য, ব্যবসা এবং সংযোগের ওপর আরও মনোনিবেশ করা দরকার, যা উভয়পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

করোনা পরিস্থিতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ এর আরোপিত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও আমাদের দুই দেশের সব স্তরের সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আমাদের মধ্যে সহযোগিতা খুব স্পষ্ট ছিল। মৈত্রী দিবস বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী গতিশীল অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একটি উপলক্ষ। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আগামী কয়েক দশক ধরে আমাদের দুই দেশের জনগণ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধারণাকে বাস্তবে পরিণত করবে।

অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক দিবস। ১৯৭১ সালে এই দিনে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। বাংলাদেশ জাতিসংঘ থেকে এলডিসি থেকে উত্তরণে তিনি স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহম্মদ ইমরা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক প্রমুখ।

৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস পালিত হচ্ছে। ঢাকা ও দিল্লি ছাড়াও বিশ্বের ১৮টি দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ১০ দিন আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

ছবি

যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

গ্যাস সংকটে আগামীর ‘ভরসা’ এলএনজি

ছবি

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর : ‘আমার স্বপ্নও ভেঙে গেছে’

ছবি

এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য

ছবি

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ছবি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ নতুন বিচারক

ছবি

কক্সবাজারে ভোটার হওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা চায় হাই কোর্ট

ছবি

ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তাপপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়বে

ছবি

ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির

ছবি

সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা জব্দ করা জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে; ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকের সবাই নিরাপদ

ছবি

পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

পদত্যাগ না করেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত : ইসি সচিব

ছবি

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড , আছে লোড শেডিংও

ছবি

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই

ছবি

ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বাড়লো আরও ৩ দিন, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড এর যৌথ অংশগ্রহণে টিএল-২০২৪ উদ্বোধন

ছবি

শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ--স্পীকার

ছবি

দু’দিনের সফরে কাতারের আমির ঢাকায়

ছবি

পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

ছবি

আনু মুহাম্মদের পায়ে ‌‘কম্বাইন্ড অপারেশন’ দরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি

আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, বাড়লো আরও ৩ দিন

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই কি এত তাপ?

ছবি

ভারতের উজানে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় তিস্তা মরা খালে পরিনত হয়েছে

ছবি

তাপদাহ : হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ছবি

পিছিয়ে নেই নারীরাও তামিলনাড়ু থেকে ট্রাক নিয়ে বেনাপোল এলেন অন্নপূর্ণা

ছবি

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমির, ১১ টি চুক্তি-সমঝোতা

ছবি

অন্যায় আবদারের কাছে মাথানত করবো না: ইসি আলমগীর

ছবি

তীব্র গরম : হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

tab

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারতের অংশীদারত্ব চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের অংশীদারত্ব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়, যেটা আমাদের সম্পর্কের জন্য শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক কাঠামো প্রদান করে থাকে।

সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ‘মৈত্রী দিবস: বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের খুব বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কটি গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আমাদের হৃদয়ে। এই বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী থাকবে। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তার সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং সামগ্রিকভাবে ভারতের জনগণের উদারতার কথা স্মরণ করছি। তারা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ১০ লাখ উদ্বাস্তুকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন, মুজিবনগর সরকারের জন্য জায়গা দিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিক প্রচারণা চালিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অংশীদারত্ব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়, যেটা আমাদের সম্পর্কের জন্য আনুষ্ঠানিক কাঠামো প্রদান করে। আমাদের বিস্তৃত অংশীদারত্ব এখন আরও পরিপক্ক, গতিশীলএবং কৌশলগত। আর এই অংশীদারত্ব সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সংযোগ ও আদান-প্রদানের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ়, বহুমুখী ও প্রসারিত হয়েছে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূলে এখন জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ, বাণিজ্য, ব্যবসা এবং সংযোগের ওপর আরও মনোনিবেশ করা দরকার, যা উভয়পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

করোনা পরিস্থিতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ এর আরোপিত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও আমাদের দুই দেশের সব স্তরের সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আমাদের মধ্যে সহযোগিতা খুব স্পষ্ট ছিল। মৈত্রী দিবস বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী গতিশীল অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একটি উপলক্ষ। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আগামী কয়েক দশক ধরে আমাদের দুই দেশের জনগণ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধারণাকে বাস্তবে পরিণত করবে।

অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক দিবস। ১৯৭১ সালে এই দিনে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। বাংলাদেশ জাতিসংঘ থেকে এলডিসি থেকে উত্তরণে তিনি স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহম্মদ ইমরা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক প্রমুখ।

৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস পালিত হচ্ছে। ঢাকা ও দিল্লি ছাড়াও বিশ্বের ১৮টি দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ১০ দিন আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

back to top