তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান পদত্যাগপত্র তার দপ্তরে পাঠিয়েছেন । গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি পদত্যাগপত্র ইমেইল করে পাঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পদত্যাগ’র নির্দেশ দেয়ার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।
এরপর দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ‘ক্ষমা’ চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। তবে তিনি লিখেছেন ‘যদি কোন ভূল করে থাকি’ পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-‘আমি যদি কোন ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা দেশরতœ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিবো আজীবন। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’
ফেইসবুকে দেওয়া এই স্টাটাস চার ঘন্টায় লাইক ৮৩ হাজার, কমেন্ট ৩৮ হাজার পড়েছে। শেয়ার হয়েছে ৩ হাজার ৪শ। স্টাটাসের কয়েকটি কমেন্টগুলোতে তার অনৈতিক কর্মকা- বর্ণনা ও ঘটনার শাস্তি দাবি করা হয়েছে। কয়েকটি স্টাটাস পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল: সায়েফ তুরান বলেন,‘পতন তো মাত্র শুরু কপালে আরো দুর্গতি আছে মনে রাখবেন।’
আদ্রিতা ত্রয়ী বলেন,‘তথ্যমন্ত্রী হয়ে নিজের তথ্যটা গোপন রাখতে পারলে না মুরাদ!’
মো. জাহিদ আল হাসান বলেন, ‘রসালো মুরাদ.. তোমার শুকরিয়া করা উচিত যে,নেত্রী পদত্যাগ করতে বলেছে, আগুনে ঝাপ দিতে বলেনাইৃ’
রাকিব আল হাসান বলেন,‘সম্পর্ক বদলে গেলো একটি পলকে, কে আপন কে যে পর হলো রে...’
নানা বিতর্কিত কর্মকা-ের পর তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ডা. মুরাদ। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পদত্যাগের চিঠিতে তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণের’ কথা উল্লেখ করেছেন ।
ৎ
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন মুরাদ। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে আক্রমণ করেন তিনি। এতে নিন্দার ঝড় ওঠে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে অশালীন ভাষায় ঘায়েল করার এই চেষ্টার পর প্রতিবাদ জানায় বিএনপি। নারী নেত্রীরাও এর সমালোচনা করেন। তিনি এই ধরনের বক্তব্য দিয়েও কীভাবে মন্ত্রিসভায় থাকেন, সেই প্রশ্ন তোলে বিভিন্ন সংগঠন।
২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই মন্ত্রণালয়ে ছিলেন তিনি।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য। তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
মঙ্গলবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান পদত্যাগপত্র তার দপ্তরে পাঠিয়েছেন । গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি পদত্যাগপত্র ইমেইল করে পাঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পদত্যাগ’র নির্দেশ দেয়ার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।
এরপর দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ‘ক্ষমা’ চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। তবে তিনি লিখেছেন ‘যদি কোন ভূল করে থাকি’ পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-‘আমি যদি কোন ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা দেশরতœ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিবো আজীবন। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’
ফেইসবুকে দেওয়া এই স্টাটাস চার ঘন্টায় লাইক ৮৩ হাজার, কমেন্ট ৩৮ হাজার পড়েছে। শেয়ার হয়েছে ৩ হাজার ৪শ। স্টাটাসের কয়েকটি কমেন্টগুলোতে তার অনৈতিক কর্মকা- বর্ণনা ও ঘটনার শাস্তি দাবি করা হয়েছে। কয়েকটি স্টাটাস পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল: সায়েফ তুরান বলেন,‘পতন তো মাত্র শুরু কপালে আরো দুর্গতি আছে মনে রাখবেন।’
আদ্রিতা ত্রয়ী বলেন,‘তথ্যমন্ত্রী হয়ে নিজের তথ্যটা গোপন রাখতে পারলে না মুরাদ!’
মো. জাহিদ আল হাসান বলেন, ‘রসালো মুরাদ.. তোমার শুকরিয়া করা উচিত যে,নেত্রী পদত্যাগ করতে বলেছে, আগুনে ঝাপ দিতে বলেনাইৃ’
রাকিব আল হাসান বলেন,‘সম্পর্ক বদলে গেলো একটি পলকে, কে আপন কে যে পর হলো রে...’
নানা বিতর্কিত কর্মকা-ের পর তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ডা. মুরাদ। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পদত্যাগের চিঠিতে তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণের’ কথা উল্লেখ করেছেন ।
ৎ
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন মুরাদ। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে আক্রমণ করেন তিনি। এতে নিন্দার ঝড় ওঠে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে অশালীন ভাষায় ঘায়েল করার এই চেষ্টার পর প্রতিবাদ জানায় বিএনপি। নারী নেত্রীরাও এর সমালোচনা করেন। তিনি এই ধরনের বক্তব্য দিয়েও কীভাবে মন্ত্রিসভায় থাকেন, সেই প্রশ্ন তোলে বিভিন্ন সংগঠন।
২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই মন্ত্রণালয়ে ছিলেন তিনি।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য। তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।