নিম্নমানের বাতি অপসারণে মেয়রের দু’দফা চিঠি অগ্রাহ্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে ৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে সর্বাধুনিক জার্মান অথবা ফ্রান্সের তৈরি পোস্ট এবং এলইডি বাতিসহ বৈদ্যুতিক কাজে নিম্নমানের চীনের তৈরি এলইডি লাইট স্থাপন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সিটি মেয়র দু’দফায় চিঠি দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিম্নমানের বাতি অপসারণ করার নির্দেশ দিলেও দীর্ঘ তিন মাসেও তা অপসারণ করা হয়নি। বরং নিম্নমানের লাগানো বাতিকে জায়েজ করার প্রক্রিয়া চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে বিশ্বমানের ৩৬ ওয়াটের বাতি লাগানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের দেয়া সুপারিশ অমান্য করে সিটি মেয়র একক সিদ্ধান্তে ৩৬ ওয়াটের সঙ্গে ৬০ ওয়াট যুক্ত করে টেন্ডার আহ্বান এবং কার্যাদেশ প্রদানের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিম্নমানের বাতি লাগানোর কারণে নগরীর প্রধান সড়কে পর্যাপ্ত আলো দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নগরীর প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে লাইট পোস্ট স্থাপন ও বিশ্বমানের জার্মান অথবা ফ্রান্সের তৈরি ৩৬ ওয়াটের এলইডি বাতি স্থাপন করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করার প্রক্রিয়া শুরু করে ২০১৯ সালে। টেন্ডার আহ্বানের আগেই একটি বিশেষ মহল তাদের পছন্দের নিম্নমানের বাতি কেনার জন্য বিভিন্ন ধরনের তদবির শুরু করে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন বাতি স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প ৪৯ কোটি টাকার ডিএপি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রাক্কলন তৈরি করা হয়। ওই নোট শিটে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও মেয়র মোস্তাফিজার রহমান স্বাক্ষর করেন। কিন্তু ৩৬ ওয়াটের সঙ্গে ৬০ ওয়াটের বাতি সংযুক্ত করার জন্য একটি মহল উঠে-পড়ে লাগে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কাজী শাহ আলম মেয়রের কাছে একটি চিঠি দেন এতে তিনি উল্লেখ করেন প্রকল্প অনুমোদনের ডিপিপিতে এলইডির রেট সিডিউল অনুযায়ী ৩৬ ওয়াটে এলইডি বাতি কেনার কথা উল্লেখ থাকার পরেও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত ডিপিপি অনুসরণ না করে ৩৬ ওয়াটের পরিবর্তে ৩৬/৬০ ওয়াটের বাতি অর্ন্তভুক্ত করে টেন্ডার আহ্বান করা হয় বলে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি তারিখে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ৩৬ ওয়াটের পরিবর্তে ৩৬/৬০ ওয়াটের বাতি টেন্ডার সিডিউলে অর্ন্তভুক্ত করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে ডিপিপি অনুযায়ী টেন্ডার সংশোধন করে পুনরায় টেন্ডার আহ্বানের সুপারিশ করেন। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অবজ্ঞা সিটি মেয়র নিজে বিশেষজ্ঞ না হওয়া সত্ত্বেও কারিগরি কমিটির সুপারিশ বাতিল করে তিনি একক সিদ্ধান্তে ৩৬ ওয়াটের পরিবর্তে ৩৬/৬০ ওয়াট বাতি লিখে টেন্ডার সংশোধনের এককভাবে নির্দেশ দেন। এভাবেই টেন্ডার আহ্বানের আগেই পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেয়ার একটি অবৈধ প্রক্রিয়া চালানো হয় বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে সিটি মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী টেন্ডার আহ্বান করা হয় এবং অ্যাডেক্স করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১ থেকে ৫ ও ৭ এবং ৮ নম্বর প্যাকেজের কাজটির কার্যাদেশ দেয়া হয়। একটি প্রতিষ্ঠানকে ৭টি প্যাকেজের কাজ দেয়া নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা ওঠে। তবে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের শর্ত মত জার্মান অথবা ফ্রান্সের তৈরি এলইডি বাতি সরবরাহ না করে নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি স্থাপন করে। যেখানে জার্মানীর তৈরি এলইডি বাতির মূল্য ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা সেখানে ১ হাজার টাকা মূল্যের চীনের তৈরি বাতি সরবরাহ করায় সড়কে আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের আপত্তির মুখে সরবরাহ করার বাতি পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে সেখান থেকে প্রতিবেদনে বাতিগুলো জার্মানির তৈরি নয় চীনের তৈরি এবং নিম্নমানের বলে প্রতিবেদন প্রদান করে বলে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল একজন প্রকৌশলী জানান।
এ ঘটনার পর গত ২৫ অক্টোবর ২০২১ইং তারিখে স্মারক নম্বর ১৪৬২ মোতাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাডেক্সকে চিঠি প্রদান করে। সেখানে উল্লেখ করা হয় সরবরাহকৃত এলইডি বাতিতে দেখা যায় ড্রাইভারের গায়ে কোন ব্রান্ড, ভোল্টেজ, রেজ্ঞ, ওয়াট, কান্ট্রি অফ ওরিজিন, লুমান, লাইফ টাইম সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। তাছাড়া বাতির সঙ্গে সংযুক্ত এসপিডিএর গায়ে দেখা যায় বাতিগুলো চীনের তৈরি এতে স্পষ্ট বোঝা যায় বৈদ্যুতিক পোলে স্থাপনকৃত বাতি ফ্রান্স বা জার্মানির তৈরি নয়। সে কারণে ৭ দিনের মধ্যে সব বাতি অপসারণ করার আদেশ, দেন মেয়র। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার জুবায়ের বিন রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তারা উল্লেখ করে সরবরাহ করা বাতিএলইডি বাতির ভেতরে চীনের তৈরি লেখাটি পুনরায় প্রতিস্থাপন করবে। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় পুনরায় গত ১০ জানুয়ারি ২০২২ইং তারিখে সিটি মেয়র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে আবারও ৭ দিনের মধ্যে সব বাতি অপসারণের আদেশ দেয়। সিটি মেয়রের আদেশ দেবার ৩ দিন অতিবাহিত হবার পরেও কোন বাতি অপসারণ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বরং ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়া নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি চালিয়ে দেবার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্পের পিডি এমদাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা বাতি নিম্নমানের এবং সিডিউল বর্হিভূত সে কারণে তাকে বাতি অপসারণ করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন আমরা দু’দফায় চিঠি দেবার পরেও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
নিম্নমানের বাতি অপসারণে মেয়রের দু’দফা চিঠি অগ্রাহ্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের
রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে ৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে সর্বাধুনিক জার্মান অথবা ফ্রান্সের তৈরি পোস্ট এবং এলইডি বাতিসহ বৈদ্যুতিক কাজে নিম্নমানের চীনের তৈরি এলইডি লাইট স্থাপন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সিটি মেয়র দু’দফায় চিঠি দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিম্নমানের বাতি অপসারণ করার নির্দেশ দিলেও দীর্ঘ তিন মাসেও তা অপসারণ করা হয়নি। বরং নিম্নমানের লাগানো বাতিকে জায়েজ করার প্রক্রিয়া চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে বিশ্বমানের ৩৬ ওয়াটের বাতি লাগানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের দেয়া সুপারিশ অমান্য করে সিটি মেয়র একক সিদ্ধান্তে ৩৬ ওয়াটের সঙ্গে ৬০ ওয়াট যুক্ত করে টেন্ডার আহ্বান এবং কার্যাদেশ প্রদানের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিম্নমানের বাতি লাগানোর কারণে নগরীর প্রধান সড়কে পর্যাপ্ত আলো দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নগরীর প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে লাইট পোস্ট স্থাপন ও বিশ্বমানের জার্মান অথবা ফ্রান্সের তৈরি ৩৬ ওয়াটের এলইডি বাতি স্থাপন করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করার প্রক্রিয়া শুরু করে ২০১৯ সালে। টেন্ডার আহ্বানের আগেই একটি বিশেষ মহল তাদের পছন্দের নিম্নমানের বাতি কেনার জন্য বিভিন্ন ধরনের তদবির শুরু করে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন বাতি স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প ৪৯ কোটি টাকার ডিএপি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রাক্কলন তৈরি করা হয়। ওই নোট শিটে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও মেয়র মোস্তাফিজার রহমান স্বাক্ষর করেন। কিন্তু ৩৬ ওয়াটের সঙ্গে ৬০ ওয়াটের বাতি সংযুক্ত করার জন্য একটি মহল উঠে-পড়ে লাগে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কাজী শাহ আলম মেয়রের কাছে একটি চিঠি দেন এতে তিনি উল্লেখ করেন প্রকল্প অনুমোদনের ডিপিপিতে এলইডির রেট সিডিউল অনুযায়ী ৩৬ ওয়াটে এলইডি বাতি কেনার কথা উল্লেখ থাকার পরেও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত ডিপিপি অনুসরণ না করে ৩৬ ওয়াটের পরিবর্তে ৩৬/৬০ ওয়াটের বাতি অর্ন্তভুক্ত করে টেন্ডার আহ্বান করা হয় বলে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি তারিখে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ৩৬ ওয়াটের পরিবর্তে ৩৬/৬০ ওয়াটের বাতি টেন্ডার সিডিউলে অর্ন্তভুক্ত করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে ডিপিপি অনুযায়ী টেন্ডার সংশোধন করে পুনরায় টেন্ডার আহ্বানের সুপারিশ করেন। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অবজ্ঞা সিটি মেয়র নিজে বিশেষজ্ঞ না হওয়া সত্ত্বেও কারিগরি কমিটির সুপারিশ বাতিল করে তিনি একক সিদ্ধান্তে ৩৬ ওয়াটের পরিবর্তে ৩৬/৬০ ওয়াট বাতি লিখে টেন্ডার সংশোধনের এককভাবে নির্দেশ দেন। এভাবেই টেন্ডার আহ্বানের আগেই পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেয়ার একটি অবৈধ প্রক্রিয়া চালানো হয় বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে সিটি মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী টেন্ডার আহ্বান করা হয় এবং অ্যাডেক্স করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১ থেকে ৫ ও ৭ এবং ৮ নম্বর প্যাকেজের কাজটির কার্যাদেশ দেয়া হয়। একটি প্রতিষ্ঠানকে ৭টি প্যাকেজের কাজ দেয়া নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা ওঠে। তবে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের শর্ত মত জার্মান অথবা ফ্রান্সের তৈরি এলইডি বাতি সরবরাহ না করে নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি স্থাপন করে। যেখানে জার্মানীর তৈরি এলইডি বাতির মূল্য ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা সেখানে ১ হাজার টাকা মূল্যের চীনের তৈরি বাতি সরবরাহ করায় সড়কে আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের আপত্তির মুখে সরবরাহ করার বাতি পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে সেখান থেকে প্রতিবেদনে বাতিগুলো জার্মানির তৈরি নয় চীনের তৈরি এবং নিম্নমানের বলে প্রতিবেদন প্রদান করে বলে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল একজন প্রকৌশলী জানান।
এ ঘটনার পর গত ২৫ অক্টোবর ২০২১ইং তারিখে স্মারক নম্বর ১৪৬২ মোতাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাডেক্সকে চিঠি প্রদান করে। সেখানে উল্লেখ করা হয় সরবরাহকৃত এলইডি বাতিতে দেখা যায় ড্রাইভারের গায়ে কোন ব্রান্ড, ভোল্টেজ, রেজ্ঞ, ওয়াট, কান্ট্রি অফ ওরিজিন, লুমান, লাইফ টাইম সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। তাছাড়া বাতির সঙ্গে সংযুক্ত এসপিডিএর গায়ে দেখা যায় বাতিগুলো চীনের তৈরি এতে স্পষ্ট বোঝা যায় বৈদ্যুতিক পোলে স্থাপনকৃত বাতি ফ্রান্স বা জার্মানির তৈরি নয়। সে কারণে ৭ দিনের মধ্যে সব বাতি অপসারণ করার আদেশ, দেন মেয়র। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার জুবায়ের বিন রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তারা উল্লেখ করে সরবরাহ করা বাতিএলইডি বাতির ভেতরে চীনের তৈরি লেখাটি পুনরায় প্রতিস্থাপন করবে। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় পুনরায় গত ১০ জানুয়ারি ২০২২ইং তারিখে সিটি মেয়র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে আবারও ৭ দিনের মধ্যে সব বাতি অপসারণের আদেশ দেয়। সিটি মেয়রের আদেশ দেবার ৩ দিন অতিবাহিত হবার পরেও কোন বাতি অপসারণ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বরং ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়া নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি চালিয়ে দেবার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্পের পিডি এমদাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা বাতি নিম্নমানের এবং সিডিউল বর্হিভূত সে কারণে তাকে বাতি অপসারণ করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন আমরা দু’দফায় চিঠি দেবার পরেও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।