অশ্লীল ভিডিও ফাঁস
কলকাতার এক নারীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও চ্যাটকান্ডে জড়িয়ে পড়া কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-৩) মুহাম্মদ সানিউল কাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালেই তাকে বদলি করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত এক বদলির আদেশে তাকে বলা হয়েছে, ‘আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে আপনাকে সদর দপ্তর ঢাকায় বদলির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। অতএব, বাংলাদেশ ডেপুটি হাই-কমিশন, কলকাতাকে অবিলম্বে আপনার বর্তমান দায়িত্বভার ত্যাগ করে সদর দপ্তর ঢাকায় অবিলম্বে প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ও জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হল।’
জানা গেছে, কলকাতায় অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের এ কর্মকর্তা। এরই এক পর্যায়ে সম্প্রতি ভারতীয় এক নারীর সঙ্গে তার হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও ফাঁস হয়। ভারতীয় এই নারীর নাম আলিশা মাহমুদ। এই নারী কলকাতার বাংলাদেশে উপ-হাইকমিশনের ফেইসবুক পেজের ইনবক্সে ভিডিওটি পাঠিয়ে দিলে তোলপাড় শুরু হয়। যেখানে দেখা যায়, কর্মকর্তা আপত্তিকর অবস্থায় থাকা ওই নারীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও চ্যাট করছেন।
ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন ওই কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে একটি পক্ষকে ধরে ভিডিও রিমুভ করতে সক্ষম হন। কিন্তু ততক্ষণে তা ছড়িয়ে পড়ে কলকাতা আর বাংলাদেশের অনেকের মাঝে। অনেকে ডাউনলোড করে পরিচিতজনের মাঝে শেয়ার করেন। সংবাদ প্রতিনিধির কাছেও এসেছে এমন ভিডিও। কিন্তু ভিডিও চ্যাটে স্পষ্ট দেখা যায় আপনাদের দু’জনের সম্মতিতেই এই অপকর্ম হচ্ছে, এমন প্রশ্ন করা হলে সানিউল কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি। তবে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ার পর দ্রুতই পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে বিষয়টি। কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনে হেড অব চ্যান্সেরি শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি জানিয়েছিলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এরই মধ্যে সাবেক কূটনীতিক আশরাফ উদ দৌলা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এমন ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য বিব্রতকর। অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
জানা গেছে, বুধবারই ওই কর্মকর্তাকে বলে দেয়া হয়েছিল আজ সকালের মধ্যেই কলকাতা ছেড়ে আসতে। ঢাকায় যাবার পর ভিডিওর বিষয়ে তার সেলফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এসএমএস পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি। তবে কোলকাতা ছাড়ার আগে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ‘ভিডিও সুপার এডিট করা।’
প্রসঙ্গত, সানিউল কাদের ছয় মাস আগে কলকাতার উপ-হাইকমিশনে যোগদান করার পর কলকাতার উপ-হাইকমিশনারের পরামর্শে একটি অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে টেন্ডার বহির্ভূত অখ্যাত একটি কোম্পানির সঙ্গে কাজের বরাদ্দর চুক্তিপত্রসহ বিভিন্ন কাগজে হাইকমিশনারের সঙ্গে যুগ্ম স্বাক্ষর করে ওয়ার্ক অর্ডার সম্পন্ন করে বিতর্কিত হয়েছিলেন।
জানা যায়, উপ-হাইকমিশনের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত বা এরকম যে কোন গুরুত্বপূর্ণ দলিল সম্পাদনের জন্য নিয়ম আনুযায়ী উপ-হাইকমিশনারের সঙ্গে যৌথ স্বাক্ষর করার কথা উপ-হাইকমিশনের দায়িত্বে থাকা হেড অব চ্যান্সেরির। কিন্তু অজানা কারণে এই নিয়ম মান্য করা হয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে কলকাতার উপ-হাইকমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলেননি।
অশ্লীল ভিডিও ফাঁস
বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
কলকাতার এক নারীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও চ্যাটকান্ডে জড়িয়ে পড়া কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-৩) মুহাম্মদ সানিউল কাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালেই তাকে বদলি করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত এক বদলির আদেশে তাকে বলা হয়েছে, ‘আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে আপনাকে সদর দপ্তর ঢাকায় বদলির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। অতএব, বাংলাদেশ ডেপুটি হাই-কমিশন, কলকাতাকে অবিলম্বে আপনার বর্তমান দায়িত্বভার ত্যাগ করে সদর দপ্তর ঢাকায় অবিলম্বে প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ও জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হল।’
জানা গেছে, কলকাতায় অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের এ কর্মকর্তা। এরই এক পর্যায়ে সম্প্রতি ভারতীয় এক নারীর সঙ্গে তার হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও ফাঁস হয়। ভারতীয় এই নারীর নাম আলিশা মাহমুদ। এই নারী কলকাতার বাংলাদেশে উপ-হাইকমিশনের ফেইসবুক পেজের ইনবক্সে ভিডিওটি পাঠিয়ে দিলে তোলপাড় শুরু হয়। যেখানে দেখা যায়, কর্মকর্তা আপত্তিকর অবস্থায় থাকা ওই নারীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও চ্যাট করছেন।
ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন ওই কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে একটি পক্ষকে ধরে ভিডিও রিমুভ করতে সক্ষম হন। কিন্তু ততক্ষণে তা ছড়িয়ে পড়ে কলকাতা আর বাংলাদেশের অনেকের মাঝে। অনেকে ডাউনলোড করে পরিচিতজনের মাঝে শেয়ার করেন। সংবাদ প্রতিনিধির কাছেও এসেছে এমন ভিডিও। কিন্তু ভিডিও চ্যাটে স্পষ্ট দেখা যায় আপনাদের দু’জনের সম্মতিতেই এই অপকর্ম হচ্ছে, এমন প্রশ্ন করা হলে সানিউল কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি। তবে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ার পর দ্রুতই পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে বিষয়টি। কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনে হেড অব চ্যান্সেরি শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি জানিয়েছিলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এরই মধ্যে সাবেক কূটনীতিক আশরাফ উদ দৌলা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এমন ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য বিব্রতকর। অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
জানা গেছে, বুধবারই ওই কর্মকর্তাকে বলে দেয়া হয়েছিল আজ সকালের মধ্যেই কলকাতা ছেড়ে আসতে। ঢাকায় যাবার পর ভিডিওর বিষয়ে তার সেলফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এসএমএস পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি। তবে কোলকাতা ছাড়ার আগে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ‘ভিডিও সুপার এডিট করা।’
প্রসঙ্গত, সানিউল কাদের ছয় মাস আগে কলকাতার উপ-হাইকমিশনে যোগদান করার পর কলকাতার উপ-হাইকমিশনারের পরামর্শে একটি অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে টেন্ডার বহির্ভূত অখ্যাত একটি কোম্পানির সঙ্গে কাজের বরাদ্দর চুক্তিপত্রসহ বিভিন্ন কাগজে হাইকমিশনারের সঙ্গে যুগ্ম স্বাক্ষর করে ওয়ার্ক অর্ডার সম্পন্ন করে বিতর্কিত হয়েছিলেন।
জানা যায়, উপ-হাইকমিশনের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত বা এরকম যে কোন গুরুত্বপূর্ণ দলিল সম্পাদনের জন্য নিয়ম আনুযায়ী উপ-হাইকমিশনারের সঙ্গে যৌথ স্বাক্ষর করার কথা উপ-হাইকমিশনের দায়িত্বে থাকা হেড অব চ্যান্সেরির। কিন্তু অজানা কারণে এই নিয়ম মান্য করা হয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে কলকাতার উপ-হাইকমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলেননি।