ঢাকা ‘বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরে’ পরিণত হওয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস। ঢাকাকে নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে মাস্টারপ্ল্যান নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ কজ চলছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) প্রথম জাতীয় সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্বে রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন হিসেবে নগর স্বাস্থ্যের দায়িত্ব আমাদের। এনসিডির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরাও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঢাকা সিটিতে পার্ক ও ফুটপাত স্থাপন করা হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর, এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। আমরা আমাদের মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে কাজ করছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় দুটি হাসপাতাল আছে, সেগুলোর উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ হতে কাজ করছে সরকার।
এ সময় তিনি বাংলাদেশে এনসিডি (অসংক্রামক রোগ) একটি নতুন ও চলমান বোঝা। ডায়বেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার রোগী উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার অসংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ক্যান্সার হাসপাতাল হচ্ছে। হৃদরোগের চিকিৎসায় গত দুই দশকে দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সব হাসপাতালে এনসিডি কর্নারে ৫টি ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনের এ অনুষ্ঠানে আজ দ্বিতীয় দিন। ২৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ সম্মেলন শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাতাসের মান নির্ভর করে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণের (পিএম ২.৫) ওপর, যা পরিমাপ করা হয় প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম (পার্টস পার মিলিয়ন-পিপিএম) এককে।
পিএম ২.৫, পিএম ১০ ছাড়াও সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ও গ্রাউন্ড লেভেল ওজোনে সৃষ্ট বায়ুদূষণ বিবেচনা করে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই তৈরি হয়। একিউআই নম্বর যত বাড়তে থাকে, বায়ুমান তত ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হয়।
একিউআই শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে সেই এলাকার বাতাসকে ভালো বলা যায়। ৫১ থেকে ১০০ হলে বাতাসের মান মডারেট বা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।
একিউআই ১০১ থেকে ১৫০ হলে সেই বাতাস স্পর্শকাতর শ্রেণির মানুষের (শিশু, বৃদ্ধ, শ্বাসকষ্টের রোগী) জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা সবার জন্যই অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয়। আর একিউআই ২০ থেকে ৩০০ হলে তা খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ থেকে ৫০০ হলে সেই বাতাসকে বিপদজনক ধরা হয়।
একিউআই বিপদজনক পর্যায়ে পৌঁছালে পুরো জনগোষ্ঠীর গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় একিউআই ছিল ১৫৫, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে সাড়ে ১২ গুণ বেশি। ওই সময় বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল পঞ্চম।
জানুয়ারি মাসের এই ২৭ দিনের মধ্যে কোনোদিনই ঢাকায় একিউআই ১৫০ এর নিচে নামেনি। ২২ জানুয়ারি তা ২৭৯ তে উঠেছিল, যা এ মাসের সর্বোচ্চ।
চিকিৎসকরা বলছেন, বায়ুদূষণ হলে শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায়। শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি থাকে এ সময় সবচেয়ে বেশি।
বায়ুদূষণের ফলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে হাজারো মানুষকে ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যান্সারসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অর্থ ইউনিটের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন মাহমুদ, সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদসহ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর আরবান হেলথের (আইএসইউএইচ) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জো আইভি বাফর্ড, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এনসিডি টিম লিডার (বাংলাদেশ) সাধনা ভাগওয়াত, ওয়ার্ড ওরবেস্টি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জন উইলডিং, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল রিসার্স সেন্টারের রিসার্স প্রধান অধ্যাপক ডা. রেদওনুর রহমান, বিএসএমএমইউ’র পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারিহা হোসেন।
দ্বিতীয় পর্বে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন ডা. মিথিলা ফারুখ, অধ্যাপক ডা.নজরুল ইসলাম, সানজিদা বিনতে আলী, আন্তর্জাতিক স্পিকার ডা. কিংসলে অ্যাঘো, বিলকিস বানু, নাভিরা আবতাবী বিনতে ইসলাম, খোন্দকার ফাতেমা। এই পর্বে সভাপতিত্ব করেন—আইসিডিডিআরবি’র জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও আয়োজক কমিটির বৈজ্ঞানিক সেক্রেটারি ডা. আলেয়া নাহিদ। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিওর আর্থের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মাহফুজুর রহমান।
বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
ঢাকা ‘বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরে’ পরিণত হওয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস। ঢাকাকে নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে মাস্টারপ্ল্যান নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ কজ চলছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) প্রথম জাতীয় সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্বে রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন হিসেবে নগর স্বাস্থ্যের দায়িত্ব আমাদের। এনসিডির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরাও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঢাকা সিটিতে পার্ক ও ফুটপাত স্থাপন করা হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর, এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। আমরা আমাদের মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে কাজ করছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় দুটি হাসপাতাল আছে, সেগুলোর উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ হতে কাজ করছে সরকার।
এ সময় তিনি বাংলাদেশে এনসিডি (অসংক্রামক রোগ) একটি নতুন ও চলমান বোঝা। ডায়বেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার রোগী উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার অসংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ক্যান্সার হাসপাতাল হচ্ছে। হৃদরোগের চিকিৎসায় গত দুই দশকে দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সব হাসপাতালে এনসিডি কর্নারে ৫টি ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনের এ অনুষ্ঠানে আজ দ্বিতীয় দিন। ২৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ সম্মেলন শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাতাসের মান নির্ভর করে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণের (পিএম ২.৫) ওপর, যা পরিমাপ করা হয় প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম (পার্টস পার মিলিয়ন-পিপিএম) এককে।
পিএম ২.৫, পিএম ১০ ছাড়াও সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ও গ্রাউন্ড লেভেল ওজোনে সৃষ্ট বায়ুদূষণ বিবেচনা করে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই তৈরি হয়। একিউআই নম্বর যত বাড়তে থাকে, বায়ুমান তত ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হয়।
একিউআই শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে সেই এলাকার বাতাসকে ভালো বলা যায়। ৫১ থেকে ১০০ হলে বাতাসের মান মডারেট বা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।
একিউআই ১০১ থেকে ১৫০ হলে সেই বাতাস স্পর্শকাতর শ্রেণির মানুষের (শিশু, বৃদ্ধ, শ্বাসকষ্টের রোগী) জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা সবার জন্যই অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয়। আর একিউআই ২০ থেকে ৩০০ হলে তা খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ থেকে ৫০০ হলে সেই বাতাসকে বিপদজনক ধরা হয়।
একিউআই বিপদজনক পর্যায়ে পৌঁছালে পুরো জনগোষ্ঠীর গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় একিউআই ছিল ১৫৫, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে সাড়ে ১২ গুণ বেশি। ওই সময় বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল পঞ্চম।
জানুয়ারি মাসের এই ২৭ দিনের মধ্যে কোনোদিনই ঢাকায় একিউআই ১৫০ এর নিচে নামেনি। ২২ জানুয়ারি তা ২৭৯ তে উঠেছিল, যা এ মাসের সর্বোচ্চ।
চিকিৎসকরা বলছেন, বায়ুদূষণ হলে শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায়। শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি থাকে এ সময় সবচেয়ে বেশি।
বায়ুদূষণের ফলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে হাজারো মানুষকে ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যান্সারসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অর্থ ইউনিটের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন মাহমুদ, সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদসহ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর আরবান হেলথের (আইএসইউএইচ) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জো আইভি বাফর্ড, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এনসিডি টিম লিডার (বাংলাদেশ) সাধনা ভাগওয়াত, ওয়ার্ড ওরবেস্টি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জন উইলডিং, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল রিসার্স সেন্টারের রিসার্স প্রধান অধ্যাপক ডা. রেদওনুর রহমান, বিএসএমএমইউ’র পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারিহা হোসেন।
দ্বিতীয় পর্বে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন ডা. মিথিলা ফারুখ, অধ্যাপক ডা.নজরুল ইসলাম, সানজিদা বিনতে আলী, আন্তর্জাতিক স্পিকার ডা. কিংসলে অ্যাঘো, বিলকিস বানু, নাভিরা আবতাবী বিনতে ইসলাম, খোন্দকার ফাতেমা। এই পর্বে সভাপতিত্ব করেন—আইসিডিডিআরবি’র জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও আয়োজক কমিটির বৈজ্ঞানিক সেক্রেটারি ডা. আলেয়া নাহিদ। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিওর আর্থের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মাহফুজুর রহমান।