এবার তরল দুধের দামও বাড়ল। বেড়েছে লবণের দামও। ভোগ্যপণ্য তেল, ডাল, আটা-ময়দা, পেঁয়াজ-রসুন থেকে সাবান, পেস্ট, স্যম্পুর পর এবার বেড়েছে তরল দুধ ও লবণের দামও। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে সেই চিত্রই পাওয়া গেল।
সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে সরিষার তেলেরও দামও। গত দুই মাসে কেজিতে খোলা সরিষার তেলের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর প্রকারভেদে বোতলজাত সরিষার তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদের অভিযোগ, সয়াবিন তেলের দাম বেশি দেখে ‘সুযোগসন্ধানী’ ব্যবসায়ীরা সরিষার তেলের দামও বাড়িয়েছে। সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে কোম্পানিগুলো।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, আড়ং ব্যান্ডের এক লিটার তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, একই পরিমাণ তরল দুধ কয়েকদিন আগেও ৭০ টাকায় পাওয়া যেত। আড়ংয়ের ৫০০ গ্রাম তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, এ পরিমাণ তরল দুধ ৩৫ টাকায় পাওয়া যেত।
ফার্মফ্রেশ এক লিটার তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগেও ৭০ টাকায় একই পরিমাণ তরল দুধ পাওয়া যেত। ফার্মফ্রেশ ৫০০ গ্রাম তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ পরিমাণ তরল দুধ ৩৫ টাকায় পাওয়া যেত।
প্রাণ ইউএইচটি তরল দুধ এক লিটার তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। একই পরিমাণ তরল দুধ কয়েকদিন আগে ৯০ টাকায় পাওয়া যেত। প্রাণের ইউএইচটি ৫০০ গ্রাম তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এর আগে একই পরিমাণ তরল দুধ পাওয়া যেত ৪৫ টাকায়। আর ২০০ মিলি তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। এর আগে একই পরিমাণ তরল দুধ পাওয়া যেত ২২ টাকায়। তবে এক লিটার মিল্কভিটা তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা কমে ৭৫ টাকায়।
তরল দুধ কিনতে আসা রাজধানী শ্যামলীর অস্থায়ী বাসিন্দা ফরিদা বেগম দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, ‘যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে বেঁচে থাকায় বড় দায়। আগে এক লিটার করে দুধ কিনতাম, গতকাল থেকে হাফ লিটার করে নিচ্ছি’।
খাবার জন্য ব্যবহার করা লবণের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফ্রেশ ব্যান্ডের এক কেজি লবণ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। কয়েকদিন আগেও একই পরিমাণ লবণ ৩০ টাকায় পাওয়া যেত। আর ৫০০ গ্রাম লবণ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, যা ১৭ টাকায় ক্রয় করা যেত।
এসিআই ব্যান্ডের লবণও এক কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। কয়েকদিন আগে একই পরিমাণ লবণ ৩০ টাকায় পাওয়া যেত। আর ৫০০ গ্রাম লবণ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, যা ১৭ টাকায় ক্রয় করা যেত।
মোল্লা সুপার সল্টের দামও কেজিপ্রতি ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে একই পরিমাণ লবণ ৩০ টাকায় পাওয়া যেত। আর ৫০০ গ্রাম লবণ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, যা ১৭ টাকায় ক্রয় করা যেত।
সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে সরিষার তেলেরও দামও। গত দুই মাসে কেজিতে খোলা সরিষার তেলের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর প্রকারভেদে বোতলজাত সরিষার তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদের অভিযোগ, সয়াবিন তেলের দাম বেশি দেখে ‘সুযোগসন্ধানী’ ব্যবসায়ীরা সরিষার তেলের দামও বাড়িয়েছে। সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে কোম্পানিগুলো।
রাজধানীর শ্যামলী এলাকার আয়েশা স্টোরের বিক্রয়কর্মী মানিক মিয়া বলেন, রাঁধুনী ব্যান্ডের সরিষার তেল বোতলের গায়ে লেখা দাম এক লিটার ৩৬০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ১৮৫ টাকা আর ২৫০ গ্রাম ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। তীর ব্যান্ডের সরিষার তেলও বোতলের গায়ে লেখা দামে এক লিটার ৩৬০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ১৮৫ টাকা আর এক লিটার সুরেশ সরিষার তেল ৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
আয়েশা স্টোরের বিক্রয়কর্মী মানিক মিয়া বলেন, ‘কোম্পানির লোকজন আগে মাল ক্রয়ের সময় ৩-৪ পিস পণ্য ফ্রি দিত বা ডিসকাউন্ট দিত। দাম বৃদ্ধির পর এসব সুযোগ পাওয়া যায় না। ফলে দাম বাড়লেও আগের থেকে আমাদের লাভ কম হচ্ছে।
এদিকে স্বপ্ন সুপার শপের শ্যামলী শাখায় গিয়ে দেখা যায়, এসিআই পিউর ব্যান্ডের এক লিটার সরিষার তেল বোতলের গায়ে লেখা ৩৬০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ১৮৫ টাকা আর ২৫০ গ্রাম ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ক্রেতাদের ভ্যাটও দিতে হচ্ছে।
রাজধানীর কাওরান বাজারের সোনালী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবুল কাশেম বলেন, খোলা সরিষার তেল কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরিষার তেলের ওপর চাপ পড়ায় বিক্রিও বৃদ্ধি পেয়েছে তাই দাম বেড়েছে।
ইউক্রেণে-রাশিয়ার সামরিক অভিযানের আগে খোলা বাজারে এক লিটার সরিষার তেল বিক্রি হতো ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়, ৫০০ গ্রাম ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় আর ২৫০ গ্রাম তেল ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। বর্তমানে খোলা সরিষার তেল বাজারে মানভেদে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে।
এমঅ্যান্ডএস এগ্রো ফুডের সাজ্জাত ইসলাম বলেন, ‘এক মণ সরিষা গরু দিয়ে ঘানিতে ভাঙলে ১০ থেকে ১১ কেজি তেল পাওয়া যায়। আর মেশিনে এক মণ সরিষা ভাঙলে তেল পাওয়া যায় ১৪ থেকে ১৫ কেজি। আগে সয়াবিন তেলের সঙ্গে সরিষার তেলের এক লিটারে দামের ব্যবধান ছিল ৮০ টাকা, বর্তমানে ৬০ টাকা।’
রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের হাজি আহসান উল্লাহ এন্টারপ্রাইজের বিক্রয়কর্মী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফরচুন ব্যান্ডের রাইচব্র্যান ৫ লিটার তেল রমজানে ছিল ৭৭৫ টাকা, দাম বেড়ে এখন ৯৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
‘এসিআই ব্যান্ডের রাইচব্যান তেল গত রমজানে ছিল ৭৭০ টাকা, দাম বেড়ে এখন ৯০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সূর্যমুখী তেল ইন্ডিয়ান কিংস ব্যান্ডের ৫ লিটার ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সূর্যমুখী তেল ইটালিয়া ব্যান্ডের এক লিটার ৩৮০ টাকা, দুই লিটার ৭৩০ টাকা আর ৫ লিটার ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত এসব তেলের দাম আবারো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা আছে বলে জানান এই বিক্রয়কর্মী।
এদিকে চালের বাজারও চড়াভাব দেখা দিয়েছে। রাজধানীতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪২-৪৪ টাকা, আটাশ ৪৬-৫০ টাকা, মিনিকেট ৬২-৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ৭০-৭২ টাকা, পাইজাম ৪৫-৪৬ টাকা, বাসমতি ৭৮-৮০ টাকা, আতব চাল ৭৭ টাকা, চিনিগুড়া ১০০-১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । দুই দিন আগেও মানভেদে এসব চাল কেজি প্রতি দুই থকে ৫ টাকা কম ছিল।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ মৌসুমে দেশে পাঁচ লাখ সাত হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদিত সরিষার পরিমাণ ছিল সাত লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। হেক্টরে ১.৩৬ টন গড় ফলন হিসাবে প্রায় আট লাখ টন সরিষা উৎপাদিত হয়েছে।
বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৮০ শতাংশই আমদানিনির্ভর। এই তেলের মধ্যে রয়েছে সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, সরিষার তেল, সানফ্লাওয়ার অয়েল এবং রাইসব্রান তেল। এর মধ্যে সয়াবিন তেলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, যার মধ্যে দেশে উৎপাদন শুধু ২০ শতাংশের মতো।
শনিবার, ২১ মে ২০২২
এবার তরল দুধের দামও বাড়ল। বেড়েছে লবণের দামও। ভোগ্যপণ্য তেল, ডাল, আটা-ময়দা, পেঁয়াজ-রসুন থেকে সাবান, পেস্ট, স্যম্পুর পর এবার বেড়েছে তরল দুধ ও লবণের দামও। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে সেই চিত্রই পাওয়া গেল।
সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে সরিষার তেলেরও দামও। গত দুই মাসে কেজিতে খোলা সরিষার তেলের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর প্রকারভেদে বোতলজাত সরিষার তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদের অভিযোগ, সয়াবিন তেলের দাম বেশি দেখে ‘সুযোগসন্ধানী’ ব্যবসায়ীরা সরিষার তেলের দামও বাড়িয়েছে। সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে কোম্পানিগুলো।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, আড়ং ব্যান্ডের এক লিটার তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, একই পরিমাণ তরল দুধ কয়েকদিন আগেও ৭০ টাকায় পাওয়া যেত। আড়ংয়ের ৫০০ গ্রাম তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, এ পরিমাণ তরল দুধ ৩৫ টাকায় পাওয়া যেত।
ফার্মফ্রেশ এক লিটার তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগেও ৭০ টাকায় একই পরিমাণ তরল দুধ পাওয়া যেত। ফার্মফ্রেশ ৫০০ গ্রাম তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ পরিমাণ তরল দুধ ৩৫ টাকায় পাওয়া যেত।
প্রাণ ইউএইচটি তরল দুধ এক লিটার তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। একই পরিমাণ তরল দুধ কয়েকদিন আগে ৯০ টাকায় পাওয়া যেত। প্রাণের ইউএইচটি ৫০০ গ্রাম তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এর আগে একই পরিমাণ তরল দুধ পাওয়া যেত ৪৫ টাকায়। আর ২০০ মিলি তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। এর আগে একই পরিমাণ তরল দুধ পাওয়া যেত ২২ টাকায়। তবে এক লিটার মিল্কভিটা তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা কমে ৭৫ টাকায়।
তরল দুধ কিনতে আসা রাজধানী শ্যামলীর অস্থায়ী বাসিন্দা ফরিদা বেগম দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, ‘যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে বেঁচে থাকায় বড় দায়। আগে এক লিটার করে দুধ কিনতাম, গতকাল থেকে হাফ লিটার করে নিচ্ছি’।
খাবার জন্য ব্যবহার করা লবণের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফ্রেশ ব্যান্ডের এক কেজি লবণ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। কয়েকদিন আগেও একই পরিমাণ লবণ ৩০ টাকায় পাওয়া যেত। আর ৫০০ গ্রাম লবণ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, যা ১৭ টাকায় ক্রয় করা যেত।
এসিআই ব্যান্ডের লবণও এক কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। কয়েকদিন আগে একই পরিমাণ লবণ ৩০ টাকায় পাওয়া যেত। আর ৫০০ গ্রাম লবণ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, যা ১৭ টাকায় ক্রয় করা যেত।
মোল্লা সুপার সল্টের দামও কেজিপ্রতি ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে একই পরিমাণ লবণ ৩০ টাকায় পাওয়া যেত। আর ৫০০ গ্রাম লবণ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, যা ১৭ টাকায় ক্রয় করা যেত।
সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে সরিষার তেলেরও দামও। গত দুই মাসে কেজিতে খোলা সরিষার তেলের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর প্রকারভেদে বোতলজাত সরিষার তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদের অভিযোগ, সয়াবিন তেলের দাম বেশি দেখে ‘সুযোগসন্ধানী’ ব্যবসায়ীরা সরিষার তেলের দামও বাড়িয়েছে। সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে কোম্পানিগুলো।
রাজধানীর শ্যামলী এলাকার আয়েশা স্টোরের বিক্রয়কর্মী মানিক মিয়া বলেন, রাঁধুনী ব্যান্ডের সরিষার তেল বোতলের গায়ে লেখা দাম এক লিটার ৩৬০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ১৮৫ টাকা আর ২৫০ গ্রাম ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। তীর ব্যান্ডের সরিষার তেলও বোতলের গায়ে লেখা দামে এক লিটার ৩৬০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ১৮৫ টাকা আর এক লিটার সুরেশ সরিষার তেল ৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
আয়েশা স্টোরের বিক্রয়কর্মী মানিক মিয়া বলেন, ‘কোম্পানির লোকজন আগে মাল ক্রয়ের সময় ৩-৪ পিস পণ্য ফ্রি দিত বা ডিসকাউন্ট দিত। দাম বৃদ্ধির পর এসব সুযোগ পাওয়া যায় না। ফলে দাম বাড়লেও আগের থেকে আমাদের লাভ কম হচ্ছে।
এদিকে স্বপ্ন সুপার শপের শ্যামলী শাখায় গিয়ে দেখা যায়, এসিআই পিউর ব্যান্ডের এক লিটার সরিষার তেল বোতলের গায়ে লেখা ৩৬০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ১৮৫ টাকা আর ২৫০ গ্রাম ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ক্রেতাদের ভ্যাটও দিতে হচ্ছে।
রাজধানীর কাওরান বাজারের সোনালী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবুল কাশেম বলেন, খোলা সরিষার তেল কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরিষার তেলের ওপর চাপ পড়ায় বিক্রিও বৃদ্ধি পেয়েছে তাই দাম বেড়েছে।
ইউক্রেণে-রাশিয়ার সামরিক অভিযানের আগে খোলা বাজারে এক লিটার সরিষার তেল বিক্রি হতো ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়, ৫০০ গ্রাম ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় আর ২৫০ গ্রাম তেল ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। বর্তমানে খোলা সরিষার তেল বাজারে মানভেদে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে।
এমঅ্যান্ডএস এগ্রো ফুডের সাজ্জাত ইসলাম বলেন, ‘এক মণ সরিষা গরু দিয়ে ঘানিতে ভাঙলে ১০ থেকে ১১ কেজি তেল পাওয়া যায়। আর মেশিনে এক মণ সরিষা ভাঙলে তেল পাওয়া যায় ১৪ থেকে ১৫ কেজি। আগে সয়াবিন তেলের সঙ্গে সরিষার তেলের এক লিটারে দামের ব্যবধান ছিল ৮০ টাকা, বর্তমানে ৬০ টাকা।’
রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের হাজি আহসান উল্লাহ এন্টারপ্রাইজের বিক্রয়কর্মী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফরচুন ব্যান্ডের রাইচব্র্যান ৫ লিটার তেল রমজানে ছিল ৭৭৫ টাকা, দাম বেড়ে এখন ৯৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
‘এসিআই ব্যান্ডের রাইচব্যান তেল গত রমজানে ছিল ৭৭০ টাকা, দাম বেড়ে এখন ৯০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সূর্যমুখী তেল ইন্ডিয়ান কিংস ব্যান্ডের ৫ লিটার ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সূর্যমুখী তেল ইটালিয়া ব্যান্ডের এক লিটার ৩৮০ টাকা, দুই লিটার ৭৩০ টাকা আর ৫ লিটার ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত এসব তেলের দাম আবারো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা আছে বলে জানান এই বিক্রয়কর্মী।
এদিকে চালের বাজারও চড়াভাব দেখা দিয়েছে। রাজধানীতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪২-৪৪ টাকা, আটাশ ৪৬-৫০ টাকা, মিনিকেট ৬২-৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ৭০-৭২ টাকা, পাইজাম ৪৫-৪৬ টাকা, বাসমতি ৭৮-৮০ টাকা, আতব চাল ৭৭ টাকা, চিনিগুড়া ১০০-১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । দুই দিন আগেও মানভেদে এসব চাল কেজি প্রতি দুই থকে ৫ টাকা কম ছিল।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ মৌসুমে দেশে পাঁচ লাখ সাত হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদিত সরিষার পরিমাণ ছিল সাত লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। হেক্টরে ১.৩৬ টন গড় ফলন হিসাবে প্রায় আট লাখ টন সরিষা উৎপাদিত হয়েছে।
বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৮০ শতাংশই আমদানিনির্ভর। এই তেলের মধ্যে রয়েছে সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, সরিষার তেল, সানফ্লাওয়ার অয়েল এবং রাইসব্রান তেল। এর মধ্যে সয়াবিন তেলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, যার মধ্যে দেশে উৎপাদন শুধু ২০ শতাংশের মতো।