বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, সেই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘বাংলাদেশের কিন্তু একেক এলাকা একেক রকম, এটাও মাথায় রাখতে হবে। সেটা মাথায় রেখেই আপনাদের কাজ করতে হবে,’ রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভায় বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের শতবর্ষী মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে গঠিত ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলের প্রথম সভায় এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
ই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি নীতিমালা তৈরি কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যানটা যদি আমরা ভালোভাবে একটা গাইডলাইন তৈরি করে প্ল্যান ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, আর যেহেতু এটা ২১০০ সাল পর্যন্ত, তাই সময়ের সাথে এটা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন করতে হবে।
‘... সেইভাবেই কিন্তু আমাদের সমস্ত প্ল্যান হাতে নিতে হবে, নিয়ে আমরা কাজ করতে পারব।’
শতবছরের পরিকল্পনা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ারপারসন করে এই কাউন্সিল গঠন করে সরকার।
১২ সদস্যের এই কাউন্সিল গঠন করে গত বছরের ১ জুলাই গেজেট প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি মনে করি যে, ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলের সভা থেকে একটা ভালো... যেসব এজেন্ডাগুলো আছে তার বিষয়ে ভালো একটা সুপারিশমালা যাবে...।
‘পরিকল্পনা বাস্তবায়নটা কীভাবে আমরা করতে পারি সেটা ত্বরান্বিত হবে এবং বাস্তবমুখী পদক্ষেপ কীভাবে নেব সেটাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। সেইভাবে আমাদের এগুতে হবে।’
বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বহু আলোচিত ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।
‘ডেল্টা প্ল্যান’ নামে বেশি পরিচিত এ মহাপরিকল্পনার অধীনে আপাতত ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প নেবে সরকার, যাতে ব্যয় হবে প্রায় ২৯৭৮ বিলিয়ন টাকা।
ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলে কৃষিমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া এই কাউন্সিলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীকেও সদস্য করা হয়েছে।
মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সে বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা কাজ করব।’
রোববার, ২২ মে ২০২২
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, সেই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘বাংলাদেশের কিন্তু একেক এলাকা একেক রকম, এটাও মাথায় রাখতে হবে। সেটা মাথায় রেখেই আপনাদের কাজ করতে হবে,’ রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভায় বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের শতবর্ষী মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে গঠিত ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলের প্রথম সভায় এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
ই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি নীতিমালা তৈরি কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যানটা যদি আমরা ভালোভাবে একটা গাইডলাইন তৈরি করে প্ল্যান ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, আর যেহেতু এটা ২১০০ সাল পর্যন্ত, তাই সময়ের সাথে এটা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন করতে হবে।
‘... সেইভাবেই কিন্তু আমাদের সমস্ত প্ল্যান হাতে নিতে হবে, নিয়ে আমরা কাজ করতে পারব।’
শতবছরের পরিকল্পনা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ারপারসন করে এই কাউন্সিল গঠন করে সরকার।
১২ সদস্যের এই কাউন্সিল গঠন করে গত বছরের ১ জুলাই গেজেট প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি মনে করি যে, ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলের সভা থেকে একটা ভালো... যেসব এজেন্ডাগুলো আছে তার বিষয়ে ভালো একটা সুপারিশমালা যাবে...।
‘পরিকল্পনা বাস্তবায়নটা কীভাবে আমরা করতে পারি সেটা ত্বরান্বিত হবে এবং বাস্তবমুখী পদক্ষেপ কীভাবে নেব সেটাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। সেইভাবে আমাদের এগুতে হবে।’
বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বহু আলোচিত ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।
‘ডেল্টা প্ল্যান’ নামে বেশি পরিচিত এ মহাপরিকল্পনার অধীনে আপাতত ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প নেবে সরকার, যাতে ব্যয় হবে প্রায় ২৯৭৮ বিলিয়ন টাকা।
ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলে কৃষিমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া এই কাউন্সিলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীকেও সদস্য করা হয়েছে।
মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সে বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা কাজ করব।’