এবার ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়া এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে; যার ফলে তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি রপ্তানিতে সময়ও বাঁচবে।
সব ঠিকঠাক থাকলে স্লোভেনিয়ার কোপার বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি কন্টেইনারবাহী জাহাজ চলাচল করবে। এ পরিষেবা চালু হলে ইউরোপের দেশটির পার্শ্ববর্তী জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গোরিতেও দ্রুত পণ্য পাঠানো যাবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন।
সরাসরি জাহাজ চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে স্লোভেনিয়ার কোপার বন্দরের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে। তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর নেতৃবৃন্দও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি পণ্যের ৪৯ শতাংশ যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে স্লোভেনিয়া অন্যতম।
ট্রানশিপমেন্ট বন্দর হয়ে সেখানে পণ্য পৌঁছাতে এক মাসের মত সময় লাগে এখন। সরাসরি জাহাজ সেবা চালু করা গেলে তা ১৬-১৭ দিনে নেমে আসবে।
বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, কোপার বন্দরের প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামো এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেখে ‘সন্তুষ্ট’ হয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুতই সরাসরি জাহাজ সেবা চালু করা যাবে।
এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর এবং ইতালির রোভেনা বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয়। সেটি ছিল বাংলাদেশ ও ইউরোপের কোনো দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি জাহাজ পরিষেবা।
আগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুর বন্দর, শ্রীলঙ্কার কলম্বো, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাংসহ বিভিন্ন বন্দরে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী কন্টেইনার ইউরোপের দেশগুলোতে পাঠানো হত।
ইতালির পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি জাহাজ পরিষেবা চালু হয় স্পেনের বার্সেলোনা বন্দরের সঙ্গে। এরপর এ তালিকায় যুক্ত হয় যুক্তরাজ্যের লিভারপুল বন্দর এবং নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম বন্দরের নাম।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, “স্লোভেনিয়ার কোপার বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে সরাসরি জাহাজ চালুর বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর সম্ভাব্যতা দেখতে তারা এসেছিল। চট্টগ্রাম বন্দর এ সেবা চালুর জন্য প্রস্তুত বলে আমরা তাদের জানিয়েছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের দেশ থেকে তৈরি পোশাক খাতের ৪৯ শতাংশই যায় ইউরোপের দেশগুলোতে। স্লোভেনিয়ার বন্দরটির সাথে সরাসরি জাহাজ চালু হলে পূর্ব ও মধ্য ইউরোপ কাভার করা যাবে। ওই বন্দর থেকে এক দিনের ব্যবধানে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরিতে পণ্য পৌঁছানো যেতে পারে “
এ পরিষেবা চালু করতে বৈঠকে দুই পক্ষই নীতিগতভাবে একমত হয়েছে জানিয়ে এম শাহজাহান বলেন, “ব্যবসায়ীরা চাইলে এক মাসের মধ্যে এ পরিষেবা চালু করা সম্ভব।”
এছাড়া ইউরোপের দুই দেশ পর্তুগাল ও ডেনমার্কের সাথেও সরাসরি জাহাজ পরিষেবা চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারের প্রতিনিধি মিতিয়া ডুইচ, কমার্শিয়াল ডিরেক্টর মিহা গ্রজনিক, স্লোভেনিয়ার কনসাল জেনারেল বরাট স্মেরল, বিজিএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ২২ জুন ২০২২
এবার ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়া এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে; যার ফলে তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি রপ্তানিতে সময়ও বাঁচবে।
সব ঠিকঠাক থাকলে স্লোভেনিয়ার কোপার বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি কন্টেইনারবাহী জাহাজ চলাচল করবে। এ পরিষেবা চালু হলে ইউরোপের দেশটির পার্শ্ববর্তী জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গোরিতেও দ্রুত পণ্য পাঠানো যাবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন।
সরাসরি জাহাজ চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে স্লোভেনিয়ার কোপার বন্দরের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে। তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর নেতৃবৃন্দও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি পণ্যের ৪৯ শতাংশ যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে স্লোভেনিয়া অন্যতম।
ট্রানশিপমেন্ট বন্দর হয়ে সেখানে পণ্য পৌঁছাতে এক মাসের মত সময় লাগে এখন। সরাসরি জাহাজ সেবা চালু করা গেলে তা ১৬-১৭ দিনে নেমে আসবে।
বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, কোপার বন্দরের প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামো এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেখে ‘সন্তুষ্ট’ হয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুতই সরাসরি জাহাজ সেবা চালু করা যাবে।
এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর এবং ইতালির রোভেনা বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয়। সেটি ছিল বাংলাদেশ ও ইউরোপের কোনো দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি জাহাজ পরিষেবা।
আগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুর বন্দর, শ্রীলঙ্কার কলম্বো, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাংসহ বিভিন্ন বন্দরে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী কন্টেইনার ইউরোপের দেশগুলোতে পাঠানো হত।
ইতালির পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি জাহাজ পরিষেবা চালু হয় স্পেনের বার্সেলোনা বন্দরের সঙ্গে। এরপর এ তালিকায় যুক্ত হয় যুক্তরাজ্যের লিভারপুল বন্দর এবং নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম বন্দরের নাম।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, “স্লোভেনিয়ার কোপার বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে সরাসরি জাহাজ চালুর বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর সম্ভাব্যতা দেখতে তারা এসেছিল। চট্টগ্রাম বন্দর এ সেবা চালুর জন্য প্রস্তুত বলে আমরা তাদের জানিয়েছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের দেশ থেকে তৈরি পোশাক খাতের ৪৯ শতাংশই যায় ইউরোপের দেশগুলোতে। স্লোভেনিয়ার বন্দরটির সাথে সরাসরি জাহাজ চালু হলে পূর্ব ও মধ্য ইউরোপ কাভার করা যাবে। ওই বন্দর থেকে এক দিনের ব্যবধানে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরিতে পণ্য পৌঁছানো যেতে পারে “
এ পরিষেবা চালু করতে বৈঠকে দুই পক্ষই নীতিগতভাবে একমত হয়েছে জানিয়ে এম শাহজাহান বলেন, “ব্যবসায়ীরা চাইলে এক মাসের মধ্যে এ পরিষেবা চালু করা সম্ভব।”
এছাড়া ইউরোপের দুই দেশ পর্তুগাল ও ডেনমার্কের সাথেও সরাসরি জাহাজ পরিষেবা চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারের প্রতিনিধি মিতিয়া ডুইচ, কমার্শিয়াল ডিরেক্টর মিহা গ্রজনিক, স্লোভেনিয়ার কনসাল জেনারেল বরাট স্মেরল, বিজিএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।