বাসায় মাদক পাওয়া যাওয়ার অভিযোগে ইন্দোনেশিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা কূটনীতিক কাজী আনারকলির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থানে আছে। তদন্তে ওই কর্মকর্তার অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
বুধবার (১০ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই অবস্থানের কথা জানানো হয়। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করে সংসদীয় কমিটি।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার, হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক ও নিজাম উদ্দিন জলিল বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা ওই কূটনীতিকের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। যে অভিযোগ, তা দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে শক্ত অবস্থানে আছে। তাঁকে ওএসডি করা হয়েছে। একটি কমিটি কাজ করছে। ওই কর্মকর্তার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক শাস্তি হতে পারে।
জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের একটি দল ৫ জুলাই হঠাৎ জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত কাজী আনারকলির বাসায় অভিযান চালায়। ওই অ্যাপার্টমেন্ট টাওয়ারে নিষিদ্ধ মাদক মারিজুয়ানা রক্ষিত আছে, এমন অভিযোগে অভিযান চলে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কূটনীতিক আনারকলি দায়মুক্তির আওতাধীন ছিলেন। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সেটি উপেক্ষা করেই বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানের পর তাঁকে ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দপ্তরে নেওয়া হয়। অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পর দূতাবাসের জিম্মায় ছাড়া পান তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। তাঁর দেশে ফেরার আদেশ জারি করে।
মুহাম্মদ ফারুক খান জানান, বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে গত ১০ বছরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে কতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা–ও মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাইবে কমিটি।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ৯৯ শতাংশ পণ্য বিনা শুল্কে চীনের বাজারে যাবে, এটা ভালো কথা। বাকি যে ১ শতাংশ পণ্য, সেগুলো কী কী তা কমিটি জানতে চেয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশকেও বিকল্প হিসেবে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন দেশের ভিসা পেতে জটিলতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে এটি সমাধানের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া সহজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২
বাসায় মাদক পাওয়া যাওয়ার অভিযোগে ইন্দোনেশিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা কূটনীতিক কাজী আনারকলির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থানে আছে। তদন্তে ওই কর্মকর্তার অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
বুধবার (১০ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই অবস্থানের কথা জানানো হয়। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করে সংসদীয় কমিটি।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার, হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক ও নিজাম উদ্দিন জলিল বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা ওই কূটনীতিকের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। যে অভিযোগ, তা দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে শক্ত অবস্থানে আছে। তাঁকে ওএসডি করা হয়েছে। একটি কমিটি কাজ করছে। ওই কর্মকর্তার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক শাস্তি হতে পারে।
জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের একটি দল ৫ জুলাই হঠাৎ জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত কাজী আনারকলির বাসায় অভিযান চালায়। ওই অ্যাপার্টমেন্ট টাওয়ারে নিষিদ্ধ মাদক মারিজুয়ানা রক্ষিত আছে, এমন অভিযোগে অভিযান চলে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কূটনীতিক আনারকলি দায়মুক্তির আওতাধীন ছিলেন। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সেটি উপেক্ষা করেই বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানের পর তাঁকে ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দপ্তরে নেওয়া হয়। অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পর দূতাবাসের জিম্মায় ছাড়া পান তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। তাঁর দেশে ফেরার আদেশ জারি করে।
মুহাম্মদ ফারুক খান জানান, বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে গত ১০ বছরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে কতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা–ও মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাইবে কমিটি।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ৯৯ শতাংশ পণ্য বিনা শুল্কে চীনের বাজারে যাবে, এটা ভালো কথা। বাকি যে ১ শতাংশ পণ্য, সেগুলো কী কী তা কমিটি জানতে চেয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশকেও বিকল্প হিসেবে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন দেশের ভিসা পেতে জটিলতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে এটি সমাধানের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া সহজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।