বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধির পর বিভিন্ন শহরে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ভাঙচুর এবং জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে প্রচারিত হচ্ছে। ভিডিওটিতে জনগণকে বিভিন্ন স্থানে সড়কে ভাঙচুর এবং আগুন জ্বালিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর কোথাও এমন বিক্ষোভ-ভাঙচুর বা জ্বালাও-পোড়াও হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এ ভিডিওটি ভুয়া।
পোস্টটিতে যে ভিডিও জুড়ে দেয়া হয়েছে সেটি সাম্প্রতিক কোন ঘটনার ভিডিও নয়। ২০১৩ সালের ভিডিও ফুটেজকে ২০২২ সালের ঘটনা হিসেবে পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিও ক্লিপটি ৯ বছর আগের ২০১৩ সালের ৬ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময়ে তোলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ভুয়া ভিডিও পোস্ট করা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স একটি প্রতিবেদন করেছে। ভুয়া ভিডিওর বিষয়টি জানা গেছে রয়টার্সের ফ্যাক্ট চেক বা সত্যতা নিরূপণ প্রক্রিয়ায়।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক ‘ফ্যাক্ট চেক’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ভুল করে ২০১৩ সালের ভিডিও ফুটেজকে ২০২২ সালের ঘটনা ভেবে শেয়ার করছেন।
রযয়টার্স প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ আগস্ট ‘ওয়াল স্ট্রিট সিলভার’ নামের টুইটার একাউন্ট থেকে পোস্ট দেয়া হয়। সেখানে বলা হয় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভিন্ন শহরে তীব্র গোলযোগ হচ্ছে। এর সঙ্গে আপলোড করা হয় রাস্তায় টায়ার পোড়ানো ও মুহুর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দের একটি অডিও-ভিডিও ক্লিপ। হাজার ছাড়িয়ে যাওয়া ভিউয়ের পোস্টটির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স দেখে ভিডিও ক্লিপটি ৯ বছর আগের ২০১৩ সালের ৬ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময়ের।
১১ আগস্ট রয়টার্স প্রকাশিত ‘ফ্যাক্ট চেক : বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদের ভিডিওটি ২০২২ সালের নয়, ২০১৩ সালের’ শিরোনামের সংবাদে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের মধ্যে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশে সম্প্রতি জ্বালানি তেল লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম ৫১.২ শতাংশ বাড়িয়ে ১৩০ টাকা, অকটেনের দাম ৫১.৭ শতাংশ বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে।
রয়টার্সের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাংলাদেশে যে প্রতিবাদ হয়েছে, তা স্থানীয় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। কিন্তু বর্ণিত টুইটার ও চিহ্নিত আরেকটি ফেইসবুক একাউন্টে যে ভিডিও সংযোজন করা হয়েছে তা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তো নয়ই, এ বছরেরও নয়, ২০১৩ সালের।
এদিকে গতকাল রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক গণমাধ্যমে চালানো দেশবিরোধী একটি মিথ্যা অপপ্রচার ধরা পড়েছে বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ফ্যাক্ট চেক বা সত্যতা নিরূপণ প্রক্রিয়ায়। ভিডিও ক্লিপটি ৯ বছর আগের ২০১৩ সালের ৬ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময়ের বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধির পর বিভিন্ন শহরে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ভাঙচুর এবং জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে প্রচারিত হচ্ছে। ভিডিওটিতে জনগণকে বিভিন্ন স্থানে সড়কে ভাঙচুর এবং আগুন জ্বালিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর কোথাও এমন বিক্ষোভ-ভাঙচুর বা জ্বালাও-পোড়াও হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এ ভিডিওটি ভুয়া।
পোস্টটিতে যে ভিডিও জুড়ে দেয়া হয়েছে সেটি সাম্প্রতিক কোন ঘটনার ভিডিও নয়। ২০১৩ সালের ভিডিও ফুটেজকে ২০২২ সালের ঘটনা হিসেবে পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিও ক্লিপটি ৯ বছর আগের ২০১৩ সালের ৬ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময়ে তোলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ভুয়া ভিডিও পোস্ট করা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স একটি প্রতিবেদন করেছে। ভুয়া ভিডিওর বিষয়টি জানা গেছে রয়টার্সের ফ্যাক্ট চেক বা সত্যতা নিরূপণ প্রক্রিয়ায়।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক ‘ফ্যাক্ট চেক’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ভুল করে ২০১৩ সালের ভিডিও ফুটেজকে ২০২২ সালের ঘটনা ভেবে শেয়ার করছেন।
রযয়টার্স প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ আগস্ট ‘ওয়াল স্ট্রিট সিলভার’ নামের টুইটার একাউন্ট থেকে পোস্ট দেয়া হয়। সেখানে বলা হয় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভিন্ন শহরে তীব্র গোলযোগ হচ্ছে। এর সঙ্গে আপলোড করা হয় রাস্তায় টায়ার পোড়ানো ও মুহুর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দের একটি অডিও-ভিডিও ক্লিপ। হাজার ছাড়িয়ে যাওয়া ভিউয়ের পোস্টটির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স দেখে ভিডিও ক্লিপটি ৯ বছর আগের ২০১৩ সালের ৬ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময়ের।
১১ আগস্ট রয়টার্স প্রকাশিত ‘ফ্যাক্ট চেক : বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদের ভিডিওটি ২০২২ সালের নয়, ২০১৩ সালের’ শিরোনামের সংবাদে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের মধ্যে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশে সম্প্রতি জ্বালানি তেল লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম ৫১.২ শতাংশ বাড়িয়ে ১৩০ টাকা, অকটেনের দাম ৫১.৭ শতাংশ বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে।
রয়টার্সের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাংলাদেশে যে প্রতিবাদ হয়েছে, তা স্থানীয় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। কিন্তু বর্ণিত টুইটার ও চিহ্নিত আরেকটি ফেইসবুক একাউন্টে যে ভিডিও সংযোজন করা হয়েছে তা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তো নয়ই, এ বছরেরও নয়, ২০১৩ সালের।
এদিকে গতকাল রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক গণমাধ্যমে চালানো দেশবিরোধী একটি মিথ্যা অপপ্রচার ধরা পড়েছে বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ফ্যাক্ট চেক বা সত্যতা নিরূপণ প্রক্রিয়ায়। ভিডিও ক্লিপটি ৯ বছর আগের ২০১৩ সালের ৬ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময়ের বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।