বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাশ্যুম মর্যাদাপূর্ণ ‘মিলেনিয়াম লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আসন্ন লিসবন আর্কিটেকচার ট্রায়েনেলে তাকে এ পুরুস্কার দেওয়া হবে বলে আর্কিটেক্টের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
জুরি বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়, মেরিনা তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে স্থাপত্যশিল্পের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা পালনের অঙ্গীকারের প্রতি নিবিষ্ট থেকেছেন। প্রতিটি নতুন প্রকল্পে বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেছেন। তার প্রকল্পগুলোতে দৃঢ় ও স্বচ্ছ নৈতিক অবস্থান প্রকাশ পায়। এগুলোর নকশা সূক্ষ্ম ও পরিশীলিত। বাজেটে সীমাবদ্ধতা থাকার পরও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। প্রকল্পগুলোতে সব সময় সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট থাকে।
বিবৃতিতে তাবাশ্যুমের প্রশংসা করে বলা হয়, তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে দেখিয়েছেন স্থপতিরা কীভাবে জলবায়ুসংকটকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন এবং পরীক্ষামূলক, মর্যাদাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক উপায়ে সমাজে পরিবর্তন আনতে পারেন।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর লিসবন আর্কিটেকচার ট্রায়েনেল শুরু হবে। আর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বিশেষ এক অনুষ্ঠানে তাবাশ্যুমের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। তার আগের এই অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা হলেন কেনেথ ফ্রাম্পটন, ইভারো সিজা এবং ডেনিশ স্কট ব্রাউন।
২০২১ সালে মানবিক ঘর তৈরির জন্য যুক্তরাজ্যের মর্যাদাপূর্ণ সন পদক পান মেরিনা। ২০২০ সালে ব্রিটিশ সাময়িকী ‘প্রসপেক্ট’–এর ৫০ চিন্তাবিদের মধ্যে শীর্ষ ১০ জনে স্থান করে নিয়েছিলেন মেরিনা। তিনি ১০ জনের মধ্যে তৃতীয় হন।
২০১৮ সালে ঢাকার দক্ষিণখানে বায়তুর রউফ নামের একটি শৈল্পিক নকশার মসজিদের জন্যও স্থপতি হিসেবে জামিল প্রাইজ পান তিনি। ২০১৬ সালে ওই মসজিদের জন্য তিনি সম্মানজনক আগা খান পুরস্কার পান। ২০১২ সালে সুলতানি আমলের স্থাপত্যের আদলে নকশা করা এ মসজিদ ঢাকায় নির্মিত হয়।
মেরিনা তাবাশ্যুমমের জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকায়। শৈশবে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে বেড়ে ওঠেন। মেরিনা ১৯৯৫ সালে আর্কিটেকচার স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ঢাকা ইতোমধ্যে ভোক্তা স্থাপত্যের দুর্দশায় ভুগছে।
মেরিনা তাবাশ্যুম ওই বছরেই কাশেফ চৌধুরীর সঙ্গে নিজের প্রথম প্রকল্প আরবানা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২১ সালে দক্ষিণ বিশ্বের প্রথম স্থপতি হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ সোয়েন পুরস্কার জেতার কীর্তিও রয়েছে তার দখলে।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত এই স্থপতির কাছে স্থাপত্য হলো মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার পেশা। তার ভাষ্যমতে, ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে বিশাল বৈষম্যই মূলত অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্ম দেয়।
শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাশ্যুম মর্যাদাপূর্ণ ‘মিলেনিয়াম লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আসন্ন লিসবন আর্কিটেকচার ট্রায়েনেলে তাকে এ পুরুস্কার দেওয়া হবে বলে আর্কিটেক্টের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
জুরি বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়, মেরিনা তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে স্থাপত্যশিল্পের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা পালনের অঙ্গীকারের প্রতি নিবিষ্ট থেকেছেন। প্রতিটি নতুন প্রকল্পে বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেছেন। তার প্রকল্পগুলোতে দৃঢ় ও স্বচ্ছ নৈতিক অবস্থান প্রকাশ পায়। এগুলোর নকশা সূক্ষ্ম ও পরিশীলিত। বাজেটে সীমাবদ্ধতা থাকার পরও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। প্রকল্পগুলোতে সব সময় সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট থাকে।
বিবৃতিতে তাবাশ্যুমের প্রশংসা করে বলা হয়, তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে দেখিয়েছেন স্থপতিরা কীভাবে জলবায়ুসংকটকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন এবং পরীক্ষামূলক, মর্যাদাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক উপায়ে সমাজে পরিবর্তন আনতে পারেন।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর লিসবন আর্কিটেকচার ট্রায়েনেল শুরু হবে। আর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বিশেষ এক অনুষ্ঠানে তাবাশ্যুমের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। তার আগের এই অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা হলেন কেনেথ ফ্রাম্পটন, ইভারো সিজা এবং ডেনিশ স্কট ব্রাউন।
২০২১ সালে মানবিক ঘর তৈরির জন্য যুক্তরাজ্যের মর্যাদাপূর্ণ সন পদক পান মেরিনা। ২০২০ সালে ব্রিটিশ সাময়িকী ‘প্রসপেক্ট’–এর ৫০ চিন্তাবিদের মধ্যে শীর্ষ ১০ জনে স্থান করে নিয়েছিলেন মেরিনা। তিনি ১০ জনের মধ্যে তৃতীয় হন।
২০১৮ সালে ঢাকার দক্ষিণখানে বায়তুর রউফ নামের একটি শৈল্পিক নকশার মসজিদের জন্যও স্থপতি হিসেবে জামিল প্রাইজ পান তিনি। ২০১৬ সালে ওই মসজিদের জন্য তিনি সম্মানজনক আগা খান পুরস্কার পান। ২০১২ সালে সুলতানি আমলের স্থাপত্যের আদলে নকশা করা এ মসজিদ ঢাকায় নির্মিত হয়।
মেরিনা তাবাশ্যুমমের জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকায়। শৈশবে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে বেড়ে ওঠেন। মেরিনা ১৯৯৫ সালে আর্কিটেকচার স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ঢাকা ইতোমধ্যে ভোক্তা স্থাপত্যের দুর্দশায় ভুগছে।
মেরিনা তাবাশ্যুম ওই বছরেই কাশেফ চৌধুরীর সঙ্গে নিজের প্রথম প্রকল্প আরবানা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২১ সালে দক্ষিণ বিশ্বের প্রথম স্থপতি হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ সোয়েন পুরস্কার জেতার কীর্তিও রয়েছে তার দখলে।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত এই স্থপতির কাছে স্থাপত্য হলো মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার পেশা। তার ভাষ্যমতে, ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে বিশাল বৈষম্যই মূলত অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্ম দেয়।