রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আনতে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আলোচনা করছে।এব্যাপারে বিপিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব তথ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া, কিন্তু তা কিনতে বাংলাদেশ রাজি হয়নি। জানা গেছে, এবার পরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এখন তা আলোচনা শুরু করছে বাংলাদেশ।
ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমাদের নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রাশিয়া থেকে তেল কেনার উপায় খুঁজতে মঙ্গলবারই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত মে মাসে রাশিয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিলে ওই তেল বাংলাদেশের রিফাইনারিতে পরিশোধনযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল।
এরপর গত সপ্তাহে বাংলাদেশের কাছে পরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব পাঠায় রাশিয়ার তেল উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি রজনেফ্ট। তাদের প্রস্তাব যাচাই করে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।
বিপিসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, রাশিয়া প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা ঢাকায় আসতে বলেছি। তারা আসলে আমরা আলোচনা করে একটি উপায় বের করবো।
বিপিসি কর্মকর্তা আরো জানান, রাশিয়ার রজনেফ্ট’র প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসতে চেয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে অনেক বিষয় আলোচনা করতে হবে। যেমন- কোন প্রক্রিয়ায় আসবে, জাহাজ ভাড়া কত পড়বে, কোন মুদ্রায়, কোন ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট হবে, কতদিনের মধ্যে পেমেন্ট ক্লিয়ার করতে হবে- এ ধরনের অনেক বিষয় আছে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুই ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানির মূল্য বাড়তে থাকলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কিনতে শুরু করে । সৌদি আরবও রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে বলে খবর বেরিয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুডের সঙ্গে রাশিয়ার তেল অপেক্ষাকৃত সস্তায় পাওয়া যায়।
কিছু দিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, বড় দেশগুলো রাশিয়া থেকে তেল কিনতে সাহসী হলেও বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য তা সহজ নয়।
এর মধ্যেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কীভাবে আমদানি করা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উপায় খুঁজে বের করতে মঙ্গলবার একনেক সভায় নির্দেশ দেন।
রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি করা গেলে বিনিময় মুদ্রা কী হবে, সে বিষয়েও একটি সমাধান খুঁজে বের করতেও প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২
রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আনতে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আলোচনা করছে।এব্যাপারে বিপিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব তথ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া, কিন্তু তা কিনতে বাংলাদেশ রাজি হয়নি। জানা গেছে, এবার পরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এখন তা আলোচনা শুরু করছে বাংলাদেশ।
ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমাদের নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রাশিয়া থেকে তেল কেনার উপায় খুঁজতে মঙ্গলবারই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত মে মাসে রাশিয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিলে ওই তেল বাংলাদেশের রিফাইনারিতে পরিশোধনযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল।
এরপর গত সপ্তাহে বাংলাদেশের কাছে পরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব পাঠায় রাশিয়ার তেল উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি রজনেফ্ট। তাদের প্রস্তাব যাচাই করে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।
বিপিসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, রাশিয়া প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা ঢাকায় আসতে বলেছি। তারা আসলে আমরা আলোচনা করে একটি উপায় বের করবো।
বিপিসি কর্মকর্তা আরো জানান, রাশিয়ার রজনেফ্ট’র প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসতে চেয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে অনেক বিষয় আলোচনা করতে হবে। যেমন- কোন প্রক্রিয়ায় আসবে, জাহাজ ভাড়া কত পড়বে, কোন মুদ্রায়, কোন ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট হবে, কতদিনের মধ্যে পেমেন্ট ক্লিয়ার করতে হবে- এ ধরনের অনেক বিষয় আছে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুই ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানির মূল্য বাড়তে থাকলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কিনতে শুরু করে । সৌদি আরবও রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে বলে খবর বেরিয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুডের সঙ্গে রাশিয়ার তেল অপেক্ষাকৃত সস্তায় পাওয়া যায়।
কিছু দিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, বড় দেশগুলো রাশিয়া থেকে তেল কিনতে সাহসী হলেও বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য তা সহজ নয়।
এর মধ্যেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কীভাবে আমদানি করা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উপায় খুঁজে বের করতে মঙ্গলবার একনেক সভায় নির্দেশ দেন।
রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি করা গেলে বিনিময় মুদ্রা কী হবে, সে বিষয়েও একটি সমাধান খুঁজে বের করতেও প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।