alt

জাতীয়

বিদেশি জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার কারণেই সংকট

সক্ষমতা তৈরির বদলে হাত গুটিয়ে বসে থাকাই অন্যতম কারণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২

বর্তমান জ্বালানি সংকট আকস্মিক নয়। নিজস্ব জ্বালানি সক্ষমতা তৈরির বদলে সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার ইচ্ছে করেই দেশীয় গ্যাস উত্তোলনে নজর দেয়নি বলে জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তারা বলছেন, দেশের গ্যাসক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা থাকার পরও উত্তোলন না করে একটি গোষ্ঠীকে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট : নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনার আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম। প্রবন্ধে বলা হয়, দেশের নিজস্ব জ্বালানির অনুসন্ধান ও উত্তোলন না করা এবং বিদেশি জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ানো জ্বালানি সংকটের কারণ। ২০১৭ সাল থেকে দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে বার্ষিক গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ কমছে। অতি গ্যাস সম্ভাবনাময় দেশ হওয়ার পরও বিশ্বের অন্যান্য গ্যাসধারক বেসিনের থেকে বাংলাদেশে অনুসন্ধান কূপের সংখ্যা অনেক কম।

অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, ‘দেশীয় গ্যাস খাতে সম্ভাবনা প্রচুর। গ্যাস অনুসন্ধান না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকাতেই আজকের পরিস্থিতি। সমুদ্রবক্ষে গ্যাস অনুসন্ধানের ধারা আরও বেশি হতাশাব্যঞ্জক। ২০১২ সালে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার পর মায়ানমারের সমুদ্রবক্ষে অনেক গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হলেও বাংলাদেশে তা হয়নি।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, দেশের জ্বালানি সংকট আকস্মিক নয়। এখন যা ঘটছে, তা তৈরি হওয়ার মতো পরিকল্পনাই নেয়া হয়েছিল এ সংকটের কারণে একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠী লাভবান হচ্ছে। আনু মুহাম্মদ বলেন, গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির বড় অংশ গেছে কয়েকটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে, যারা উৎপাদন করেনি, তাদের ভাড়া দিতে। এ সময়ে ৯০ হাজার কোটি টাকা ভাড়া দেয়া হয়েছে। দেশি-বিদেশি ১২টি কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। কারা পাচ্ছে এই ভতর্তুকির টাকা? অথচ এর বোঝা চাপছে জনগণের কাঁধে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতউল্লাহ বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকেই বলা হচ্ছে, বছরে মোট জ্বালানি চাহিদার ৫ শতাংশ মেটানো হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয় না। তিনি বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ বানালে পকেটে পয়সা বেশি আসে, বিদেশে টাকা বেশি পাচার করা যাবে। সে কারণে এদিকে নজর রয়েছে। জ্বালানি খাতে জনবান্ধব কোন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে না।

জ্বালানিবিষয়ক সাময়িকী এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণায় দেশে গ্যাসের সম্ভাবনা দেখা গেছে। এই সম্ভাবনাকে সম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশে এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বড় অভাব।

দেশের বর্তমান গ্যাসসংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন জ্বালানি খাতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অরুণ কর্মকার। তিনি বলেন, নিজস্ব জ্বালানি উন্নয়নে সক্ষমতা বাড়ানো হলে এ সংকটে পড়তে হতো না। বিপিসি গত সোমবার ফার্নেস তেলের দাম আরও বাড়িয়েছে। প্রতি লিটার আগে ৭২ টাকা ছিল, দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকা। এই তেল বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশি ব্যবহৃত হয়। ফলে বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জ্বালানি সংকটকে পুঁজি করে সরকার পকেট ভরছে বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আগে বলত খাম্বা আছে, বিদ্যুৎ নেই। এখন তো বিদ্যুতের কারখানা আছে, জ্বালানি ও সঞ্চালন নেই। সরকার এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, জ্বালানিসংকট নিয়ে প্রশ্ন তোলারও সুযোগ নেই। ন্যূনতম জবাবদিহি নেই।’

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘মতলববাজির উন্নয়ন চলছে। যা করা উচিত নয়, তা করা হচ্ছে। যেগুলো করার কথা নয়, সেগুলো করা হচ্ছে। চাচা-ভাতিজাতন্ত্র, মামা-ভাগিনাতন্ত্রে একটি গোষ্ঠী বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেশে চার কোটির বেশি মানুষ নি¤œবিত্ত। জ্বালানিসংকটে তারা আরও বিপদে পড়বেন।’

ছবি

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির

ছবি

সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা জব্দ করা জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে; ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকের সবাই নিরাপদ

ছবি

পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

পদত্যাগ না করেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত : ইসি সচিব

ছবি

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড , আছে লোড শেডিংও

ছবি

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই

ছবি

ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বাড়লো আরও ৩ দিন, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড এর যৌথ অংশগ্রহণে টিএল-২০২৪ উদ্বোধন

ছবি

শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ--স্পীকার

ছবি

দু’দিনের সফরে কাতারের আমির ঢাকায়

ছবি

পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

ছবি

আনু মুহাম্মদের পায়ে ‌‘কম্বাইন্ড অপারেশন’ দরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি

আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, বাড়লো আরও ৩ দিন

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই কি এত তাপ?

ছবি

ভারতের উজানে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় তিস্তা মরা খালে পরিনত হয়েছে

ছবি

তাপদাহ : হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ছবি

পিছিয়ে নেই নারীরাও তামিলনাড়ু থেকে ট্রাক নিয়ে বেনাপোল এলেন অন্নপূর্ণা

ছবি

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমির, ১১ টি চুক্তি-সমঝোতা

ছবি

অন্যায় আবদারের কাছে মাথানত করবো না: ইসি আলমগীর

ছবি

তীব্র গরম : হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

ছবি

দাবদাহ : হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ছবি

বোরো মৌসুমে ৩২ টাকা কেজি দরে ধান কিনবে সরকার

ছবি

ব্যারিস্টার খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি

ছবি

‘মুজিব ব্যাটারি’ কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

দীর্ঘ ছুটি শেষে খুলেছে সুপ্রিম কোর্ট

ছবি

হিট অ্যালার্টের মধ্যেই ৬০ কি.মি. বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে

দাবদাহে ‘কপাল পোড়ার’ শঙ্কায় কৃষক, শুকিয়ে যাচ্ছে ধান ক্ষেত, মরছে সবজির গাছ

ছবি

সোমবার থেকে ৪ দিনব্যাপী ন্যাপ এক্সপো, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়া হবে:প্রতিমন্ত্রী

ছবি

গরমের কারণে সব সরকারি স্কুল, কলেজ আরও ৭ দিন বন্ধ

tab

জাতীয়

বিদেশি জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার কারণেই সংকট

সক্ষমতা তৈরির বদলে হাত গুটিয়ে বসে থাকাই অন্যতম কারণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২

বর্তমান জ্বালানি সংকট আকস্মিক নয়। নিজস্ব জ্বালানি সক্ষমতা তৈরির বদলে সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার ইচ্ছে করেই দেশীয় গ্যাস উত্তোলনে নজর দেয়নি বলে জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তারা বলছেন, দেশের গ্যাসক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা থাকার পরও উত্তোলন না করে একটি গোষ্ঠীকে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট : নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনার আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম। প্রবন্ধে বলা হয়, দেশের নিজস্ব জ্বালানির অনুসন্ধান ও উত্তোলন না করা এবং বিদেশি জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ানো জ্বালানি সংকটের কারণ। ২০১৭ সাল থেকে দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে বার্ষিক গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ কমছে। অতি গ্যাস সম্ভাবনাময় দেশ হওয়ার পরও বিশ্বের অন্যান্য গ্যাসধারক বেসিনের থেকে বাংলাদেশে অনুসন্ধান কূপের সংখ্যা অনেক কম।

অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, ‘দেশীয় গ্যাস খাতে সম্ভাবনা প্রচুর। গ্যাস অনুসন্ধান না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকাতেই আজকের পরিস্থিতি। সমুদ্রবক্ষে গ্যাস অনুসন্ধানের ধারা আরও বেশি হতাশাব্যঞ্জক। ২০১২ সালে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার পর মায়ানমারের সমুদ্রবক্ষে অনেক গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হলেও বাংলাদেশে তা হয়নি।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, দেশের জ্বালানি সংকট আকস্মিক নয়। এখন যা ঘটছে, তা তৈরি হওয়ার মতো পরিকল্পনাই নেয়া হয়েছিল এ সংকটের কারণে একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠী লাভবান হচ্ছে। আনু মুহাম্মদ বলেন, গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির বড় অংশ গেছে কয়েকটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে, যারা উৎপাদন করেনি, তাদের ভাড়া দিতে। এ সময়ে ৯০ হাজার কোটি টাকা ভাড়া দেয়া হয়েছে। দেশি-বিদেশি ১২টি কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। কারা পাচ্ছে এই ভতর্তুকির টাকা? অথচ এর বোঝা চাপছে জনগণের কাঁধে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতউল্লাহ বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকেই বলা হচ্ছে, বছরে মোট জ্বালানি চাহিদার ৫ শতাংশ মেটানো হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয় না। তিনি বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ বানালে পকেটে পয়সা বেশি আসে, বিদেশে টাকা বেশি পাচার করা যাবে। সে কারণে এদিকে নজর রয়েছে। জ্বালানি খাতে জনবান্ধব কোন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে না।

জ্বালানিবিষয়ক সাময়িকী এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণায় দেশে গ্যাসের সম্ভাবনা দেখা গেছে। এই সম্ভাবনাকে সম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশে এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বড় অভাব।

দেশের বর্তমান গ্যাসসংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন জ্বালানি খাতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অরুণ কর্মকার। তিনি বলেন, নিজস্ব জ্বালানি উন্নয়নে সক্ষমতা বাড়ানো হলে এ সংকটে পড়তে হতো না। বিপিসি গত সোমবার ফার্নেস তেলের দাম আরও বাড়িয়েছে। প্রতি লিটার আগে ৭২ টাকা ছিল, দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকা। এই তেল বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশি ব্যবহৃত হয়। ফলে বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জ্বালানি সংকটকে পুঁজি করে সরকার পকেট ভরছে বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আগে বলত খাম্বা আছে, বিদ্যুৎ নেই। এখন তো বিদ্যুতের কারখানা আছে, জ্বালানি ও সঞ্চালন নেই। সরকার এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, জ্বালানিসংকট নিয়ে প্রশ্ন তোলারও সুযোগ নেই। ন্যূনতম জবাবদিহি নেই।’

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘মতলববাজির উন্নয়ন চলছে। যা করা উচিত নয়, তা করা হচ্ছে। যেগুলো করার কথা নয়, সেগুলো করা হচ্ছে। চাচা-ভাতিজাতন্ত্র, মামা-ভাগিনাতন্ত্রে একটি গোষ্ঠী বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেশে চার কোটির বেশি মানুষ নি¤œবিত্ত। জ্বালানিসংকটে তারা আরও বিপদে পড়বেন।’

back to top