উচ্চ আদালতের ‘অগ্রহণযোগ্য ও নারীবিদ্বেষী’ পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) পৃথক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
পোশকের জন্য নরসিংদী রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তার অভিযোগে করা মামলায় গত মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলার জামিন আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ প্রশ্ন রাখেন, ‘সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যায় কি?’ ওই বক্তব্য নিয়ে পরদিন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে এমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এমএসএফ মনে করে, আদালতের পর্যবেক্ষণ যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা পোশাকের কারণে নারীর প্রতি সহিংসতাকে পরোক্ষভাবে বৈধতা দেওয়া হয়েছে এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ দেখানো হয়েছে। দেশের সংবিধান এর ২৮ ধারা অনুযায়ী নারীর প্রতি রাষ্ট্র কোনো ক্ষেত্রে বৈষম্য করতে পারে না এবং নাগরিক হিসেবে নারী সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাওয়ার অধিকারি। এখানে নাগরিক হিসেবে নারীর সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘কোনো ব্যাক্তি কোনো কারণেই অপর কারো সংগে সহিংস আচরণ করতে পারেন না। সেটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আদালতের পর্য্যবেক্ষণে প্রকারান্তরে এই ধরনের সহিংস আচরণকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এমএসএফ, আদালতের এই বৈষম্যমূলক এবং অগণতান্ত্রিক পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে উচ্চ আদালতের বক্তব্য যেভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে তা যদি যথার্থ হয় তবে তা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত সাংবিধানিক অধিকার, নারীর সমানাধিকার, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারের নীতিমালা, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে দাড়ায়। জেন্ডার সংবেদনশীলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং নারীরা দৃপ্ত পদে এগিয়ে চলেছে। নারীর ব্যক্তি স্বাধীনতা,নারীর পছন্দ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার, নারীর স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার সাংবিধানিক অধিকার। যে স্থানে নারীর ব্যক্তি অধিকার, মানবিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার কথা, সেখানে এমন মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। এই পর্যবেক্ষণ জনপরিসরে নারীর স্বাধীন চলাচল ও নিরাপত্তা বিঘিœত করবে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে অন্তরায় হবে। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তির নারীর মানবাধিকারের প্রতি এমন দৃষ্টিভঙ্গি ও বক্তব্য পক্ষান্তরে নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে অসম্ভব করে তুলবে।’
বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২
উচ্চ আদালতের ‘অগ্রহণযোগ্য ও নারীবিদ্বেষী’ পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) পৃথক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
পোশকের জন্য নরসিংদী রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তার অভিযোগে করা মামলায় গত মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলার জামিন আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ প্রশ্ন রাখেন, ‘সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যায় কি?’ ওই বক্তব্য নিয়ে পরদিন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে এমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এমএসএফ মনে করে, আদালতের পর্যবেক্ষণ যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা পোশাকের কারণে নারীর প্রতি সহিংসতাকে পরোক্ষভাবে বৈধতা দেওয়া হয়েছে এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ দেখানো হয়েছে। দেশের সংবিধান এর ২৮ ধারা অনুযায়ী নারীর প্রতি রাষ্ট্র কোনো ক্ষেত্রে বৈষম্য করতে পারে না এবং নাগরিক হিসেবে নারী সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাওয়ার অধিকারি। এখানে নাগরিক হিসেবে নারীর সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘কোনো ব্যাক্তি কোনো কারণেই অপর কারো সংগে সহিংস আচরণ করতে পারেন না। সেটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আদালতের পর্য্যবেক্ষণে প্রকারান্তরে এই ধরনের সহিংস আচরণকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এমএসএফ, আদালতের এই বৈষম্যমূলক এবং অগণতান্ত্রিক পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে উচ্চ আদালতের বক্তব্য যেভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে তা যদি যথার্থ হয় তবে তা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত সাংবিধানিক অধিকার, নারীর সমানাধিকার, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারের নীতিমালা, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে দাড়ায়। জেন্ডার সংবেদনশীলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং নারীরা দৃপ্ত পদে এগিয়ে চলেছে। নারীর ব্যক্তি স্বাধীনতা,নারীর পছন্দ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার, নারীর স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার সাংবিধানিক অধিকার। যে স্থানে নারীর ব্যক্তি অধিকার, মানবিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার কথা, সেখানে এমন মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। এই পর্যবেক্ষণ জনপরিসরে নারীর স্বাধীন চলাচল ও নিরাপত্তা বিঘিœত করবে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে অন্তরায় হবে। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তির নারীর মানবাধিকারের প্রতি এমন দৃষ্টিভঙ্গি ও বক্তব্য পক্ষান্তরে নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে অসম্ভব করে তুলবে।’