১৫ অগাস্টের নিহত শেখ ফজলুল হক মনির সাথে সাক্ষাতের ছলে ১৩ অগাস্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের রেকি করতে এসেছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার (১৮ অগাস্ট) সন্ধ্যায় জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় শেখ মনির পুত্র শেখ তাপস বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৩ অগাস্ট খুনি জিয়াউর রহমান আমাদের বাসায় এসেছিল। সেদিন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি বাবার সাথে দেখা করে গেছেন। সেদিন জিয়াউর রহমানের আমাদের বাসায় আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল- এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনও তথ্য আছে কিনা- তা জানার অনুমান করা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও কিছু জানি নাকি? বাসার পরিস্থিতি কি, আশেপাশের অবস্থা কি? এসব রেকি করার জন্যই সেদিন খুনি জিয়া নিজেই স্বশরীরে আমাদের বাসায় এসেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেপথ্য থেকে শুধু হত্যাকাণ্ড ঘটানোয় নয়, খুনিদের রক্ষা করাও জিয়াউর রহমানের মূল ভূমিকা ছিল।’
তাপস বলেন, ‘জিয়া রহমানের মূল কার্যক্রমই ছিল নেপথ্য থেকে এই হত্যাকাণ্ড সামাল দেওয়া। সেই খুনিদেরকে বাঁচানো। কেউ যেন সেই খুনিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিতে পারে এবং তাদের যে মূল উদ্দেশ্য, তা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় সেটা নিশ্চিত করা। সেটাই তিনি সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘১৫ হত্যাকাণ্ডের পরে যারা এই হত্যাকাণ্ডকে বাধা দিতে চেয়েছিল, প্রতিঘাত করতে চেয়েছিল, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিল- কর্নেল নুরুদ্দীন ও শাফায়াত জামিলকে আটক করে কর্নেল রশিদ সেদিন জিয়াউর রহমানের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। খুনের পরবর্তী ঘটনা আরও প্রমাণ করে যে, জিয়াউর রহমান তাদের আস্থার জায়গা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কিংবা সেনাবাহিনীর মধ্যকার যে কোনও ধরনের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করার যে কোনও প্রচেষ্টা সেদিন জিয়াউর রহমান সামাল দিয়েছিল। সুতারাং এসব তথ্য-উপাত্ত প্রমাণ করে যে ১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ডে খুনি জিয়া ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিল।’
তাপস বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসেই খুনি কর্নেল রশিদকে ‘গো এহেড’ নির্দেশের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা, সরকারের বিরুদ্ধে ক্যু করা এবং রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আজও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই মুক্তিযুদ্ধরবিরোধী শক্তি জামায়াত-বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে সবাইকে শপথ নিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২
১৫ অগাস্টের নিহত শেখ ফজলুল হক মনির সাথে সাক্ষাতের ছলে ১৩ অগাস্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের রেকি করতে এসেছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার (১৮ অগাস্ট) সন্ধ্যায় জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় শেখ মনির পুত্র শেখ তাপস বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৩ অগাস্ট খুনি জিয়াউর রহমান আমাদের বাসায় এসেছিল। সেদিন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি বাবার সাথে দেখা করে গেছেন। সেদিন জিয়াউর রহমানের আমাদের বাসায় আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল- এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনও তথ্য আছে কিনা- তা জানার অনুমান করা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও কিছু জানি নাকি? বাসার পরিস্থিতি কি, আশেপাশের অবস্থা কি? এসব রেকি করার জন্যই সেদিন খুনি জিয়া নিজেই স্বশরীরে আমাদের বাসায় এসেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেপথ্য থেকে শুধু হত্যাকাণ্ড ঘটানোয় নয়, খুনিদের রক্ষা করাও জিয়াউর রহমানের মূল ভূমিকা ছিল।’
তাপস বলেন, ‘জিয়া রহমানের মূল কার্যক্রমই ছিল নেপথ্য থেকে এই হত্যাকাণ্ড সামাল দেওয়া। সেই খুনিদেরকে বাঁচানো। কেউ যেন সেই খুনিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিতে পারে এবং তাদের যে মূল উদ্দেশ্য, তা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় সেটা নিশ্চিত করা। সেটাই তিনি সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘১৫ হত্যাকাণ্ডের পরে যারা এই হত্যাকাণ্ডকে বাধা দিতে চেয়েছিল, প্রতিঘাত করতে চেয়েছিল, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিল- কর্নেল নুরুদ্দীন ও শাফায়াত জামিলকে আটক করে কর্নেল রশিদ সেদিন জিয়াউর রহমানের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। খুনের পরবর্তী ঘটনা আরও প্রমাণ করে যে, জিয়াউর রহমান তাদের আস্থার জায়গা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কিংবা সেনাবাহিনীর মধ্যকার যে কোনও ধরনের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করার যে কোনও প্রচেষ্টা সেদিন জিয়াউর রহমান সামাল দিয়েছিল। সুতারাং এসব তথ্য-উপাত্ত প্রমাণ করে যে ১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ডে খুনি জিয়া ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিল।’
তাপস বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসেই খুনি কর্নেল রশিদকে ‘গো এহেড’ নির্দেশের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা, সরকারের বিরুদ্ধে ক্যু করা এবং রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আজও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই মুক্তিযুদ্ধরবিরোধী শক্তি জামায়াত-বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে সবাইকে শপথ নিতে হবে।’